চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব : উদ্যোক্তা সম্মাননা পেলেন যারা
চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব-এর উদ্যোগে ২০১৪ সালের নবীন উদ্যোক্তা স্মারক, উদ্যোক্তা সম্মাননা ও নুরুল কাদের সম্মাননা ২০১৪ প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বলার জন্য সম্মাননা পাওয়াদের একটা ছোট ব্রিফ আমি তৈরি করেছি। অনুষ্ঠানে কাগজ দেখে দেখে সেটি আমি আর হুর-এ-জান্নাত পড়ে শুনিয়েছি। আমি নিশ্চিত যে, এই ছোট্ট বর্ণনায় আমাদের উদ্যোক্তাদের মোটেই তুলে ধরা যায়নি। তবেও একটা কিছু হিসাবে রেখে দিচ্ছি। পরে সময় নিয়ে সবগুলো প্রোফাইল আপডেট করে দিব, ইনশা আল্লাহ!
সম্মাননা যারা পেয়েছেন তাঁদেরকে অভিনন্দন। পথচলা চলতে থাক।
নুরুল কাদের সম্মাননা ২০১৪
মাহমুদ হাসান খান, Trip to Bangladesh
মাহমুদ হাসান খান ট্রিপ টু বাংলাদেশ নামে একটি ট্যুর কোম্পানী চালান। মুলত এটি ট্যুর অপারেটিং কোম্পানী হলেও এর মূল কাজ বাংলাদেশে আসা বিদেশি পর্যটকদের নানান রকম সেবা দেওয়া। এবং কখনো কখনো সেটি টাকা-পয়সা ছাড়া। মাহমুদ আমাদের দেশের পর্যটনের একটি নতুন দিক উন্মোচন করেছেন, গ্রাম বাংলা ট্যুরিজম। মুলত গ্রাম বাংলাকেই প্রমোট করে থাকেন। সব বিদেশী অতিথিকেই বরিশালের খালবিলগুলোত ৬ ঘন্টার একটা ট্যুর করাতে নিয়ে যান আর এবং গ্রামের একটা গৃহস্ত বাড়িতে ১-২ দিন রাখার ব্যবস্থা করেন। অতিথিদেরকে বিনামুল্যে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকেন। যেমন- তাদের ট্রিপ প্লান করে দেয়া, ট্রেন বাস টিকেট বুক করা, হোটেল রিজারভেমন। এসব কাজই করা হয় কোনপ্রকার অতিরিক্ত চার্জ ছাড়া। মুলত দেশের গ্রামগুলো এবং নদী খাল বিলগুলোতে ট্যুর অপারেট করে থাকা। এছঅড়া সুন্দরবনসহ নানান বনাঞ্চল এবং হাওড় এ আমরা আমাদের ট্যুরিষ্টদের পঠিয়ে দেশের অপরিচিত ট্যুরিষ্ট স্পটগুলো আস্তে আস্তে পরিচিত করছেন।
মাহমুদ ও তাঁর উদ্যোগ সম্পর্কে আরো জানা যাবে ফেসবুকের এই লিংক থেকে
উদ্যোক্তা সম্মাননা ২০১৪
১। মাহমুদুল হাসান সেলিম, Freelance IT Lab, ময়মনসিংহ
বুয়েট থেকে পাস করে মাহুমুদুল হাসান সেলিম ফিরে গিয়েছেন তার শহর ময়মনসিংহে এবং ২০১২ সারে গড়ে তুলেছেন ফ্রিল্যান্স আইটি ল্যাব। উদ্দেশ্য আইটতে দক্ষ জনগোষ্ঠি গড়ে তোলা। প্রথমদিকে যাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তাদের ১৭ জনকে চাকরিও দিয়েছেন। পর্যন্ত ৫০০এর বেশি লোকের প্রশিক্ষণ দিয়েছে তার প্রতিষ্টান। আগামী পাঁচ বছরে আরো ৫০০০ জনকে প্রশিক্ষিত করতে চান। কেবল আইটি নয় ময়মনসিংহে তাঁকে ঘিরে আবর্তিত হয় বিজ্ঞানের নানাবিধ কার্যক্রম। ময়মনসিংহ বিজ্ঞান জনপ্রিয় করণ সমিতির মূল লোক সেলিম। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখেন গ্রুপের ময়মনসিংহ চ্যাপ্টারকে।
২। আরাফাতের রহমান শিবু, Binary Image,চট্টগ্রাম
আরাফাতের রহমান শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেন। ২০০৯ সাল থেকে কাস্টম সফটওয়্যার এবং সফটওয়্যার এজ এ সার্ভিস হিসাবে ব্যবসা করছে তার প্রতিষ্ঠান বাইনারি ইমেজ। বর্তমানে তার কর্মী সংখ্যা পূর্ণকালীন ও খন্ডকালীন মিলিয়ে মোট ৪৮ জন। চট্টগ্রামের প্রায় সব স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিবুর গ্রাহক।
ছবিতে যে রকম ড্যাশিং-ডুশিং মনে হচ্ছে বাস্তবে সেরকম নন হাসিখুশী, সদালাপী এবং “না” বলতে না পারা এই লোকটি। ব্যবসা, উদ্যক্তা উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান। বলেন – শেয়ারিং নলেজ ইজ পাওয়ার!
