শরিয়তপুর থেকে রাজবাড়ি যাবার পথে আমাদের মাদারীপুর হয়ে যেতে হবে। আর একটা ফেরীও আছে। তো ফেরীটা খুবই মজার। কারণ মনে হল ফেরী ছাড়লো আর আমরা ঐ পাড়ে পৌঁছে গেলাম! তবে, রাস্তা মাশাল্লাহ! মনে হয় যোগাযোগমন্ত্রী ঐদিকে কখনো যাননি। (তখন কি জানতাম রাজবাড়ি থেকে ফেরার পথে মন্ত্রীর সঙ্গে এক ফেরিতে উঠবো?) ফেরি পার হয়ে আমরা রাজবাড়ির...

জাজিরা পার হয়ে আমরা শরিয়তপুর পৌছে গেলাম সন্ধ্যা সাতটার আগেই! ভাবা যায়। দেশে তো অবরোধও চলছে! আমরা এসে নামলাম শরিয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (এসডিএস) রেস্ট হাউসে। চমৎকার আয়োজন। রুমগুলো পরিস্কার ও সুন্দর। আমাদের জন্য তিনটা রুম। রেস্ট হাউসে আসার আগে কায়কোবাদ স্যারের জরুরী কয়েকটি ওষুধ কেনা হয়েছে আর স্কুলের মাঠও ঘুরে এসেছি। স্কুলের চেয়ে মাঠ অনেক...

কায়কোবাদ স্যারের সঙ্গে যে কোন জার্নির মজায় আলাদা। এবারেরটাও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ৮ জানুয়ারি স্যারকে বাসা থেকে তুলে আমরা যখন মাওয়া ঘাটের দিকে রওনা হয়েছি ততক্ষণে ৩টার বেশি বেজে গেছে। নিশ্চিতভাবে সন্ধ্যার আগে ঘাটে পৌছানোর সম্ভাবনা কম। তারপর আবার শিমুলিয়া ঘাটের নতুন রাস্তায় আমরা জ্যামে পড়ে গেলাম। শেষে সাদ্দাম নেমে মিলিটারিকে কী জানি বলে আসাতে...

এ গল্পটা ম্যালা দিন আগের। বঙ্গোপসাগরের বুক চিড়ে ওঠা ছোট নারিকেল জিঞ্জিরা নামের দ্বীপটির কথা তখনো সবার অজানা (সেন্ট মার্টিন সাহেব তখনো এই দ্বীপের খবর পাননি)। তবে উপকূলের মাঝিদের কাছে অজানা নয়। দ্বীপজুড়ে খালি নারিকেল গাছের সারি, যত দুর চোখ যায়। বসতবাড়ি নেই! কেউ থাকেও না। আমি সে সময়কালের গল্প বলছি, তখনো বঙ্গোপসাগর বিক্ষুব্ধ হতো...