ইমোশনাল মার্কেটিং-৪ : হাটি হাটি পায়ে পায়ে দেখো না
ইমোশনাল মার্কেটিং-৩ : আবেগের আমি , আবেগের তুমি, আবেগ দিয়ে যায় চেনা
আমাদের উদ্দেশ্য হলো মার্কেটিং-এ এই ইমোশনকে কাজে লাগানো। আর এটা শুরু করতে হবে টার্গেট অডিয়েন্স ঠিক করে। আপনার প্রোডাক্ট (পণ্য বা সেবা দুইটাকে বোঝানোর জন্য প্রোডাক্ট বলবো ঠিক করেছি)-এর টার্গেট মার্কেট ঠিক করে কাজটা শুরু করতে হবে। যদি আপনি হ্যাপিনেসকে টার্গেট করেন তাহলে সেটা যেন প্রতিভাত হয় কপি, মিডিয়া, গ্রাফিক্স, মডেল সবখানেই।
আমরা আমাদের আরেকটা ছোট্ট বিজ্ঞাপন নিয়ে ভাবতে পারি। সেটা হচ্ছে বাটা কোম্পানির। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন বাটার এই বিজ্ঞাপনটি টেলিভিশনে দেখানো হতো। তখন টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন মানে একটা বা দুইটা স্থিরচিত্র। আর প্লেব্যাকে কথা। (আমার ঠিক মনে নেই) সম্ভবত বাটার এই বিজ্ঞাপনটা দিয়েই আমাদের বিজ্ঞাপন জিঙ্গেল জগতে প্রবেশ করে। তিনটা বা চারটা ছবি, ক্যারিকেচার টাইপের, হাতে আঁকা। এর জিঙ্গেলটি ছিলো খুব মজার,
“হাটি হাটি পায়ে পায়ে দেখ না,
ছোটমণি কোথায় যায় বলো না,
বাটার দোকানে বুঝি যায় সে,
এমন সময় তারে পিছু ডেকো না’।
এই বিজ্ঞাপন দিয়ে সেসময় বাটা বলতে গেলে একচেটিয়াভাবে বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েদের স্কুলের জুতার অংশটি দখল করে ফেলে। এবং এই বিজ্ঞাপনটি হয়েছে ভাইরাল। তখন তো ফেসবুক ছিলনা। ভাইরালিটি বোঝার তখন উপায় ছিল একটা – ওয়ার্ড অব মাউথ হয়েছে কিনা, সেটির প্যারোডি হয়েছে কিনা? বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তখন এই জিঙ্গেলটা বিভিন্ন মজার কাজে ব্যবহার করতো। তেমনই একটি ভার্সন হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের তৈরি করা প্যারোডি।
“হাটি হাটি পায়ে পায়ে দেখ না,
চেয়ারমান স্যার কোথায় যায় বলো না,
ম্যাডামের রুমে বুঝি যায় সে,
এমন সময় তারে পিছু ডেকো না”
এই যে একটি জিঙ্গেল বা একটি গানের কথা সব মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া এটা কিসের আবেগ ব্যবহার করেছে, কোন আবেগটা ব্যবহার করেছে এবং কোন ইমোশনটা ব্যবহার করেছে সেগুলো যদি আমরা ঠিক মত বুঝতে না পারি তাহলে আমাদের ইমোশন মার্কেটিং নিয়ে কাজটা ঠিকমতো করা যাবে না।
4 Replies to “ইমোশনাল মার্কেটিং-৪ : হাটি হাটি পায়ে পায়ে দেখো না”
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.
খুব ভালো হয়েছে। তবে ছোট ছিল।
পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় স্যার।