আমরা নই একা
আশির দশকে এক প্রবাসী দেশে ফিরলেন। ম্যালা টাকা-কড়ি নিয়ে ফিরলেন। নিজের গ্রামে কিছু কাজ করলেন তারপর ঠিক করলেন পাশ দিয়ে যে রেল যায় সেটার স্টেশন করবেন গ্রামে। ধরা যাক ভদ্রলোকের প্রথম নাম আলী। তিনি রেলস্টেশনে যেভাবে লেখা থাকে সেভাবে একটা সাইনবোর্ড বানালেন – আলী নগর। তারপর সেটা গ্রামের পাশে রেরলাইনের পাশে লাগালেন। ওখানে একটা চায়ের দোকান করে দিলেন। আর লোকজন ভাড়া করলেন যাতে ট্রেন যাওয়ার সময় সেখানে ওনারা গল্প-গুজব করেন। তাতে কোন লাভ হচ্ছে না দেকে তিনি কিছু পোলাপানকে নিয়োগ দিলেন। ওরা ট্রেন যাওয়ার সময় ঠিল মারতে শুরু করলো। তারপর তিনি রেলের ড্রাইভারদের ম্যানেজ কররেন। কী আশ্চর্য ট্রেন ওখানে থামতে শুরু করলো।
কদিন আগে অস্ট্রেলিয়া(?) টিমের বাসেও ঢিল মারার কথা শোনা গেছে।
তবে, এখনো দূরপাল্লার ট্রেনে কিছু লোক ঠিল মারে। আমার নিজের পরিবারেই দুর্ঘটনা আছে।
আমি এতদিন ভাবতাম এই ঠিল মারাটা মনে হয় আমাদের একচেটিয়া। কিন্তু আজ সকালে দেখলাম ট্রাম্পের দেশেও এই কারবার শুরু হয়েছে। এপল, গুগল তাদের কর্মীদের যে বাস সেটিওর দিক পরিবর্তন করেছে কারণ ঢিল চলছে!
ধারণা করা হচ্ছে, এই তরুনদের টাকা পয়সার কারণে সানফ্রান্সিসকোর নানান জায়গায় ঘরভাড়া সহ নানান কিছুর দাম বেড়ে গেছে। লোকাল লোকজন ক্রমেই বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। ফলে তারা এখন সহিংস হয়ে উঠছে। এবং তারা এই কারবারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘটনা শুরু হয়েছে মাসখানেক আগে। এখন তীব্রতা বাড়াতে বাসের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে।