পথের বাঁধা সরিয়ে নিয়ে, নিজেই এগিয়ে যাও
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বিবিদ্যালয় (বুয়েট)-এর চতুর্থ সমাবর্তনের বক্তা ছিলেন ড. মুহম্মদ ইউনুস। তাঁর “পথের বাঁধা সরিয়ে নিন, মানুষকে এগোতে দিন” বক্তৃতা তখন আমরা যারা গ্র্যাজুয়েট হয়েছি কেবল তাদের নয়, অনেককেই আলোড়িত করেছিল। আমার যতদূর মনে পড়ে,প্রায় সব দৈনিকই বক্তৃতবটি প্রকাশ করেছিল।
গণতান্ত্রিক পরিবেশে তখন মানুষের অনেক চাহিদা ছিল, প্রত্যাশা ছিল যা ক্রমান্বয়ে পূরণ হতে হতে এখন বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে পারছে। বাংলাদেশেরে এই ক্রমাগত উঠে আসার সাফল্য কেবল সরকারের নয়, বরং তা এদেশের সাধারণ মানুষেরই। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঠিকঠাক মতো এগোলে বাংলাদেশ একদিন এশিয়ার ব্যাঘ্র অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের মানুষের এই আগানোর কাহিনী যেমন সত্য, তেমনি তার আকাশে অন্য এক মেঘের আনাগোনাও সত্য। সেটি সবার জন্য কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জের মেঘ। প্রতিবছর দেশে ২২ লক্ষ ছেলে-মেয়ে কর্মবাজারে আসছে। সরকারি হিসাবে এদের মধ্যে ১৩ লক্ষের কর্মসংস্থান হয়। তারমানে এক বড় অংশই শেষ পর্যন্ত কর্মহীন থেকে যায়। ২০১৬-১৭ সালের শ্রমবাজারের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে দেশের প্রায় ৪ কোটি ৮২ লক্ষ মানুষ কোন কাজ করে না, কর্মহীন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা তাদের বেকার বলে না কারণ তাদের একটা বড় অংশই এখন আর কাজের চেষ্টা করে না। জরিপের একমাস আগে যারা কাজের চেষ্টা করে তাদেরকেই বেকার বলে আইএলও।আর সে হিসাবে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬-২৭ লক্ষ। বলা বাহুল্য এদের বড় অংশই টগবগে তরুণ।
অন্যদিকে, এ দেশও ক্রমাগত হয়ে উঠছে বিদেশীদের জন্য লোভণীয় কর্মবাজার। বিগত অর্থ বছরে বাংলাদেশ এই বিদেশী কর্মীদের বেতন ভাতাদি দিয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। এক দিকে আমাদের তারুণ্য কর্মহীন হয়ে কানাগলিতে চলে যাচ্ছে, অন্যদিকে দেশের কর্মবাজারে বিদেশীদের আনাগোনা বাড়ছে। এই বৈসাদৃশ্যের কারণ কী? এই থেকে উত্তরণেরই বা উপায় কী?
এসব নিয়ে আলোচনা করার জন্য এক ঝাঁক তরুণ –তরুণী গত ৩০ এপ্রিল এসেছিলেন প্রথম আলো কার্যালয়ে। ক্রাউন সিমেন্ট ও প্রথম আলোর যৌথ উদ্যোগে অতি সম্প্রতি শুরু হওয়া তারুণ্যের জয়োৎসব আয়োজনের অংশ ছিল এই আলোচনা। আলোচনা আমাকে সঞ্চালনা করতে হয়েছে এবং যখন সবার কথা শুনছিলাম তখন আমার ২৬ বছর আগের সমাবর্তনের কথা মনে পড়েছে। সেই সময়কার আমাদের সঙ্গে এখনকার তরুণদের পার্থক্যটা আমি খুবই লক্ষ করলা সেদিন। আমরা মূলত সরকারের মুখাপেক্ষি ছিলাম, ড ইউনুসও সেই কথাটা বলেছিলেন। ৩০ তারিখে আমাদের সভার তরুণরা কিন্তু সরকারের কাছে চাওয়া-পাওয়ার কথা যতোটা বলেছে তার চেয়ে বেশি বলেছে নিজেদের কথা। সহযোগিতার কথা বলেছে বটে, এটাও সঙ্গে বলেছে যে সেটা না পেলেও তার সফল হবে, সময় একটু বেশি লাগবে এই যা।
