ডেলিভারি হ্যাপিনেজ ১১ : আমার বন্ধু আলফ্রেড
আলফ্রেড আসলে আমাদের পিৎজার এক নম্বর কাস্টোমার। প্রতিরাতেই সে একটা লার্জ পিৎজা অর্ডার করতো।
কলেজে আলফ্রেডের দুইটা নিকনেম ছিল- হিউম্যান ট্র্যাশ কমপ্যাক্টর এবং মনস্টার। প্রতিবার আমরা ১০ ১২ জন মিলে চাইনীজ কং রেস্তোরায় খেতে গেলে আলফ্রেডের মহিমা বোঝা যেত। আমরা যা খেতে পারতাম না, প্লেটে রেখে দিলাম, আলফ্রেড একাই সব খেয়ে ফেলতো! আমি খুবই সোভাগ্যবান যে, আলফ্রেড আমার রুমমেট নয় ফলে ওর সঙ্গে আমাকে টয়লেট শেয়ার করতে হয় না!
এই কারণে আলফ্রেড যখন প্রতিদিন রাতে আস্ত একটা পেপোরনি পিৎজা অর্ডার করতো আমি অবাক হতাম। কিন্তু কোন কোন দিন কয়েকঘন্টা পরই ও আবার একটা আস্ত পিৎজা নিয়ে যেত। আমার মনে আছে আমি ভাবতাম- ছেলেটা খেতে পারে বটে!
অনেক বছর পরে আমি আবিস্কার করলাম আলফ্রেড আসলে এা ঐ পিৎজা খেত না। সেটা সে রুমে নিয়ে গিয়ে, স্লাইস করে রুমমেটদের কাছে বিক্র করতো! এই কারণেই আলফ্রেড শেষতক আমার সিএফও ও পরে সিওও হয়েছিল।
কয়েক বছর আগে আমরা একটা হিসাব করলাম। ফলাফল?
পিৎজা বিক্রি করে আমি কলেজে মোটের ওপর অনেক টাকা কামাইছি। কিন্তু ঘন্টা হিসাবে হিসাব করলে আলফ্রেডের আয় ছিল আমার চেয়ে ১০গুণ!
বছর শেষে আমার আয় হল ঘন্টায় মাত্র দুইটাকা!
2 Replies to “ডেলিভারি হ্যাপিনেজ ১১ : আমার বন্ধু আলফ্রেড”