গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-৯: পাবলিক-ইটি

Spread the love

গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-৮: ভাইরালিটি ইজ এ সায়েন্স, নট এ লাক

জোনা বার্গারের পরিচয় ভারালিটি নিয়ে তাঁর গবেষণার জন্য। তার মতে পাবলিকেশন হলো ভাইরালিটির সবচেয়ে ক্রিটিকাল কম্পোনেন্ট। তার মতে এমন প্রোডাক্ট ও উদ্যোগ নিতে হবে যা কিনা নিজে নিজের বিজ্ঞাপন। এ জন্য এটিকে “দেখতে পাওয়া দরকার”। এমন হতে হবে যেন দেখার পর বা ব্যবহারের পরও সেটার একটা জিস্ট থাকে।
উনি কো উদাহরণ দেননি। কাজে আমি ঐ লাইনে যাচ্ছি না। কিন্তু অন্যভাবে আমরা ব্যাপারটাকে সামনে আনতে পারি। এই যেমন আমাদের গণিত অলিম্পিয়াড। এটি এমন একটা ব্যাপারে পরিণত হয়েছে যে, যারা অংশ নেয় তারাই এর বিজ্ঞাপকে পরিণত হয়। সে তারা পুরস্কার পাক বা না পাক। এটার মূল কারণ হলো পুরো অলিম্পিয়াডকে দেশপ্রেম, মুখস্ত না করা, বই পড়া, প্রশ্ন করা ইত্যাদি নানান জিনিসের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রথম আলো।
এই ব্যাপারটাও খুব ভাল করে বোঝা দরকার। কারণ গণিত অলিম্পিয়াডের সাফল্যের সঙ্গে কিন্তু প্রথম আলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু আপনার প্রোডাক্ট কী এরকম কোন মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে?

স্পোটিফাই-এর বিকাশের কথা ধরুন। মূল কথা হলো এটির ব্যপক জনপ্রিয়তার কারণ কিন্তু ফেসবুকের সঙ্গে এর সংমিশ্রন।  ২০১০ সালে চালু হওয়ার পর যখনই কেউ এটি ব্যবহার করেছে তখনই সে এটাকে ফেসবুকে শেয়ার করেছে। আর তার বন্ধুরা ভেবেছে – ও করেছে। তাহলে আমিও দেখি।

স্পোটিফাই-এর জন্য কাজটা সহজ ছিল কারণ সীন পার্কার দুটোইর বোর্ডে ছিলেন সেসময়। এটা তো আমার আপনার বেলায় হবে না। তাহলে উপায় কী?

এর মানে এই নয় যে, আপনি অন্যদের ওপর ভর করে তোমার প্রোডাক্টকে মোর পাবলিক করতে পারবা না। ড্রপবক্স কী করেছে? ওর তো ফেসবুকের সঙ্গে চুক্তি করার উপায় নাই। কাজে সে অন্য রাস্তায় গিয়েছে। যদি কেউ তার ড্রপবক্স একাউন্টকে ফেসবুক বা টুইটারের সঙ্গে লিংক করে তাহলে সে আরো ১৫০ এমবি ফ্রি দিয়ে দেবে!!!

হটমেইলের কথা মনে আছে। প্রত্যেক ই-মেইলের নিচে লিখে দেওয়া। এখন তো এপল, ব্ল্যাকবেরি বা স্যামসাং লিখে দিচ্ছে – Sent from my iPhone!!!

তবে, এসব ক্ষেত্রে এপলের চিন্তা অনেক আগ্রসী এবং অনেক অগ্রবর্তী। পাবলিসিটির ব্যাপারটা মনে হয় তাদের মতো কেউ বুঝতে পারে না। আইপডের আগে সব হেডফোন ছিল কাল। এপল করলো কি তাদেরটা করল শাদা!!! ভাবছেন, এটা নান্দনিক কারণে করছে? না, এটা বিজ্ঞাপনের কারণেই করছে। কারণ অচিরেই লাখ লাখ লোক হয়ে গেল তাদের হাটা বিজ্ঞাপন। কানের মধ্যে শাদা হেডফোন লাগিযে হাটছে। আর আশেপাশের লোকজন বুঝে ফেলছে যে সে এপল ব্বহার করছে!
আরও বুদ্ধি আছে। ওরা শুরু থেকে প্যাকেজিং-এর মধ্যে একটি করে স্টিকার দিয়ে দেওয়া শুরু করে।  এগুরোর অনেক একন গাড়িতর বাম্পারে, দেওয়ালে, ল্যাপটপের ওপরে শোভা পাচ্ছে! নতুনরাও এখন এসব বুদ্ধি ব্যবহার করছে।
রায়াল লিখেছে, সে যে সফটওয়্যার ব্যবহার করে তার আয়র দিয়েছে সেটা সবশেসে তাকে দিয়ে একটা টুইটার পোস্ট আদায় করে নিয়েছে।

এভাবে গ্রোথ হ্যাকাররা পাবলিসিটির কাজ টা করে নেয়ে বিনে পয়সায়, মজার কিন্তু কার্যকরী বুদ্ধি খাটিয়ে।

 

পরের পর্ব – গ্রোথ হ্যাকিং ইয়োর ভাইরালিটি

 

 

Leave a Reply