আলোচনার সূত্রপাত করেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। তাঁর বক্তব্য ছিল ,”আমরা তরুণদের জয় দেখতে চাই। বাংলাদেশের জয় দেখতে চাই। সেজন্য আমাদের কী করা প্রয়োজন?”একটি সংবাদ পত্র বা একটি সিমেন্ট তৈরির প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে যে উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে কী কী যোগ করলে আমাদের তরুণদের সঠিক পথে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা যাবে। আমারা প্রথম আলো কী কী করে সেটার ওপরও একটা প্রেজেন্টেশন দিয়েছি। এরপর তারুণ্যের জযোৎসবে কী কী থাকতে পারে তার একটা ধারণাও সবাইকে দেওয়া হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটের জয়োৎসবে হাজির ছিলেন।
মুক্ত আলোচনার সূত্রপাত করেন স্থপতি ফারহানা রশীদ। ঢাকা শহরের পাবলিক স্পেসে মেয়েদের জন্য টয়লেট ফ্যাসিলিটি নিয়ে কাজ করছেন তিনি। জানালেন গাউছিয়া মার্কেটে যখন তিনি সুপারভিশনে যেতেন তখন অনেকেকেই অবাক হয়ে বলতে শুনেছেন কেন ফারহানা বুয়েট আর বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে “টয়লেট বানাচ্ছে”? ফারহানা বলেছেন তারুণ্যের সমস্যা কেবল তরুণের নয়। তাঁর অভিভাবকেরও। কাজে সমাজে যে কোন কাজের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার দিকেও নজর দেওয়া দরকার।
তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একজন বলেছেন কেন তিনি নিজের ইচ্ছেমতো বিষয়ে পড়তে পারেননি। প্রীত রেজা যোগ করলেন “সব অভিভাবকই তার সন্তানকে হয় ডাক্তার না হয় ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চান। তাই যদি হবে তাহলে আমরা গল্পকার, চিত্রকর, জাতিসংঘের মহাসচিব কোথায় পাবো?”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাওহিদা জাহান তরুণদের জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি পরামর্শ দিয়ে বলেন প্ল্যাটফর্মটি এমন হবে যেখানে তরুণরা পড়াশোনা থেকে শুরু করে চাকরি-ক্যারিয়ার-বিকল্প ক্যারিয়ার সব প্রশ্ন করতে পারবে এবং বিশেষজ্ঞরা সরাসরি উত্তর দিবেন। এই প্ল্যাটফর্মটি বাংলা বা ইংরেজি বা উভয় ভাষাতে হতে পারে। তাওহিদার ধারণা, নানামুখী অযুত সম্ভাবনার কথা তরুণদের কাছে সঠিক সময়ে পৌঁছে না। ফলে তার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়।
তাওহিদার কথার জের ধরে জুমশেপারের প্রধান নির্বাহী কাওসার আহমেদ নিজের প্রতিষ্ঠান চালানোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “আমাদের তরুণদের এক অংশের মধ্যে কমিটমেন্টের অভাব দেখা যায়। সেটি পড়াশোনার সময় যেমন হয় তেমনি কর্মক্ষেত্রেও হয়। ফলে, নিয়োগকারীরা একসময় তাদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলে”।
প্রচুর পড়ার পরামর্শ দিয়ে কাওসার বলেন জীবনে এগিয়ে যেতে হলে অনেক অনেক স্কিল, যোগ্যতা তৈরি করে নিতে হয়। পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠলে সেগুলো আয়ত্ব করা সম্ভব হয়”। জুমশেপারের প্রধান নির্বাহী পেশাগতজীবনে তরুণদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান। তাদেরকে কথা রাখার সংস্কৃতি গড়ে তোলায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
কাওসারের সঙ্গে সামান্য দ্বিমত পোষণ করে কয়েকজন বলেন শুধু পড়েই সব দক্ষতা গড়ে উঠবে না। ভ্রমণে যেতে হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং জীবনকে উপভোগও করতে পারতে হবে। তাহলে তৈরি হবে সংবেদনশীল মন ও চোখ। আর তা থেকে বিকশিত হবে সৃজনশীলতা।
