ইনোসেন্টের শরবত-৩: কীপ অন কীপিং অন
ইনোসেন্টের শরবত-২: স্টার্ট স্মল, বাট ডু স্টার্ট
যেকোন ব্যবসার জন্য ছোট কিন্তু প্রথম পদক্ষেপ, তথা শুরু করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং মৌলিক কাজ বটে। কিন্তু সেটিই যথেষ্ট নয়। একটা ব্যবসাকে দাড় করানোর জন্য আরো অনেক কাজ করে যেতে হয়, চালিয়ে যেতে হয়। এই যে নিত্য-কাজ করে যাওয়া এটি কিন্তু খুবই সময়-ক্ষেপনকারী, বেশিরভাগ সময় হতাশাজনক এবং প্রায়শ বিভ্রান্তিকর! বলতে গেলে কোন কিছু না জেনেই তুমি শুরু করেছো এবং কষ্ট করতে করতে একসময় সেগুলো একটা লাইনমতো অবস্থায় আসবে। আর লোকেরাতো থাকবে যারা তোমাকে সারাক্ষণ মনে করিয়ে দেবে কেন তোমার আইডিয়াটা কাজে লাগবে না, অচিরেই তুমি একটা ব্যর্থ মানুষে পরিণত হবে!!!
কিন্তু “হাল ছেড়োনা বন্ধু”, হৃদয়ের কথা শোনো। নিজেকে প্রশ্ন করতে থাকো, গতিপথ পরিবর্তন করো, একটা না হলে অন্যটা চেষ্টা করো। কিন্তু চেষ্টা করে যাও। লাইট বাল্বের উদ্ভাবক টমাস আলভা এডিসন নাকি ৯৯৯ বার বাল্ব বানাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন এবং হাজারতমবারে সফল হয়েছেন। কিন্তু কেও যদি তাকে এটা মনে করিয়ে দিত উনি বলতেন – না তো, আমি তো ব্যর্থ হয়নি। বরং আমি ৯৯৯ রকমভাবে যে বাল্ব বানানো যায়না সেটা আমি জেনেছি। যেভাবে বাল্ব বানানো যায় সেটা হাজারতমবারে জেনেছি। এই লোকটাই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জিনিসের উদ্ভাবক হবেন এটাই সত্য।
কাজেই যতরকম সমস্যাতেই পড়ো না কেন, জানবে তারও একটা সমাধান আছে। যত সমস্যা, তত সমাধান।
ছোট্ট শাদা মিথ্যা
অচিরেই জেনে গেলাম, আমরা ব্যাপারটা যত সোজা বলে ভেবেছি কাজটা মোটেই তা নয়। এরই মধ্যে আমরা আমাদের বিন টেস্ট করেছি এবং তারচেয়েও বড়ো কথা সবাই চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু কীভাবে আমরা আমাদের স্মুথিকে বাজারে, সবার কাছে নিয়ে যাবো?
এডামের মনে পড়লো তার ভার্জিন কোলার বন্ধুদের। শুরু হলো তাদের সঙ্গে যোগাযোগ। জানার চেষ্টা – বাণিজ্যিকভাবে কীভাবে পানীয় তৈরি করতে হয়? তো, আমরা জানলাম অনেক “ফ্লেভারড হাউস” আছে। এরা পানীয় তৈরি করে আর এর উপাদান সোর্সড করে। সবাই পরামর্শ দিল ওদের সঙ্গে কাজ করতে। এটা খুব প্রমিজিং মনে হল। এডামের এক্স-বসের পরামর্শে আমরা একজনকে খবর দিলাম আর তার সঙ্গে মিটিং করলাম ভার্জিন কোলার মিটিং রুমে। আমরা তাকে অবশ্য বললাম না যে আমরা আর ভার্জিনে নেই। যাহোক আমরা ঐ হাউসের সঙ্গে কাজ শুরু করলাম। ওদের কিচেনে সময় দিলাম এবং কিছু পানীয় তেরি করে সেটা বন্ধুবান্ধবকে পান করতে দিলাম।
এই কাজ করতে গিয়ে আমরা টের পেলাম আমাদের কারোই কোন কিছু বিক্রির কোন আইডিয়া নেই। আচ্ছা আমরা কি হেটে হেটে দোকানে যাবো? দোকানদারকে বোঝানোর চেষ্টা করবো? আমাদের কি কোন লাইসেন্স লাগবে? আমাদের পানীয় খেলে অসুবিধা হবে না-এই বিষয়ে কে সার্টিফাই করবে? সত্যি কথা বলতে কী আমাদের কোন আইডিয়াই নাই এই বিষয়ে!
