ডেলিভারি হ্যাপিনেজ ১২ : কলেজের শেষ দিনগুলি
আমার সিনিংর ইয়ারে রুমমেট সঞ্চয় আমাকে একটা নতুন জিনিষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়- ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব(www)। আমি একবার ভাবলাম এটিকে নানান দিক থেকে এক্সপ্লোর করাটা নিশ্চয় অনেক মজার হবে। কিন্তু আমি এই কাজে বেশি মনোযোগ দিলাম না!
অন্য সকল সিনিয়রের মতো আমারও লক্ষ্য ছিল গ্র্যাজুয়েশন শেষ হওয়ার আগে একটা চাকরি যোগাড় করা। দেশের প্রায় সব জায়গা থেকে এবং সব শিল্প থেকে কোম্পানির লোকেরা হার্বার্ডে এসে পড়েছে। উদ্দেশ্য আমাদের ইন্টারভিউ যাতে আমাদের দৌড়াদৌড়ি করতে না হয়।
আমার বেশিরভাগ বন্ধু ও রুমমেটরা ব্যাংক কিংবা ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি ফার্মে আবেদন করেছে। কারণ সেটাই “হট জব” হিসাবে পরিচিত। আমার কাছে দুটোই বোরিং। আমি আবার শুনেছি যে কখণো কখনো ১৬ ঘন্টাও অফিস করা লাগে।
কাজে আমি আর সঞ্জয় টেকনোলজি কোম্পানিগুলোতে ইন্টারভিউ দিতে শুরু করলাম। আমার নিজের লক্ষ্য ছিল সহজ- কম কাজে বেশি টাকা পাওয়া। কোম্পানির নাম ধাম আছে কী না, কোম্পানি ভাল কিনা এসব নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা ছিল না। আমি চেয়েছি কাজ কম করবো কিন্তু টাকা বেশি পাবো। এমন একটা চাকরি বাগাতে।
আমার আর সঞ্জয়ের দুইজনেরই চাকরি হ ওরাকলে আর এভাবে আমরা প্রবেশ করলাম কলেজ থেকে রিয়েল লাইফে!
[এখানে শেষ হচ্ছে ডেলিভারিং হ্যাপিনেজের প্রথম অধ্যায়। আগামী পর্ব থেকে শুরু হবে রিয়েল লাইফে টনির লড়াই, সংগ্রাম এবং সুখ খোঁজার গল্প। টিল দ্যান, স্টে টিউন উইথ মি]
2 Replies to “ডেলিভারি হ্যাপিনেজ ১২ : কলেজের শেষ দিনগুলি”