আলোচনার একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার দূর্বলতা। এজন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার আর অন্ট্রারপ্রিনিয়র ক্লাবের প্রতিনিধিরা চেয়েছেন সহযোগিতা। তাদের বক্তব্য ছিল, শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের সংগ্রাম চলুক। কিন্তু যারা এরই মধ্যে এই ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসছে তাদেরকে শিক্ষা জীবনে বাড়তি যোগ্যতা পাবার পথ তৈরি করে দেওয়া হোক। তাঁরা জানিয়েছে মূল উদ্যোগটা তারাই নিতে চায়। তাদের দরকার রিসোর্স পারসন, নির্দেশনা ও গাইডলাইন যাতে তারা সঠিক পথটা চিনতে পারে।
আলোকচিত্রী প্রীত রেজা জানান, ঢাকার বাইরের তরুণদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে এ ধরণের আয়োজনে। যারা সফল তারা ছাড়াও যারা এখনো সফলতার দেখা পায় নি, তাদের গল্প-খবর প্রথম আলোতে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরতে হবে।
তাওহিদা জাহানের আর একটি সুপারিশ ছিল – বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার, উদ্যোগ, বিতর্ক ক্লাবের প্রতিনিধিদের ঢাকায় নিয়ে এসে কয়েকটি বিষয়ে টিওটি (ট্রেনিং ফর দি ট্রেইনার্স) করিয়ে দেওয়া যাতে তারা ফিরে গিয়ে নিজেরাই কাজটাকে এগিয়ে নিতে পারে।
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিপাশা মতিন মনে করেন সমাজ, অভিভাবক ও শিক্ষকদের তরুণদের পথ দেখানোর দায়িত্ব আছে। হতাশ ও ক্লাসরুমের পেছনে বসা শিক্ষার্থীদের মেন্টরিংয়ের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করার কোন বিকল্প নেই।
ব্র্যাকের ‘আমরা নতুন নেটওয়ার্কের” সমন্বয়কারী ও ব্র্যাক সোশ্যাল ইনোভেশন ল্যাবের আকিব মোঃ শাতিল তাঁর পর্যবেক্ষণের কথা বলতে গিয়ে বলেন – এ ধরণের নানান আয়োজনে ঘুরে ফিরে কিছু অগ্রসর শিক্ষার্থীই অংশগ্রহণ করে। অন্যরা তেমন এগিয়ে আসছে না। তিনি অনুষ্ঠানোত্তর ফলো-আপের প্রতি জোর দেন। বিশেষ করে কার্যক্রমটি সফল হচ্ছে কী না তার মূল্যায়নেরও ব্যবস্থা দরকার বলে মত দেন তিনি।
বৈঠকে এই অভিমত উঠে আসে যে, সারাদেশে সকল তরুণের কাছে তারুণ্যের জয়োৎসব সরাসরি যেতে পারবে না। কাজে এমন কোন উদ্যোগ থাকুক যাতে কাজগুলো রেপ্লিকেট করা যায়। এ সময় তাওহিদা জাহানের প্রস্তাব নিয়ে আবারও আলোচনা হয়।
ইনডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষার্থী লুবাবা মাইশা জানান, ‘আমাদের মা-বাবা ও পরিবারের তরুণদের ওপর চাপ কমাতে হবে। চিকিৎসক বা প্রকৌশলী হওয়ার জন্য স্কুল থেকে চাপ দেয়ার মানসিকতা বন্ধ করতে হবে।’
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সৈয়দ সাইফুল আলম জানান বেশিরভাগ আয়োজনে সাফল্যের গল্প শোনা হয়। পাশাপাশি ব্যর্থতার গল্পটাও শোনা দরকার। তিনি অসফল তরুণ কিংবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা কিছু করার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য সমন্বিত কিছু করার তাগিদ দেন। এই সময় তাঁকে জানালাম ২০১৭ সাল থেকে আমরা একটি ফেইলিওর কনফারেন্স শুরু করেছি। পরের বারে তাকে দাওয়াত দেওয়া হবে।
টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক তরুণ ও পেশাজীবীদের সম্পৃক্ত করার উপায়ের কথা বলেন।
কুইন্স ইয়ং লিডার্স সম্মাননা পাওয়া সাজিদ ইকবাল সব উদ্যোগের সাফল্যের গল্প সবার কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের কষ্টের গল্প, পরিবারের চাপ-হতাশার কথা সবাইকে জানানোতে জোর দেওয়ার কথা বলেন।