আমরা ঠিক করলাম এগুলো জানার বেস্ট উপায় হচ্ছে এই কাজটা করা। এডাম তার ক্রিয়েটিভ এজেন্সির বন্ধুদের দিয়ে আমাদের স্মুথির জন্য লেবেল বানিয়ে আনলো। আমরা নাম দিলাম “ফ্রেস এন ফ্রুটি ”। আমরা কলা আর স্ট্রবেরির কিছু শরবৎ বানালাম। প্রত্যেকে ১০টা করে বোতল নিলাম। সেলোটেপ দিয়ে লেবেল লাগালাম। নিজেদের ব্যাকপ্যাকে নিয়ে বের হয়ে পড়লাম। তিনভাগ হয়ে আমরা মোট ১০টা দোকানে গেলাম।
ধরেই নিলাম সবাই আমাদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হল সব স্টোরের ম্যানেজার আমাদের সঙ্গে গল্প করলেন, টেস্ট করলেন এবং ১০জনের মধ্যে ৬ জনই কিছু অর্ডার করতে চাইলেন! ঠিক এই মূহুর্তে পুরো ব্যাপারটা কেমন যেন হয়ে গেল। কারণ ওনারা যখন অর্ডার দিতে চাইলেন তখনই আমাদের বলতে হল আসলে কোম্পানিতো নাই এবং স্মুথিরও সরবরাহ নাই। ঐ লোকেরা তখন খুব অবাক হয়ে জানতে চাইলো কেন আমরা একটা পানীয় বিক্রির চেস্টা করছি যা কিনা বাজারে বিরাজই করে না!!!
কিন্তু সেই বিকাল আমাদেরকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাটা দিয়েছে : এমন দোকান আছে যারা আমাদের স্মুথি রাখতে আগ্রহী। এমনকী সেই শরবতের লেবেলটা যদি সেলোটেপে লাগানো হয়, তাও!
এবং আমরা আবারো আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাটা পেয়েছি। কোন কিছু করতে চাইলে সেটা করে ফেলা। একাডেমিক রিসার্চের ওতো দরকার নাই — তৈরি কর, পরীক্ষা কর আর দেখো কী হয়।
এই দিকে কিন্তু ফ্লেভারড হাউসে কিন্তু আমাদের রেসিপির যুৎ হচ্ছে না। কারণ ওরা ফলের কনসেনট্রেশন থেকে জুস বানায় আর আমরা চাই ফ্রেস ফলের রস থেকে। কেমন করে হবে। কাজে আমরা ওদের কাছ থেকে চলে আসলাম।
আবার আমরা বগর্মূল একে চলে আসলাম। আমাদের শরবত কে তৈরি করবে। আমরা ভাবলাম যে, আমরা নিজেরাই একটা ফ্যাক্টরি দিবো। কিন্তু অচিরেই বুঝলাম একটা ফ্যাক্টরি দেওয়া মোটেই কোন সহজ কাজ নয়। আমাদের অবশ্যই এমন কাউকে খুজেত হবে যে কী না আমাদের হয়ে শরবতটা বানিয়ে দেবে। আমরা প্রায় সব পানীয় কোম্পানির কাছে গেছি। সবাই আমাদের এক কথা বলেছে – তোমাদের আইডিয়া কোন কাজের না। এটি কাজ করবে না। সাধারণভাবে ধারণা হল শরবত বানাতে হবে কনসেনট্রেশন থেকে, এর সঙ্গে মেশাতে হবে ফ্লেভার যাতে ফলের গণ্ধ পাওয়া যায় আর দিতে হবে সংরক্ষক বা প্রিজারভেটিভ যাতে বেশিদিন টিকে। আমরা যতই বলি আমরা কেবল ফলের রস দিতে চাই ওরা খালি বলে এভাবে জুস ইন্ডাস্ট্রি কাজ করে না। আমরাও তাদের বলি আমাদের ধারণাই হল প্রাকৃতিক শরবত। আপনাদের মত আমরা করতে চাই না।
