হাল ছেড়ো না, বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে

Spread the love

গত ২৫ এপ্রিল সারাদিন কাটিয়েছি একদল ছেলে-মেয়ের সঙ্গে, সাভারে। ব্র্যাকের মেধাবিকাশ কর্মসূচীর শ’পাঁচেক শিক্ষার্থী সেখানে এসেছিল। উদ্দেশ্য ছিল ওদের স্বপ্নের কথা জানা আর ছিল ওদের সঙ্গে স্বপ্নবান কিছু মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। আর সবটার উদ্দেশ্য তাদের সামনে আগামীর পথগুলোর সুলুক সন্ধান দেওয়া।

একটা প্যানেলের মডারেটর ছিলাম। এমন বৈচিত্রময় প্যানেল আমি খুব কমই মডারেট করেছি। সেখানে ছিল অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদুর হাসান সোহাগ, ফিল্ম মেকার অমিতাভ রেজা, শিক্ষক-গায়ক-অভিনেতা তাহসান, বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং অত্যন্ত সাহসী একজন মানুষ একাওর টিভির নাদিয়া শারমিন। ছবি এখানে

প্যানেলের বিষয় ছিল অলটারনেটিভ ক্যারিয়ার। ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বাইরেও যে একটা বড়, আনন্দময় এবং চমৎকার জগৎ আছে সেটার খবর জানানো।
আলাপটা শুরু হয় সোহাগকে দিয়ে। সোহাগ বলেছে কেন সে উদ্যোক্তা হয়েছে, কেন দলবল নিয়ে সে একটা অন্যরকম বাংলাদেশ গড়তে চায়। তার যন্ত্রণাটা কিসে? সে বলেছে – কোন কিছুতে কিছু যায় আসে না এরকম একটা দল আছে। সে সেই দলে থাকতে চায় না। কারণ সেটা তার ধাত নয়। সে জানে বাংলাদেশের পটেনশিয়াল অনেক বেশি। কেন আমরা সেখানে যেতে পারি না। নিশ্চয়ই পারবো। তাহসানের বক্তব্য ছিল দুইটা – কেমন করে সে ব্যালান্স করে পরিবার আর কাজের মধ্যে। মাঝে মধ্যে তাঁর আক্ষেপ হয় যে মেয়েকে সময়টা দেওযা যায় না বলে। বলেছেন কেন তিনি একটা সেট চাকরি ছেড়ে গানের জগৎকে বেঁছে নিয়েছেন। সাহসী নাদিয়া বলেছে তাঁর স্বপ্নই তাঁর অনুপ্রেরণার উৎস। অমিতাভ রেজা সুকান্তের ছাড়পত্র আবৃত্তি করে জানিয়েছেন নতুনদের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে চান তিনি। সেজন্য তাঁর যা সাধ্য তা নিয়ে কাজ করেন। নিজের তৈরি হওয়ার গল্প বলছেন। পুনেতে পড়ার সময় তিন বছরে মাত্র তিন হাজারের বেশি সিনেমা দেখেছেন, বই পড়েছেন অফুরন্ত। অমিতাভের কথার রেশই খুঁজে পাওয়া গেছে রিজওয়ানা হাসানের কথায়। পরিবেশের জন্য কেন লড়ছেন। কারণ সেটা আমাদের কাছে আগামী প্রজন্মের ঋণ। আমরা যদি পরিবেশকে ধ্বংস করি তাহলে সেটা আমাদের চেয়েও বেশি ক্ষতি করবে আগামীর লোকদের। এটুকু বুঝলেই বোজায যায় কেন তিনি একজীবন ধরে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন করে যাচ্ছেন। রিজওয়ানা আমাদের জন্য বয়ে এনেছেন ম্যাগসাসাই পুরস্কার।
সবাই স্বপ্নের কথা বলেছেন। বলছেন সেটি ছেড়ে না দেবার জন্য। আর সেটা পুরণের একাধিক হাতিয়ারের একটা হল- পড়, পড় এবং পড়। বেশ কয়েকটি বই এর কথা এসেছে। স্বপ্ন পূরণে বই কীভাবে কাজে লাগে তার দৃষ্টান্তও উঠে এসেছে। বইপড়া নিয়ে কিছু কথা এখানে পাওয়া যাবে।
এমন একটা অনুষ্ঠাে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ব্র্যাককে ধন্যবাদ।

আমার নিজের ধারণা একটা চমৎকার সেশন ছিল সেটি। সেটির ভিডিও জোগাড় করতে পারলে ভিডিওটি প্রকাশ করবো আমার ব্লগে এরকম একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসে। এখন সেটা যোগাড় হয়েছে। এবং এখানে তার লিংক দিয়ে দিলাম।

সবার জীবন পাই-এর মত সুন্দর হোক

 

Leave a Reply