গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-৪: কাজের জিনিষ কেমনে বানাই?

আগের পর্ব- গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-৩: কাজের জিনিষ কোথায় পাই? আগের পর্বে আমরা দেখেছি গ্রোথ হ্যাকার মার্কেটিয়াররা সম্পূর্ণ প্রোডাক্ট তৈরি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে না। তারা শুরু থেকেই প্রোডাক্টের গুনাগুন যাচাই-বাছাই-এর জন্য মার্কেট থেকে ফিডব্যাক নিতে থাকে এবং সেটি প্রোডাক্ট টিমকে জানায়। প্রশ্ন হচ্ছে এই কাজটি কেমন করে করা যায়। রায়ান তার বই-এ একটি উদাহরণ দিয়েছেন বই...

গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-৩: কাজের জিনিষ কোথায় পাই?

আগের পর্ব : গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-২ : কাজের জিনিষ বানাও একজন মার্কেটিয়ারের সবচেয়ে বড় দু:খ কী? এমন জিনিষ তাকে বিক্রি করতে বলা যা কী না কারও দরকার নাই!!! দরকারের ব্যাপারটা অবশ্য ইদানীং আপেক্ষিক। কারণ এমন অনেক পন্য বা সেবা বের হচ্ছে যা আগে মোটেই দরকার ছিল না। কিন্তু বের হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে সেটি ছাড়া...

গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-২ : কাজের জিনিষ বানাও

আগের পর্ব: গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং – টু বি অর নট টু বি বিগত কিছুদিন যাবৎ অনেক স্টার্টআপের সঙ্গে আমার ফান্ডিং নিয়ে আলাপ হচ্ছে। বেশিরভাগই হতাশ। কারণ সে অর্থ কোথাও ফান্ডিং পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যা পাওয়া যাচ্ছে সেটা প্রত্যাশিত নয়। এ নিয়ে একজন ইন্টারন্যাশনাল কনসালটেন্টের সঙ্গে আলাপ করলাম। তিনি আমার কাছে জানে চাইলেন ওরা যা নিয়ে...

বুকুন তুমি অঙ্কে তেরো!!!

আমি যখন ফোর/ফাইভে পড়ি তখন আমার দাদা বাড়িতে পিন্টুচাচা (আনোয়ার হোসেন পিন্টু, সাহিত্য সম্পাদক, পূর্বকোণ)-র মাধ্যমে আনন্দমেলার সঙ্গে পরিচয়। এর পর থেকে আমাদের বাসাতেই আমরা পাক্ষিক আনন্দমেলা রাখতাম। বড় ভাই সেগুলো কিছুদিন পরপর বাঁধাই করে রেখে দিতেন যাতে পরেও আমরা পড়তে পারি। আনন্দমেলার প্রায় সবকিছু গ্রোগ্রাসে পড়তাম। ফাই-এপসাইলন-লামডা-মিউ-ডেলটা-আলফার সঙ্গে আনন্দবাজারের আগেই পরিচয় হলেও প্রফেসর শঙ্কু,...

পিওন থেকে প্রকাশক

চট্টগ্রামের তামাকুন্ডি লেনের একটি কয়েক তলা বাড়ির দোতলায় আমার দাদা ইউনুস চৌধুরী থাকতেন। দাদা মানে আমার দাদীর ভাই। দাদীরা ছিলেন ১ বোন, তিন ভাই। তো সেই দাদার সবচেয়ে ছোট ছেলে, আনোয়ার হোসেন। আমাদের পিন্টু চাচা। ঐ বাসাতে গেলে আমি আর আমার ভায়ের লোভ থাকতো পিন্টু চাচার রুমের দিকে। কারণ ঐ রুম ভর্তি বই। খাটটা শুধু...

সহজ ভাষায় পাইথন

গতকাল বইমেলাতে ছিলাম কিছুক্ষণ। স্টলের ভেতরে বসা যায়নি। বাইরে দাড়িয়ে থেকে কারও সঙ্গে কথা বলেছি, গল্প করেছি আর এক দুইজনকে পড়ো পড়ো পড়ো তে অটোগ্রাফ দিয়েছি। এক ফাকঁ দেখলাম একটা হালকা পাতলা ছেলে একটা বই এগিয়ে দিল। গণিত উৎসবের ঘটনার পর থেকে আমি একটু সাবধান হয়েছি। দেখলাম এটি মাকসুদুর নহমান মাটিনের সহজ ভষায় পাইথন ৩।...

প্রোগ্রামিং-এ বলদ টু বস!!!

ঝংকার মাহবুবের কথা আমি প্রথম জানি তার বানানো একটা ভিডিও থেকে। তারপর সে আমাদের বিডিওএসএনে টক দিয়েছে, আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আমার প্রথম চাকরিতে কখনো কখনো আমাকে এক রাতেই কোন প্রোগ্রামিং ভাষার মূল ব্যাপারগুলো জেনে নিতে হতো। সে সময় আমি দেখি ইংরেজিতে বই পাওয়া যায় “ফর ডামিস”। মানে আমার মতো ফাঁকিবাজদের জন্য যাদের একটা বিষয়...

হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং

ঝংকার মাহবুবের কথা আমি প্রথম শুনি আমাদের সিইও কাম এসপি প্রমি নাহিদের কাছে। সে তখনো সিইও হয়ে ওঠে নাই। বিডিওএসএনের প্রোগ্রাম সংগঠক হিসাবে দিনভর নানান কাজ করে। তার কাছ থেকে একটা লিংক পেলাম। দেখাগেল ওয়েব প্রোগ্রামিং নিয়ে সাধারণের ভাষায় এমন ভিডিও আমার আগে কখনো দেখা হয়নি। তারপর দুইবার তার দুইটা অনুষ্ঠান করলো প্রমি। তো, এবারও...

মেয়েরা বড় হলে বাবাদেরই লাভ!!!

বাঘা আর মেনির কথা মনে আছে? মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে ক্যাম্পে এই পাপেট শো হতো। মোস্তফা মনোয়ার হতেন বাঘা আর সাইদুল আনাম টুটুল হতেন মেনি। তারেক মাসুদের সিনেমা মুক্তির গানে এই পাপেট শো দেখা যায়।  এই দুই মুক্তিযোদ্ধার হাত দিয়েই কিন্তু আমাদের দেশের পাপেট শিল্প। ছোটবেলায় যে কজন লোককে টেলিভিশনে দেখে তাদের মত হতে চাইতাম তারই একজন...

জুতা বেঁচে জুতা দান!!!

২০০৬ সালে ব্লেইক মাইকোস্কি আর্জেন্টিনা বেড়াতে গিয়ে একটা বেদনার মুখোমুখি হোন। তিনি দেখলেন আর্জেন্টিনার গরিব অনেক ছেলে-মেয়ে টাকার অভাবে জুতা কিনতে পারে না। খালি পায়ে থাকার ফলে তাদের নানান স্বাস্থ্য সমস্যা হয়। ব্লেইক সাহায্য করবেন ঠিক করলেন। তবে, সবাইকে অবাক করে দিযে তিনি কোন দাতব্য প্রতিষ্ঠান খুললেন না। বরং চালু করলেন একটি নতুন ফর-প্রফিট ব্যবসা...

ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ- পর্ব-১৫ : চাকরিটা আমি ছেড়ে দিচ্ছি, বেলা শুনছো?

 পর্ব-১৪ : ইয়্যু উইন সাম, ইয়্যু লস সাম-২ – নিজের কোম্পানি সেদিন সকালবেলা থেকে আমি খুব নার্ভাস। আজকেই আমার ওরাকলে চাকরি ছাড়ার দিন। বসকে বলবো, “চাকরিটা আমি ছেড়ে দিচ্ছি”। অফিসে এসে নিজেকে প্রস্তুত করতে শুরু করলাম। আধা ঘণ্টা ধরে হাঁটাহাঁটি করলাম, চেষ্টা করলাম, নিজেকে তৈরি করলাম এবং তারপর শেষ পর্যন্ত সাহস সঞ্চয় করে তার অফিসের...

পর্ব-১৪ : ইয়্যু উইন সাম, ইয়্যু লস সাম-২ – নিজের কোম্পানি

পর্ব-১৩ : ইয়্যু উইন সাম, ইয়্যু লস সাম-১ আমাদের ওয়েবসাইট কোম্পানির কয়েকজন গ্রাহক দরকার। আমাদের নিজেদের একটা বুদ্ধি ছিল কীভাবে আমরা আমাদের গ্রাহক যোগাড় করবো্। প্ল্যানটা হল প্রথমে আমরা স্থানীয় চেম্বার অব কমার্সকে তাদের ওয়েবসাইট বানিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেব, নিখরচায়। তারপর চেম্বারের ব্যবসায়ীদের বলবো – দেখো তোমাদের চেম্বারই তাদের ওয়েবসাইট আমাদেরকে দিয়ে বানিয়েছে। তোমারা চাইলে...

পেনসিলের প্রতিশ্রুতি-৫: স্বপ্নলোকের চাবি

পেনসিলের প্রতিশ্রুতি-৪ বারানসীর গঙ্গানদী পৃথিবীর অন্যতম ময়লা নদী – শিল্প ও মানব বর্জে দূষিত। কিন্তু একই সঙ্গে তা পৃথিবীর অন্যতম পবিত্রও বটে। বারাকা সিনেমাতে দেখার পর থেকে আমার ইচ্ছে আমি এই নদীর তীর ধরে হাটবো। আমাদের জাহাজ যখন সমুদ্র ঝড়ে পড়ে, তখন আমি অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি প্রার্থনা করেছি। আর একটি উদ্দেশ্য পূরণের...

পেনসিলের প্রতিশ্রুতি ৪ : সব পেনসিলের প্রতিশ্রুতি আছে

পেনসিলের প্রতিশ্রুতি ১ পেনসিলের প্রতিশ্রুতি ২ : লেখা হয়নি পেনসিলের প্রতিশ্রুতি ৩ : লেখা হয়নি   জীবন সংশয় থেকে ফিরে আসার পরও আমাদের সেমিস্টার এট সী কিন্তু অব্যাহত থাকলো। (আগের পর্বে সেমিস্টার এট সী’র কথা লেখার কথা)। এমভি এক্সপ্লোরার মেরামত করে আমরা আবার সমুদ্র যাত্রায় বের হয়ে পড়লাম। এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাওয়া,...