ঘটনা যাই হোক না, তবে, সবাই প্রায় আমাদেরকে সহায়তা করতে চেয়েছে, কথা বলেছে। সেই সময় আমরা সবার সঙ্গে দুপুরের দিকে মিটিং সেট করার চেস্টা করতাম। কারণ অনেক ম্যানেজার দুপুরে অন্তত একটা স্যান্ডউইচ খাওয়াতেন। ওতে আমাদের ক্ষুন্নবৃত্তি নিবৃত হতো। কোন কোন সময় আমরা বড় কোম্পানিগুলোর রিসেপশনে নিজেরা মিটিং করতাম কারণ ওখানে সবসময় বিস্কুটতো থাকবো! তো, সেরকম একটা কোম্পানি আমাদের জ্যামাইকান মাইকের খবর দিল। মাইক নামের এই লোক নাকি ওয়েলসে কমলার রস বিক্রি করছে। ফোনে যখন আমরা তার সঙ্গে কথা বলি তখন মনে হয়েছে সে একটা গরিলা। কিন্তু ছোটখাটো মানুষটিকে দেখেই আমরা ধড়ে পানি পেয়েছি। মাইক যদিও বলেছে যে সম্পূর্ণটা ফলের রস থেকে করলে অনেক খরচ পড়ে যাবে তারপরও উনি আমাদের রেসিপি নিয়ে কাজ করতে রাজী হোন। কারন উনি “আমাদের চোখে সেই আগুন দেখেছেন যা কিনা তিনি নিজের মধ্যে দেখতেন যখন তিনি তার কোম্পানি শুরু করেন।” ঠিক এইভাবে, চাকরি ছাড়ার ১২ মাস পরে আমরা আমাদের প্রথম সাপ্লায়ারের খোঁজ পেলাম। আমরা তাকে একস্ট্রা যন্ত্রপাতি কেনার খরচ দিবো বলে বের হয়ে আসলাম।
এই ১২ মাসের খোঁজ থেকে আমরা আর একটা শিক্ষা পেলাম।
সাফল্য হচ্ছে লেগে থাকা। অন্যরা যখন আমাদেরকে না না না বলেছে তখন আমরা জোঁকের মত লেগেছিলাম। যে কোন উদ্যোক্তাকেই তা করতে পারতে হবে। সব না-এর মাঝ থেকে “হ্যা”টাকে খুঁজে নেওয়া।
তুমি কি কোন ধনী ব্যক্তিকে চেন?
উৎপাদনকারী পেলেও আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল পরের চ্যালেঞ্জ। টাকা কোথা থেকে পাবো। আমরা কয়েকজন নবীন ব্যবসায়ী, ব্যবসা করার কোন অভিজ্ঞতা নাই, কোন প্রোডাক্ট নাই, কোন কোম্পানি নাই, এমনকী কোন নামও নাই! তবে, আমাদের একটা কঠিন ও জটিল বিজনেজ প্ল্যান আছে। এটি আমাদের প্রাথমিক পতন রোধ করেছে। এবং বেশিরভাগ মিটিংগুলোতে এই রঙ্গিন চার্ট, বার আর হিসাবগুলো কাজে লাগতো। এটাতে ছিল আমাদের মূল অনুমানগুলো, টার্গেট মার্কেটের আকার ও আচরণ, প্রজেক্টেড গ্রোথ এবং সবচেয়ে বড় কথা মুনাফার হিসাব।
অণ্য সবার মত আমরাও প্রথমে ভাবলাম ব্যাংকগুলোর কাছেই যাই। ব্যাংকের কাছে তো টাকা আছে। আমরা খুব অনুপ্রাণিত হলাম কারণ আমরা শুনলাম ব্যাংকগুলোর একটা স্কীম আছে। নাম হচ্ছে – স্মল বিজনেজ লোন গ্যারান্টি স্কিম। এই স্কিমে সরকার ব্যাংকগুলো এসএমইদের লোনের গ্যারান্টি দেয়। ফলে নতুন ব্যবসায়ীদের ব্যাংক টাকা দিতে দ্বিধা করেনা।
যাহোক কথাটা আমাদের বেলায় সত্য হল না। একনাগাড়ে যখন ২০ নম্বর ব্যাংকটি আমাদের ফিরিয়ে দিল তখন আমরা বুঝলাম – সরকার নিশ্চয়তা দিক বা না দিক, কোন ব্যাংক আমাদের টাকা দেবে না।
কিন্ত নগদ টাকা ছাড়াতো আমরা কোন ব্যবসা করতে পারবো না। কাছে আমরা এদিক ওদিক তাকানো শুরু করলাম। আমরা জানলাম কিছু কোম্পানি আছে যারা মূলধন দেয়। এদেরকে বলা হয় ভেঞ্জার ক্যাপিটাল কোম্পানি বা ভিসি।