৩। এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বায়েজিদ, Viper.com.bd
মোস্কফিজুর রহমান বায়েজিদের ভাইপার ডট কম চামড়া ও চামড়াজাত সামগ্রী নিয়ে কাজ করেন। পারিবারিক বাঁধাকে অতিক্রম করে বায়েজিদ এখন এগিয়ে চলেছেন। এরই মধ্যে ঢাকার বাইরেও ডিলার তৈরি করতে শুরু করেছেন। সম্প্রতি এক জেলার একজন ব্যবসায়ী একটি বিখ্যাত ব্র্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি শোরুমের ব্যাপারে। তার বক্তব্য ছিল তার দোকানে ঔ ব্র্যান্ড এবং ভাইপারের প্রোডাক্ট থাকবে। ঐ প্রতিষ্ঠানটি রাজী হয়নি কোথাকার কোন ভাইপারের জন্য। তারা শর্ত দিয়েছে ঔ শো-রুমের মালিককে যে ভাইপার থাকলে তারা প্রোডাক্ট দিবে না। ঐ মালিক বলে দিয়েছেন আপনাদের প্রোডাক্ট না হলেও আমার দোকান চলবে কিন্তু ভাইপারের প্রোডাক্ট আমি রাখবোই।
৪। সাইফুল ইসলাম, AmarGadget.com
সাইফুল ইসলাম চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব-এর প্রথম কর্মশালা শেষে ফিরতে ফিরতে সিদ্ধান্ত নেন উদ্যোক্তা হওয়ার। এক বন্ধুর কাছ থেকে মাত্র ৫০০০ টাকা নিয়ে শুরু করেন আমার গ্যাজেট এখন তার শো রুম, অফিস আছে। এবং মাসিক টার্নওভারই ঐ পূজির শতগুণেরও বেশি। সাইফুল আমাদের গ্রুপের প্রথম সরাসরি উদ্যোক্তা। বর্তমানে পরিকল্পনা করছেন ব্যবসা প্রসারের। প্রয়োজনে নিজেই পন্য ডেলিভারী দিকে কোন পিছপা হোন না!
৫। আশিকুল আলম খাঁন, Priyoshop.com
আশিকুল আলম খাঁনের ই-কমার্স উদ্যোগ প্রিয়শপ ডটকম। প্রিয়শপ ডটকমের মাধ্যমে কাস্টমার পাচ্ছে ই-কমার্স সম্পর্কে পজিটিভ ধারণা, তরুণ বেকার যুবক পাচ্ছে চাকুরির সুযোগ এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, ই-কমার্স ইকো সিস্টেমে থাকা সকলে পাচ্ছে সুন্দর একটি ব্যবসায়িক মাধ্যম। ২০১৩ সালে যাত্রা করার পর ২০১৪ সালেই প্রিয়শপ ডটকমের সফলতার পথ উন্মোচন হয়। বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয় ৭৫%, ১৪ জন নতুন কর্মীসহ মোট কর্মী হয়েছে ২৩ জন এবং কাস্টোমার বেড়েছে মাত্র ১৮০%।
৬। সীমা হালদার, Rangdhanu Jamdani, রাঙ্গামাটি
কৃষিবিদ সীমা হালদার স্বামীর চাকরি সূত্রে রাঙ্গামাটিতে থাকেন। সেখানে বসে জামদানী শাড়ির ডিজাইন করতে শুরু করেন এবং চালু করেন রংধনু জামদানী। অতি সম্প্রতি তিনি একটি পর্যটন ব্যবসাও শুরু করেছেন।
৭। নাহিদা পারভিন, IT Solution Dinajpu, দিনাজপুর
নাহিদা পারভিন ২০১২ সাল ১ মার্চ নিজের একটা কম্পিউটার নিয়ে উদ্যোগের সুচনা করেন। পরিকল্পনা এবং অভিজ্ঞতার অভাবে প্রথম বছর বার বার ব্যর্থ হলেও দমে যাননি। ২য় বছর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেত শুরু করেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, এস.ই.ও, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি সকল বিষয়ে প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজ করে তার প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে নতুনদের প্রশিক্ষণও দেন। ২০১৪ সালের ১৫ জন কর্মী অচিরে ৬০ জনে উন্নীত হবে বরে আশা করছেন।
