গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-১০: গ্রোথ হ্যাকিং ইয়োর ভাইরালিটি

Spread the love

গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-৯: পাবলিক-ইটি

ড্রপবক্সের আর তাদের ভিডিওর কথা মনে আছে? শুরুতে স্যোসালমিডিয়া আর ঐ ভিডিও দিয়ে ড্রপবক্স তার প্রথম কিস্তির ব্যবহারকারীদের পেয়ে যায়। এরপর তাদের সামনে দুইটি রাস্তা খোলা ছিল, নতুন এবং আরও গ্রাহক সংগ্রহের জন্য। প্রথমত আরও ভিডিও বানিয়ে ফেসবুক/টুইটারে হাওকাও করা। অথবা ট্র্যাডিশনাল ব্র্যান্ডবিল্ডিং-এ ঝাপায় পড়া। ওরা হিসাব নিকাশ করে দ্বিতীয় পদ্ধতিতে গেল। কিছুদিন পরে হিসাব করে বের করলো এপদ্ধতিতে একজন নতুন ব্যবহারকারী পাওয়ার জন্য ওদের খরচ হচ্ছে ২৩৩ থেকে ৩৮৮ ডলার। প্রায় ১৪ মাস এই কারবার করার পর পর হঠাৎ আলোর ঝলকানি তারা দেখতে পায়। এ সময় ওরা অনেকের সঙ্গে কথা বলে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সিন এলিস। সিনের সঙ্গে আলাপের ফলশ্রুতিতে ড্রপবক্স স্টার্ট-আপ জগতের অন্যতম ভাইরাল হওয়া রেফারেল সিস্টমের জন্ম দেয়!

 

খুবই সোজা একটা পদ্ধতি যা তাদের সেবার হোমপেজে দেওয়া হল, “Get free space”। ব্যবহারকারী নিজের জন্য অতিরিক্ত ৫০০ মেগাবাইট স্পেস জোগাড় করতে পারবে যদি তার রেফারেন্সে নতুন কেউ ব্যবহারকারী হয়। এটা করার সঙ্গে সঙ্গে সাইন আপ বেড়ে যায় ৬০% এবং এক মাসের মধ্যে নতুন ২৮ লক্ষ ব্যহারকারী পাওয়া যায়!!!

মনে আছে তো, একজন নতুন ব্যবহারকারী পাওয়ার জন্য বিজ্ঞাপনের খরচ ছিল ৪০০ ডলারের  কাছাকাছি? এ অনেকেটা এ/বি টেস্টের মতো- রেফারেল ভার্সাস পেইড এড এবং রেফারেলের বিজয়। আর সেটা বোঝার জন্য বড় গণিতবিদের প্রয়োজন হচ্ছে না। এখনও ড্রপবক্সের ৩৫% নতুন ব্যবহারকারী রেফারেলেই পাওয়া যাচ্ছে।

পুরো ঘটনা থেকে একটা বিষয় তোমার মাথার মধ্যে ঢুকাতে হবে যা প্রায়শ আমরা ভুলে যাই। সেটি হলো ভাইরালিটি কিন্তু তোমার প্রোডাক্টের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং প্রোডাক্টকেই কোন না কোনভাবে সাপোর্ট করবে। শেয়ার করার প্রকৃত কারণ থাকতে হবে, নচেৎ হবে না।

কাজটা সোজা নয়। তবে, চোখ কান খোলা রাখে এমন একটা কিছু করা সম্ভব। এতক্ষনে নিশ্চয় বোঝাগেছে যে, বহুত কষ্ট করে একটা ইউটিউব ভিডিও বানালেই সেটা ভাইরাল হবে না কিংবা সেটা বানিয়ে আশায় থাকলেও কাজ হবে না। ভিডিওটি এমন হতে হবে যেন একটা কমিউনিটি সেই দায়িত্ব নেয়। এবং কাজটা সহজ হয়।

ভাইরালিটি ইজ নট এন্ড এক্সিডেন্ট, ইট ইজ ইঞ্জিনিয়ার্ড।

পরের পর্ব – রিটেনশন ইজ দ্যা গ্রোথ

 

Leave a Reply