সেসময় ইংলন্ডে অনেক ভিসি, মোটা মোটা ডিরেক্টরি আছে। লিস্টি বানিয়ে আমরা শুরু করলাম যাওয়া। সবারই এক কথা – না। একজনের কথা –“ভিসিদের বিবেচনার বিনিয়োগ করার যে পয়েন্ট তাতে ৫ এর মধ্যে তোমরা শূণ্য পেয়েছ – তোমাদের বয়স কম, সবাই তোমরা বন্ধু, তোমরা আগে কখনো কোন ব্যবসা চালাওনি, সেক্টর সম্পর্কে তোমাদের কোন অভিজ্ঞতা নেই এবং তোমরা পৃথিবীর অন্যতম বড় কোম্পানিদের বিরুদ্ধে লড়বে। তোমাদের এখানে বিনিয়োগ করার সঙ্গে আত্মহত্যার কোন বিরোধ নেই।”
ভিসিরা আমাদের পরামর্শ দিল যেন আমরা এনজেলদের খুজি। দিনের পরদিন মাসের পর মাস আমরা ছুটাছুটি করলাম। এখান থেকে ওখানে গেলাম। নানান জনের কাছে ছুটলাম। ফলাফল শুণ্য।
তারপর আমরা শুনলাম স্টার্টআপদের টাকা দেয় এমন একটা এনজেল নেটওয়ার্ক আছে। তারা বছরে ১০০ জনকে টাকা দেয়। আমরা তাদের সামনে, ৫০ জনের সামনে, পিচ করলাম। আমাদের জীবন বাচানোর সংগ্রামের পিচ। সব কিছু উড়াড় করে দিলাম।
….
…
…
ওনাদের জবাব- না।
জীবনে এমন সময় খুব সহসা আসে না। তোমার সরকার তোমাকে পাত্তা দিচ্ছে না, ব্যাংকগুলো সব ফিরিয়ে দিয়েছে, ভিসিগুলো না না বলছে আর এমনকী যারা স্টার্ট আপ স্টার্টআপ করে প্রাণপাত করে ফেলছে তারাও না বলে দিয়েছে।
আমরা কী করতে পারি। টাকা ছাড়া আমাদের ব্যবসা শুরু হবে না কিন্তু কেও আমাদের টাকা দেবে না।
হতাশ হয়ে আমরা একদিন আমাদের এক বন্ধুর কাছে সব খুলে বলি এবং প্রথমবার তার কাছ থেকে জানতে পারি – সিক্স ডিগ্রী অব কেভিন বেকনের কথা। এর মানে হল এই পৃথিবীতে, তত্ত্বমতে, যে কোন লোক মাত্র ছয়জনের মাধ্যমে কেভিনকে চেনে। এর মানে হল আমরা এমন একজনকে চিনি যে কিনা আর একজনেকে চিনে যে কিনা আমাদের ব্যবসাতে বিনিয়োগ করবে! মোদ্দা কথা হলো যথেষ্ট চেষ্টা করা।
কাজে নতুন উদ্যমে আমরা আবার নেমে পড়লাম। এবার আমরা ঠিক করলাম আমাদের কাছে যত ই-মেইল ঠিকানা আছে এবং যত আমরা যোগাড় করতে পারি সবার কাছে এক লাইনের একটা ই-মেইল পাঠাবো। যে কথা সেই কাজ। ই-মেইলের সাবজেক্ট লাইনে আমরা লিখলাম – Does anyone knows anyone rich?
বলতে গেলে আমরা পুরো লন্ডনে স্প্যাম করে ফেললাম। আমরা মাত্র দুইটা জবাব পেলাম। একজন বলতে চেয়েছে তার সঙ্গে মোনাকোর প্রিন্সেসের যোগাযোগ আছে্। যদিও সে বিনিয়োগে আগ্রহী নয়। আর জনের এক পুরোনো কলিগ জানালো মরিস পিন্টো নামে সে একজনকে চেনে যে কিনা এরকম বিনিয়োগ করে থাকে।
কাজে আমরা আমাদের বিজনেজ প্ল্যান মরিসের কাছে পাঠালাম।
নয়মাস ধরে সকল খান থেকে না না না শোনার পর আমরা একজনকে পেলাম যিনি আমাদের কথাতে আগ্রহ দেখালেন। আমরা তার কাছে ছুটলাম। নানানভাবে আমাদের প্ল্যান পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মরিস অবশেষে বললেন – ইয়েস!!!