৮। বিপ্লব ঘোষ রাহুল, eCourier Ltd
বিপ্লব ঘোষ রাহুল পাস করে কিছুদিন চাকরি করেছেন তবে সেটা যে তার জায়গা নয় সেটি বুঝে ফেলেছন সহসা। প্রথমে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানেরসঙ্গে অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে যুক্ত হোন। পরে নিজেই ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের ডেলিভারিতে সহায়তা করার জন্য গড়ে তোরেন ই-কুরিয়ার। তাঁর সবুজ প্রতিষ্ঠান ই-কুরিয়ারের কর্মীরা সবাই বাই-সাইকেল ব্যবহার করে। ২৭ জন কর্মীর ১৯ জনই নিয়োগ পেয়েছে ২০১৪ সালে। গ্রুপ উদ্যোক্তাদের অন্যতম যিনি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নিয়েছেন নিজের প্রতিষ্ঠানে।
৯। শফিউল আলম বিপ্লব, Advanced Apps Bangladesh (AAPBD)
এডভান্সড এপ বাংলাদেশ একটি মোবাইল এপস তৈরির প্রতিষ্ঠান। আমেরিকা, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের জন্য এপস তৈরি করেন। শাবিপ্রবি থেকে পড়ামোনা শেষ করেই একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তবে, সেখানে থাকা হয়নি। পরে আলাদা করে গড়ে তুলেছেন এএপবিডি। ২০১৪ সালের নতুন ১০ জন কর্মী সহ এখন মোট কর্মী ২২ জন। ২০১৪ সালের টার্নওভার দেড় কোটি টাকার বেশি।
নবীন উদ্যোক্তা স্মারক ২০১৪
১। লিটন দেব নাথ coxsbazareshop.com
পর্যটন শহর কক্সবাজারে থেকে অসংখ্য পর্যটক ফেরার সময় সঙ্গে নিয়ে ফিরেন কক্সবাজারের শুটকি মাছ, বার্মিজ আচারসহ হরেক রকমের প্রসাধনী। এগুলো কক্সবাজার ছাড়া অন্যত্র পাওয়া দুষ্কর। দ্বিতীয়বার চাইলেও সেই পণ্য কক্সবাজার ছাড়া বাংলাদেশের আর কোথাও পাওয়া যায় না। কক্সবাজার ই-শপ সেই সব পণ্য বাংলাদেশের আনাচে-কানাকে পৌছে দিচ্ছে স্বল্প সময়ের মধ্যে। বিষ ও ক্যামিক্যাল মুক্ত সামুদ্রিক শুটকি, ফরমালিন মুক্ত সামুদ্রিক মাছ ছাড়াও আচার, চকলেট, আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, আদিবাসী ও রাখাইনদের তৈরী ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প ও শামুক-ঝিনুকের তৈরি বিভিন্ন শো-পিস অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করছে কক্সবাজার ই-শপ। এছাড়া ঢাকার ফার্মগেটেও একটি আউটলেট আছে। কর্মীর সংখ্যা ৮ জন।
২। কায়সার হামিদ, New Moon Clothing Design House
বাংলাদেশী পোষাকের একটি নতুন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করে নিউ মুন ক্লথিং ডিজাইন হাউজ। শুরুতে ছিল ৪টি মেশিন আর ২ জন কর্মী ও উদ্যোক্তা নিজে। শুরু ছিল টি-শার্ট। এখন আরো ৯টি মেশিন যুক্ত হয়েছে। টি-শার্ট, পলো শার্টের সঙ্গে যুক্ত হয়েচে ছোটদের-বড়দের লেগিংস। ফেসবুক এবং ওয়ার্ড অব মাউথের মার্কেটিং। পূর্নকালীন কর্মী এখন ৫জন। তৈরি পোষাক পাওয়া যাচ্ছে দেশের কয়েকটি জেলায় এবং রপ্তানী হচ্ছে মালয়েশিয়াতেও।