পেনসিলের প্রতিশ্রুতি-১

শরতের রৌদ্রকোজ্জ্বল বিকেল। আমার পঁচিশতম জন্মদিনের কয়েকদিন আগে। শহরের একটা বড় ব্যাংকে আমি হেঁটে হেঁটে ঢুকলাম। যা যা আমি ছোটবেলায় ভাবতাম তার সবই আমার আছে- চাকরি, এপার্টমেন্ট, জীবন! আমার বাসার আলমিরাগুলোতে কর্পোরেট কাপড়-চোপড়ের কোন কমতি নাই। আমার বিজনেস কার্ডে রয়েছে এমন একটা কোম্পানির নাম যা কী না আমি যেখানেই যাই, একটা সম্ভ্রম আমি পাই। আমি...

পর্ব-১৩ : ইয়্যু উইন সাম, ইয়্যু লস সাম-১

পর্ব-১২ আমার আর সঞ্জয়ের চাকরি হল ওরাকলে। আমার আরো অফার ছিল। তবে, ওরাকল যে কেবল সবচেয়ে বেশি টাকা দিচ্ছে তা নয়। বরং তারা আমাকে টাকা দিচ্ছে যাতে আমার কলেজ জীবনের সকল স্থাবর সম্পত্তি আমি ক্যালিফোর্নিয়ায় নিয়ে যেতে পারি। শুধু তাই নয়, আমাকে আর সঞ্জয়কে তারা বিনে পয়সায় তাদের কর্পোরেট হাউসিং-এ থাকতে দিয়েছে, নতুনদের প্রশিক্ষণ সময়কালটাতে।...

ডেলিভারি হ্যাপিনেজ ১২ : কলেজের শেষ দিনগুলি

আগের পর্ব আমার সিনিংর ইয়ারে রুমমেট সঞ্চয় আমাকে একটা নতুন জিনিষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়- ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব(www)। আমি একবার ভাবলাম এটিকে নানান দিক থেকে এক্সপ্লোর করাটা নিশ্চয় অনেক মজার হবে। কিন্তু আমি এই কাজে বেশি মনোযোগ দিলাম না! অন্য সকল সিনিয়রের মতো আমারও লক্ষ্য ছিল গ্র্যাজুয়েশন শেষ হওয়ার আগে একটা চাকরি যোগাড় করা। দেশের...

ডেলিভারি হ্যাপিনেজ  ১১ : আমার বন্ধু আলফ্রেড

আগের পর্ব আলফ্রেড আসলে আমাদের পিৎজার এক নম্বর কাস্টোমার। প্রতিরাতেই সে একটা লার্জ পিৎজা অর্ডার করতো। কলেজে আলফ্রেডের দুইটা নিকনেম ছিল- হিউম্যান ট্র্যাশ কমপ্যাক্টর এবং মনস্টার। প্রতিবার আমরা ১০ ১২ জন মিলে চাইনীজ কং রেস্তোরায় খেতে গেলে আলফ্রেডের মহিমা বোঝা যেত। আমরা যা খেতে পারতাম না, প্লেটে রেখে দিলাম, আলফ্রেড একাই সব খেয়ে ফেলতো! আমি...

ডেলিভারি হ্যাপিনেজ ১০ : কলেজে নিজের ব্যবসা

আগের পর্ব কলেজে আমি নানান কিছু জানতে, শিখতে এবং করতে শিখলাম। কলেজে একটা ফিল্ম সোসাইটি ছিল। তারা স্কুল অডিটরিয়ামে সিনেমা দেখাতো দর্শনীর বিনিময়ে। আয়-বরকত ভালই। আমার এক বন্ধুর ছিল গো-খামার। একদিন সেখানে গিয়ে কাটালাম। দেখলাম কীভাবে গাভীকে দোহন করে দুধ পাওয়া যায়! একদিন আইস স্কেটিং করতে গিয়ে পড়ে গেলাম। আমার চিবুক গেল কেটে, রাতের বেলায় করতে...

ডেলিভারি হ্যাপিনেজ ৯ : কত রবি জ্বলেরে? কেবা আখি মেলে রে?

আগের পর্ব হাইস্কুল শেষে আমি কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য ব্রাউন, ইউসি বার্কলে, স্ট্যানফোর্ড, এমআইটি, প্রিন্সটন, কর্নেল, ইয়েল এবং হার্বার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করি। এবং সবগুলোই ভর্তির সুযোগ পাই। এর মধ্যে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে একমাত্র বিজ্ঞাপনে মেজর করার সুযোগ আছে। আমার মনে হয়েছে বিজ্ঞাপনই মনে হয় ব্যবসার সরাসরি কাছের কোন ব্যাপার। কাজে ব্রাউনই ছিল আমার প্রথম পছন্দ। কিন্তু...