নয়মাসের চেষ্টার পর আমরা একটা ডিফারেন্ট রাস্তা নিলাম এবং সফল হলাম।
সেদিন আমরা বুঝতে পারলাম বয়স বা বুদ্ধির সঙ্গে সাফল্যের কোন সংযোগ নেই। সাফল্য হচ্ছে – চেষ্টা, চেষ্টা এবং চেষ্টা। নিরন্তর চেষ্টা। সাফল্য নির্ভর করে তোমার একাগ্রতা আর নিষ্ঠার ওপর। তুমি একের পর এক চেষ্টা করে যাচ্ছো কী না তার ওপর। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো সব লোকের না’কে ঠেলে তুমি এগিয়ে যাচ্ছো কী না।
রিচার্ড ব্রনসন এই কথাকে সাম আপ করেছেন – নেভার, এভার গিভ ইন!
তুমি যেই স্টেজেই থাকোনা কেন, কখনো হাল ছাড়বে না।
হাল ছেড়ো না বন্ধু, বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে।
====মরিসের যন্ত্রণা=====
মরিসের কাছে আমরা ২৫০,০০০ পাউন্ড চেয়েছিলাম। মরিস নিজে ৫০,০০০ দেবেন এবং তার ৪ বন্ধুর কাছ থেকে বাকী ২০০,০০০ যোগাড় করে দেবেন বলে আমাদের কথা দেন। মরিসের এই বন্ধুরা ২০ বছর ধরে মরিসের কথাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছে। কখনোই নড়চড় হয়নি।
কিন্তু অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকায়ে যায়। এবার তারা বেকে বসলেন। বললেন এটি কোন ভাল বিনিযোগ নয়। কাজে এটা কাজ করবে না এবং তারা বিনিয়োগ করবে না।
মরিস কী করবেন?
আমাদের ছেড়ে দেবেন?
না, তিনি নিজেই পুরোটা বিনিয়োগ করলেন।
৬ বছর পরে কোন এক অনুষ্ঠানে মরিস যখন এই গল্প করছিলেন তখন একজন জানতে চাইলো – আপনি টাকাটা কেন দিয়েছেন? অবলিগেশন না আপনি মনে করেছিলেন বিনিয়োগ ভালই হবে।
মরিস জানান- না, তিনি ওদের তিনজনের মুখের দিকে চেয়ে বিনিয়োগ করেছেন এবং তার কমিটমেন্টের জন্য। তিনিও ভেবেছিলেন যে, তার টাকাটা জলে যাবে।
এখনই যখন তার বিনিয়োগকারী বন্ধুদের সঙ্গে মরিসের দেখা হয়, মরিস তাদের মনে করিয়ে দেন যে ইনোসন্টের বিনিয়োগ তাঁর জীবনের সেরা বিনিয়োগ এবং তাঁর বন্ধুরা এটি চলবে না বলে বলে দাবী করেছিল।
=========
[ব্রিটিশ স্মুথি ইনোসেন্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে এর তিন উদ্যোক্তার লেখা বই – এ বুক এবাইট ইনোসেন্ট। পড়তে শুরু করেছি কয়েকদিন আগে। সেই সঙ্গে মূল অংশগুলো শেয়ার করছি সবার সঙ্গে, আমার মত করে। বইটি উত্তম পুরুষে লেখা এবং আমিও সে স্টাইল নিয়েছি। বেশিরভাগ জায়গা ওদের ভাষায় তুলে দিয়েছি। কতক ক্ষেত্রে আমার কিছু সংযোগ আছে মাত্র]।
4 Replies to “ইনোসেন্টের শরবত-৩: কীপ অন কীপিং অন”
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.
“সাফল্য হচ্ছে লেগে থাকা। অন্যরা যখন আমাদেরকে না না না বলেছে তখন আমরা জোঁকের মত লেগেছিলাম। যে কোন উদ্যোক্তাকেই তা করতে পারতে হবে। সব না-এর মাঝ থেকে “হ্যা”টাকে খুঁজে নেওয়া। ”
অসাধারন স্যার জী ।
স্যার আপনার লেখা প্রতিনিয়ত আমাদের অনুপ্ররনা দেয়,নতুন করে স্বপ্ন দেখায়।এখন শুধু প্রয়োজন কাজ,কাজ, আর কাজ
I am inspired! Loved the story & I wish I have courage to do something like this
” কোন কিছু করতে চাইলে সেটা করে ফেলা। একাডেমিক রিসার্চের ওতো দরকার নাই — তৈরি কর, পরীক্ষা কর আর দেখো কী হয়।” আমি আমার জীবনে এভাবে যাই করেছি লেগে থেকেছি সেটা অল্প হোক বেশী হোক সফলতার মুখ দেখেছে । অনেক ভালো লাগল পড়ে, এখন আবার অপেক্ষা পরের পর্বের জন্য 🙂