৩। আশফিয়া আহমেদ এবং মাহমিদ হাসান সামেল Sugar Puffs
সুগার পাফস-এর যাত্রা শুরু হয় ১৭ই আগস্ট, ২০১৪ ইং। আশফিয়া আহমেদ এর নেশা ছিলো কেক বেক করা। সেই নেশাকে পেশাতে পরিণত করতে ফেসবুকে একটি পেজ খোলা হয়। শুরু করার তিন মাসের মধ্যেই অভাবনীয় সাড়া পরে যা উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করে সুগার পাফসকে নিজেদের পেশা এবং পরিচয় হিসেবে দাড় করাতে। প্রথম তিন মাসেই আমাদের সেলস ছয় ডিজিট পৌঁছে যায় প্রতি মাসে। সাফল্যের জন্য সবসময় আসল উপকরণ ব্যবহার করা এবং কাস্টমার রিলেশন বজায় রাখাকে এগিয়ে রেখেছেন তারা। দুই উদ্যোক্তা ছাড়া এখন ৪ জন কর্মী রয়েছে।
৪। দেওয়ান সাহেদুর রহমান, Skilled Home Soft, রংপুর
দেওয়ান শাহেদুর রহমান ঢাকা শহরে পড়াশোনা করে এখন চলেগেছেন রংপুরে। সেখানেই তিনি গড়ে তুলেছেন স্কিলড হোম। মূলত আইটি সেবা রপ্তানী করেন দেশের বাইরে। কর্মীর সংখ্যা ৬।
৫। এমরাজিনা আই খান, Creative Kittens
এমরাজিনা শুরু করেছিলেন ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে, গ্রাফিকসের কাজ করতেন। গড়ে তুলেছেন নিজের প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ কিটেন। অনলাইনে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের বিশ্বব্যাপী আন্দোলন টেইক ব্যাক দ্যা টেকের বাংলাদেশর লোগোটি তার ডিজাইন করা। এমরাজিনার টিমে এখন ৮ জন।
৬।মো: শামসুদ্দিন (জাফর), bdagromarket, রাজশাহী
শামসুদ্দিন জাফর রাজশাহীর বাগান থেকে ফরমালিন সুক্ত আম সরবরাহ করেন সারা দেশে। বিষমুক্ত ফলের জন্য তার সংগ্রাম।
৭। ফারজানা হাসিন, Saffan Trades International – Pvt. Ltd
ফার্মাসীতে পড়াশোনা করে ফারজানা হাসিন এখন Saffan Trades International (Trading /Buying /Import /Export) এবং One Stop Shop BD (E-Commerce Online Shopping) নিয়েই এগিয়ে যাচ্চেন। মাত্র ১ লাখ টাকা হাতে নিয়ে একা একা যাত্রা শুরু করে মাত্র ১ বছরের মধ্যে ৮ জন কর্মী আর আট লাখ টাকা পূজির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
৮। খালেদ মাহমুদ, Boondhu.com
মিডিয়াকর্মী হিসাবে আমাদের উদ্যোক্তা হাট কভার করতে এসেছিলেন খালেদ। কভারতো করেছেনই আর সেই সঙ্গে এতই অনপ্রাণিত হয়েছেন যে মিডিয়ার চাকরি ছেড়ে দিয়ে পথে নেমে পড়েছেন বন্ধু ডট কম নিয়ে।
৯। সলেহীন সাগর, TechCare Bangladesh
রাজশাহী রুয়েটে পড়াকালীন সময়ে চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব – এর প্রথম সম্মাননার ছবি দেখে সলেহীন দেখলেন কারা কারা পেয়েছে, তাদের কি কি উদ্যোগ ছিল, তাদের সফল হওয়ার গল্প। সেটিই তার প্রথম অনুপ্রেরণা। মনে মনে খুব ইচ্ছা হয়েছে- “আমি কি এমন কিছু করতে পারি না! আমি কি পেতে পারি না এমন সন্মাননা। ”
