বিশ্ব বালিকা দিবস – আমাদের বালিকারা যেন বড় হতে পারে

Spread the love

girls-day

  • আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রতি তিনজন মেয়ের একজনের বিয়ে হয়ে যায় ১৮ বছরের আগেই। এর অর্থ হলো প্রতিদিনই বিশ্বে ৪৭,৭০০ বালিকা তার আনন্দের দিনগুলি থেকে বঞ্চিত হতে শুরু করে।
  • যাদের “বালিকা বধু” হতে হয়, তারা আরও অনেক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। সবচেয়ে বেশি হয় তারা পড়ালেখার যতি। আর ভায়োলেন্সের শিকারও তারা হয় বেশি।
  • ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই প্রতিদিনই ২০ হাজার মেয়ে মা হয় ।
  • শিক্ষিত মেয়েরাই কেবল তাদের বিয়ে আর মাতৃত্বকে ঠিক সময় পর্যন্ত ঠেকিয়ে রাখতে পারে।
  • যারা হাইস্কুলেও পড়তে যায় তাদের তুলনায় যারা হাইস্কুলে পড়তে যায় না তাদের বালিকা বয়সে বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা ৬ গুন বেশি

(সূত্র –ইউএন ওম্যান)

আমাদের মেয়েরা কিন্তু সত্যি সত্যি হারিয়ে যাচ্ছে। গতকাল বিইউবিটি-বিএপিএস আয়োজন প্রোগ্রামিং ক্যাম্পে গিয়েছিলাম। ওখানে ৪৭টি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৪২ জন অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র ১৪ জন মেয়ে!!! অথচ এ মূহুর্তে আমাদের দেশে সিএসই ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়ছে এমন ৩৮ হাজার ছেলেমেয়ের মধ্যে ৯৫০০ জনই মেয়ে। এর মানে হলো ২৫% মেয়ে এখন কম্পিউটারে আগ্রহী কিন্তু তাদের মধ্যে ৬% এসেছে এই ক্যাম্পে যদিও তাদের জন্য কোটাও ছিল!

কেন? ওরা তাহলে কোথায় যায়?

বেসিস ওম্যান ফোরামে হিসাবে বেসিসের সদস্য আইটি কোম্পানি গুলোতে মেয়ে-কর্মীর সংখ্যা মাত্র ১৩%। এবং সেটি কিনউত বাড়ছে না।

আমাদের মেয়েদের বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে অংশগ্রহণের তথ্য, পরিসংখ্যান খুঁজতে গিয়ে দেখি সেরকম ডেটাও নাই। মজার বিষয় হচ্ছে আমরা কিন্তু এখনো জানি না বাংলাদেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে কতোজন মেয়ে। এখন তো বায়োমেট্রিক হয়েছে কাজে চাইলেই সেই তথ্যটা প্রকাশ করা যায়, কিন্তু কেউ করে না।

তবে, এমনটাতো আসলে চলতে দেওয়া ঠিক নয়।
আপনি ভাবতে পারেন আপনি তো একা মানুষ, কীইবা করার আছে, দেখে যাওয়া ছাড়া?
কিন্তু আসলেই আছে। কারণ বিন্দুর সমষ্টিতেই হয় সিন্ধু।
 

 

Leave a Reply