এমআইটি গ্র্যাজুযেট তামান্না ইসলামের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের একটি বড় সমস্যা হলো কমিউনিকেশন স্কিল। অনেকেই নিজের কথা ঠিকমতো তুলে ধরতে পারে না। বাংলা কিংবা ইংরেজি – উভয় ভাষাতেই এই সমস্যা রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদুর রহমান জানান, ‘ইউরোপ-আমেরিকার বড় বড় কোম্পানি গবেষণায় অর্থ ব্যয় করছে। আমাদের দেশে এই প্রবণতা দেখা যায় না। আমাদের তরুণদের জন্য কর্মক্ষেত্র বাড়ানো ও উদ্যোক্তা হতে উদ্বুদ্ধ করতে দেশী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে’। তাঁর একটি প্রস্তাব ছিল – বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফর্মাল রিসার্চ করার। যাতে কোন একটি উদ্যোগ নেওয়ার আগে সে সম্পর্কে ভালমতো জানা যায়।
চালডাল ডট কমের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জিয়া আশরাফ তরুণদের নিজের কাজ সম্পর্ক জানার পরিধি বাড়ানোর পরামর্শ দেন। তিন বলেন, চাকরি বা উদ্যোগ উভয় ক্ষেত্রে দক্ষতাটাই আসল। নিজের সিজিপিএ -এর কথা বলে তিনি জানান কাজ জানা ও দক্ষতা অনেক সময় দূর্বল সিজিপিএ-কে কভার করে দেয়।
বৈঠকে অংশ নেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক কাজী হাসান রবিন,ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বুশরা হুমায়েরা, আলোকচিত্রী প্রীত রেজা,কুইন্স ইয়াং লিডারস অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী সাজিদ ইকবাল, গ্রিন সেভার্সের উদ্যোক্তা আহসান রনি,স্থপতি ফারহানা রশীদ,এমআইটি গ্র্যাজুয়েট তামান্না ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি হালিমা আক্তার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি শাহিন আলম,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্টারপ্রেনার্স ও ই-কমার্স ক্লাবের এসএম মুশফিকুল ইসলাম, তানজিম আমিন বোরহান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক ক্লাবের রাকেশ রায়হান, বিএনসিসি থেকে উৎপল চন্দ্র দাস, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সিএসই ক্লাবের সুমনা ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিয়া বিনতে আলমগীর, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মীর বুশরা বিনতে বাশার, আল ইহসান ক্যাডেট মাদ্রাসার তাজুল ইসলাম প্রমূখ।
ক্রাউন সিমেন্ট গ্রুপের উপদেষ্টা এম এ মজিদ বলেন, ‘তরুণদের কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য যোগাযোগ দক্ষতার ওপর জোর দিতে হবে এবং সততার সঙ্গে মানসম্মত কাজ করতে হবে। এছাড়া তিনি ভালো মানুষ হওয়া এবং দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে সব তরুণদের আহ্বান জানান। তাহলে এই সমাজ সুন্দর হবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, ক্রাউন সিমেন্টের উপ মহাব্যবস্থাপক সারওয়ার আলম চৌধুরী প্রমূখ।
এই আলোচনা থেকে আমি কয়েকটা সুপারিশ লেখার চেষ্টা করছি। এর কয়েকটা হলো-
- কেবল ইভেন্টের মধ্যে না থেকে অনলাইনে একটা ফলো-আপ মেকানিজম গড়ে তোলা
- এই ইভেন্টের জন্য কিছু সংখ্যা ঠিক করা। যেমন – কতোজনকে আমরা ইন্টার্নশীপ দেবো, কতোজনকে লিডারশীপ প্রশিক্ষণ দেবো ইত্যাদি। মানে সংখ্যা বের করা।
- বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উৎসাহীদের ডেকে এনে একটা টিওটি করানো যাতে ফিরে গিযে তারা নিজেদের ক্যাম্পাসে কাজটা শুরু করতে পারে,
- পলিসি মেকারদের দৃষ্টি আকর্ষন করা
- কয়েকটি বিষয়ে রিসার্চ টিম করা
এই লেখা পড়ে কারও যদি কোন সুপারিশ মনে হয় তাহলে আমাকে জানাতে পারে। আমি তা যোগ করে দেব ওবং টু-ডু লিস্টে এড করে নিবো।
[ছবি তুলেছেন প্রথম আলোর আলোকচিত্রী কবির হোসেন]