বিজ্ঞানে চাই মাপজোখ

Spread the love

CONGRESSআজ (সোমবার ২৯ জুন) অফিসে আসার পথে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে মেঘনাদ সাহা বিজ্ঞান কর্মশালা দেখে এসেছি। খুদে বিজ্ঞানীরা বড় বড় চোখ করে বিজ্ঞানের কর্মকৌশল সম্পর্কে জানছে। সেখানে মেঘনাদ সাহা বিজ্ঞান কর্মশালার প্রথমটি হচ্ছে আজ।
“বিজ্ঞানে চাই মাপজোখ” এই শ্লোগান নিয়ে শুরু হয়েছে এই বছরের শিশু কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেসের কার্যক্রম। বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনবাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি -এর যৌথ উদ্যোগে এবারে শিশু কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেসের প্রস্তুতিতে দুই ধরণের কার্যক্রম রয়েছে।
এর একটি হল মেঘনাদ সাহা বিজ্ঞান কর্মশালা যা আজকে থেকে শুরু হয়েছে। ঢাকাতে গোটা পাঁচেক হবে। বৈজ্ঞানিক কার্যপদ্ধতি, বিজ্ঞানে চাই মাপজোখ, পোস্টার করবে যেভাবে, পেপার যেভাবে লিখতে হয় এবং যেভাবে করবে বিজ্ঞান প্রজেক্ট। এগুলো ৩-৪ ঘন্টার একটা অরিয়েন্টেশন। মোটামুটি একটা ধারণা দেওয়া হয় কীভাবে কাজটা করতে হবে।
কংগ্রেসে আমরা শোলা দিয়ে বানানো আধুনিক শহরের মডেল, আলু দিয়ে শহর বিদ্যুতায়িত করার ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয় দেখতে চাই না। আলু দিয়ে বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ দিতে হলে প্রত্যেক বাড়ির সঙ্গে একটা করে আলুর গোডাউন বানাতে হবে। সেটা তো সম্ভব না। এই বিষয়টা বোঝা যাবে কেবল আলুর বিদ্যুতের মাপজোখ করলে। আবার শুণ্য থেকে যে কিছু বানানো যায় না, গেলে সেটা পারপেচুয়াল মোশন মেশিন হয় সেই কথাটাও আসলে বলা দরকার। সেটাও হিসাব করে দেখানো যায়।

Rupsha_3
খুলনার ক্যাম্পের একদি দুশ্য

আমাদের বিজ্ঞান মেলাগুলোতে একটা কমন প্রজেক্ট হল – গ্রামীণ ফ্রিজ। মানে, বিভিন্ন কায়দা করে একটা বাক্স বানানো যা কী না ভেতরের তাপকে বাইরে আসতে দেয় না। বা উল্টাটা। এই রকম একটা প্রজেক্টের বিজ্ঞানীন কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেমন ঠান্ডা হয়। উত্তর এসেছিল – হাত দিয়ে দেখেন!!!
তো, সত্যিকারের বিজ্ঞানী প্রজন্ম তৈরি করতে হলে এসব সস্তা ব্যাপার থেকে সরিয়ে ছেলে-মেযেদের মধ্যে প্রকৃত বিজ্ঞানের চচ্চা জোরদার করাতে হবে। আমাদের সামর্থ সীমিত। এবছর আমরা কোন স্পন্সরও পাইনি। তারপরও আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা সারাদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এই কাজটা করার জন্য।
দ্বিতীয় যে প্রস্তুতি সহায়ক কর্মকাণ্ড রয়েছে তা হল কুদরাত-ই-খুদা সামার সায়েন্স ক্যাম্প। এর মধ্যে খুলনা, সিলেট, দিনাজপুর আর নারায়ণগঞ্জে ৪টি ক্যাম্প হয়ে গেছে। ক্যাম্পে কর্মশালা থেকে বাড়তি কিছু থাকে। বিশেষ করে ২/৩ দিনের ক্যাম্পে দলবেঁধে একটা কিছু করতে হয়। সেটা লজ্জাবতী গাছের পাতা চিনিপানিতে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় আর লবন পানিতে কেমন করে তা হতে পারে। অথবা হতে পারে নিজেদের গ্রামে কেন নিমগাছ জন্মায় না তার কারণ খুঁজে বের করা।
এগুলো সব হবে ২১-২২ আগস্টের কংগ্রেসের আগে। আর এরপর হবে জগদীশ চন্দ্র বসু বিজ্ঞান ক্যাম্প। সেটি একটি মজার অভিজ্ঞতা। কাগজে লিখে বোঝানো মুশ্কিল।

এর মধ্যে যাদের প্রস্তুতি হয়ে গেছে তারা নিজেদের প্রজেক্ট/পেপার/পোস্টার নিবন্ধ করতে পারে http://spsb.org/cscongress/ এই ঠিকানায়।

বিজ্ঞান কংগ্রেসের জয় হোক।

সবার জন্য শুভ কামনা।

Leave a Reply