তারপর বাকি পথ মাহমুদুল হাসান সোহাগ তাকে দেখিয়েছেন। রাজশাহীতে ২০১৩ এর মে তে শুরু করে TechCare Bangladesh নামের startup। তারঁ নাকি ব্যবসায় পুজির কথা ভাবলে মনে হত আমার কথা “টাকা যোগাবে ভূতে” । কোচিং এ ক্লাস নিয়ে কিছু টাকা আসত আর ফ্রেন্ডদের কাছে ধার নিয়ে শুরু। প্রথমে ছিল অনলাইনে কম্পিউটার বিক্রি এবং খুব ভালো মানের Home Servicing। ভালোই চলছিল কিন্তু এই উদ্যোগের expansion আর Branding এর জন্য অনেক বেশি funding প্রয়োজন ছিল তাই survival এর জন্য mobile Apps বানানো শুরু করে সাগর ও তার দল। এটাতেও তারা ভালো করে। এখন আমরা client এর কাজ করে আর বাংলাদেশের সমস্যা Apps এর মাধ্যমে সমাধান করার চেস্টা করে।
Station Master, Prohoree, নবান্ন এইসব আমাদের বানানো এপস। নবান্ন App দিয়ে শস্যের পাতার ছবি তুললে সেটি বলে দেয় কী রোগ হয়েছে এবং পাতার কোথায় রোগ হয়েছে তাও শনাক্ত করে। রাজশাহীতে একটা অফিস আছে। আর ঢাকায় কাজীপাড়াতে আমাদের এখন ছোট্ট একটা অফিস। ১৪ জন এখন কাজ করে সাগরের সঙ্গে।
১০। আবু আশরাফ মাসনুন, Transcendio, খুলনা
খুলনাতে একটি আইটি ফার্ম গড়ে তুলেছেন আবু আশরাফ মাসনুন। এরই মধ্যে হয়ে উঠেছেন নতুনদের কাছে আদর্শ।
১১। মুনাফ অর্নব, Green IT, রাজশাহী
রাজশাহীর গ্রীণ আইটিতে এখন কর্মীর সংখ্যা ২৮ জন। নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও তারা কাজ করে চলেছে। আইটি আইট সেবা নিয়েই তাদের কাজ।
১২। সৈয়দ রেজওয়ানুল হক ও শাহজাহান জুয়েল, TechNext, সিলেট
সৈয়দ রেজওয়ানুল হক ও শাহজাহান জুয়েল সিলেটে মাত্র ১৮জনের একটি টিম নিয়ে কাজ করে চলেছে টেকনেক্সে। তৈরি করছেন নিজের পন্য ও সেবা যা আগামীতে তাদের আরো বড় আসরে নিয়ে যাবে। এক বছরে তাদের ব্যবসা বেড়েছে মাত্র ১২ গুন!
১৩। এমা নাইয়েরা (রমানা শারমিন), Da pop-up factory
রুমানা শারমিনের দ্যা পপ-আপ ফ্যাক্টরি বাংলাদেশে প্রথম বারের মত বাচ্চাদের পপ আপ থ্রিডি বই আর সবার জন্য পপ আপ উইস কার্ডস তৈরি করছে। এ পর্যন্ত তিনটি বই এবং পাচটি কার্ড এর প্রোডাকশন করেছি আর তিনটির মত নতুন প্রোডাক্ট বর্তমানে প্রোডাকশন এর জন্য রেডি করা হচ্ছে । পূর্কালীন ও খন্ডকালীন মিলে মোট পাচ জন কর্মী।একেবারে নতুন ধরনের নতুন কিছু তৈরি করে সেটাকে মানুষজনের মধ্যে পরিচিত করা এবং দেশীয় টেকনxলজি ব্যবহার করে তার ম্যাস প্রোডাকশন করা এক ধরনের চ্যালেঞ্জই ছিল তার জন্য জন্য। প্রোডাক্ট পাওয়া যায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের বুকস্টোর গুলোতে। আগামীতে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চান।
উদ্যোক্তা বান্ধব গণমাধ্যম
স্টার্ট, যমুনা টেলিভিশন
যমুনা টেলিভিশন দেশের প্রথম চ্যানেল যারা স্টার্টআপ উদ্যোগ ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করছেন একটি আলাদা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। স্টার্ট! নামের এই প্রতিষ্ঠানটি খুঁজে বেড়ায় নতুন উদ্যোক্তাদের এবং তাদের নিয়ে আসে টেলিভিশনের পর্দায়।
[তথ্যে কোন ভুল থাকরে এবঙ যাদের ছবি নেই, তাদেরকে আমার ইনবক্সে বা মেইলে একটি ছবি পাঠানোর জন্য অনুরোধ করছি]