গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-৭: লেটস গেট টেকনিক্যাল

Spread the love

গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-৬: নট অল পিপল, রাইট পিপল

হলিউডের মতো আমাদের দেশেও সিনেমা মুক্তির এখনকার রীতি হলো একটা এক্সপেনসিভ প্রিমিয়ার শো করা। আর মার্কেটিয়া্ররা আশা করে এর মাধ্যমে টিকেট বিক্রি বাড়বে। তবে, গ্রোথ হ্যাকারদের ধারণা আলাদা। তাদের বক্তব্য হলো “আমাদের আরো টেকনিক্যাল হতে হবে”।
স্টার্টআপের বেলায় এই সমস্যাটা মধুর এবং উদ্ভাবনের জন্য মোক্ষম। কেননা, এখানে টাকা কম আর সব টেকি লোকদের কারবার। শুরুর দিকে মার্কেটিং, ফিনান্স সবই তো টেকিরা করে, যারা কিনা মার্কেটিং গুরুদের কোন বই পড়ে নাই। পড়ে নাই বলে তারা এমন সব কিছু করে যা হয়তো আগে কেউ করে নাই।
এয়ারবিএনবির কথাই ধরা যাক। মনে আছে তো? এয়ারবিএনবি হলো রিয়ালস্টেট শেয়ারের একটা প্ল্যাটফর্ম। তো, তাদের তো কোন মার্কেটিং লোক ছিল না। ইঞ্জিনিয়াররা আর কী করতে পারে কোডিং ছাড়া?
কাজে তারা মিলে কিছু চমৎকার কোড লিখে ফেললো। এর ফলে খুব সহজে যে কেউ তাদের এয়ারবিএনবির লিস্টিংটা ক্রেইগলিস্টে শেয়ার করতে পারলো। ক্রেইগলিস্ট এটা সহজে করতে দেয় না কিন্তু এয়ারবিএনবির ইঞ্জিনিয়াররা সেটা হ্যাক করে কাজটা সহজ করে ফেললো। ফলে অচিরেই দেখা গেল এয়ারবিএনবির মতো একটা অতি ছোট ওয়েবসাইট ক্রেইগলিস্টের কল্যানে হয়ে গেল জনপ্রিয় একটা সাইট।! এনড্রু চেনের মতে এই চিন্তাটা কোন ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিয়ারের মাথাতেই আসবে না। এটা কেবল কোন প্রোগ্রামারের মাথাতেই আসতে পারে। ক্রেইগলিস্ট থেকে নিজেদের কাস্টোমার ধরে আনাটা একটা অসাধারণ ব্যাপার।

এটা আসলে পুরাটাই মার্কেটিং নয়। এর অর্ধেক মার্কেটিং আর অর্ধেক ইঞ্জিনিয়ারিং আর এটার সাফল্য আসলে বলে দেয় এমন সাফল্যের জন্য বক্সের বাইরে চিন্তা করাটা খুবই দরকার। এমনকী বাজেটের বাইরেও।

আজকের দিনে কোন পন্য বিপননের শুরুতে মার্কেটিয়ারদের প্রধান কাজ কিন্তু ব্র্যান্ড এস্টাবলিসমেন্ট নয় বরং প্রথম কাস্টোমারকে ধরে আনা। পাশাপাশি লয়্যাল কাস্টোমারদের একটা আর্মি বানানো যারা কিনা নানানভাবে মার্কেটিং-এর কাজই করে। আর ব্যাপারটা যদি ডিজিটাল হয় তাহলে তো তা হবে সোনায় সোহাগা কারণ তাহলে তাদের সবাইকে ট্র্যাক করা যাবে।

সীন এলিস, যার মাথা থেকে গ্রোথ হ্যাার শব্দটা বের হয়েছে তার মতে প্রথম এক দুই বছর কাস্টোমারের পেছনেই বেশি শ্রম দিতে হবে, ব্র্যান্ডের পেছনে নয়। তোমার স্টার্টআপটা এমনই হতে হবে যা কিনা একটা গ্রেট প্রোডাক্ট। সেটার টেকনিক্যার ব্যাপারটা নিখুত হবে যাতে তা ব্যবহারকারীকে প্ররোচিত করে শেয়ার করার জন্য। ঢাকার উবার ব্যবহারকারীদের কথা মনে আছে? প্রায় সবাই তাদের প্রথম রাইডের ছবি স্যোসাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছে। কেন?
উবারের লোকেরা এটাকে এতো সহজ করেছে যে যে কেউ কোন কষ্ট ছাড়াই এটা করতে পেরেছে।

এটাই হলো লেটস গেট দ্যা টেকনিক্যালের মূল কথা।

পরের পর্ব –ভাইরালিটি ইজ এ সায়েন্স, নট এ লাক

 

Leave a Reply