Income is Development
Income is Development
কেউ হিচ-হাইকিং করে আমেরিকার অধিকাংশ অঙ্গরাজ্য ঘুরে ফেলেছেন, কেউ কানেকটিভিটি ইজ প্রোডাক্টিভিটি তত্ত্বের প্রবক্তা, কেউ ৩০ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিকে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে উন্নীত করায় নেতৃত্ব দিয়েছেন, কেউ ইন্টেলের প্রতিষ্ঠাতার কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান যোগাড় করেছেন, কেউ দাদীর দেওয়ার জমিতে চমৎকার মসজিদ বানিয়ে পেয়েছেন স্থাপত্যের ‘নোবেল’ পুরস্কার, ৮৩ বছর বয়সে কেউ এখন ‘চোখ বুজে সার্জারী’ করতে পারেন, কেউ তৈরি করেছেন বাংলাদেশের সেরা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, কেউ হয়েছেন কোয়ালিটি গুরু, কেউ খুজে পেয়েছেন অধরা ভাইল ফার্মিয়ন কণা কিংবা কেউ মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের ভাষায় ‘শিক্ষকের শিক্ষক’ হয়েছেন। তাঁদের এই সাফল্যের পেছেনর রহস্য কী? কেমন করে তারা এক্সট্রা মাইল গিয়েছেন? কী অনন্য বৈশিষ্ট্য তাদেরকে সাধারণের মাঝে অসাধারণ করেছে? বাপ-বেটা মিলে খুঁজে ফিরেছেন সেই সব প্রশ্নের উত্তর। আলাপচারিতার মাধ্যমেই তারা তুলে ধরেছেন ৯ জন কীর্তিমান বাঙালির দৈনন্দিন জীবন ও সমস্যা সমাধানের পদরেখা।
চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গণিতের ভিত্তি মজবুত করার জন্য এ বই। বইটি প্রাথমিক গণিতের মূল বিষয়গুলোর ধারণা ও প্রয়োগের নানা উদাহরণ ও ব্যাখ্যাসমৃদ্ধ। চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া ও তাদের শিক্ষকদের জন্য দরকারি। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা যখন প্রাইমারি পার হয়ে হাইস্কুলে আসে, তত দিনে অনেকের গণিতের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। এর মূল কারণ হলো আমাদের অধিকাংশ স্কুলে গাণিতিক পদ্ধতি ও সমাধানে যত জোর দেওয়া হয়, মূল বিষয়গুলোতে ততটা জোর দেওয়া হয় না। ফলে অনেকেই গণিত মুখস্থ করে। অথচ গণিতের মূল বিষয়গুলো কেউ আত্মস্থ করতে পারলে গণিতের জগৎটা হয়ে ওঠে আনন্দময়। এ বইটি তাই লেখা হয়েছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের গণিতের ভিত্তিকে জোরদার করার জন্য। গণিতের হাতেখড়ি হয় সংখ্যা দিয়ে। ক্রমান্বয়ে সংখ্যার মূর্ত ধারণা থেকে শিক্ষার্থীরা বিমূর্ত ধারণায় প্রবেশ করে। সংখ্যার ধারণা তাই যত পোক্ত হয়, উচ্চতর গণিতে তাদের বিচরণও তত সড়গড় হয়ে ওঠে। সংখ্যা পাতন থেকে শুরু করে, যোগ-বিয়োগের নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে এ বই পড়ুয়াদের খুব সহজে ভগ্নাংশের গুণভাগে পৌঁছে দেবে। চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে লেখা হলেও যাঁরা তাদের গণিতের দীক্ষা দেন, তাঁদের জন্য এ বইটি সমান উপযোগী।
যে কোনো বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন সে বিষয়ের উপর কি ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে সে সম্পর্কে ধারণা থাকা। সাত তেরো আরও বারো বইটি সাজানো বিভিন্ন ধরণের গাণিতিক সমস্যাসমূহ দিয়ে। তাে, এটি মূলত একটি সমস্যার বই। যদিও শুরুতে সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু পদ্ধতি, কৌশল আলোচনা করা হয়েছে। গণিত অলিম্পয়াডের প্রশ্নগুলো সাধারণ পাঠ্যবইয়ের প্রশ্ন থেকে কিছুটা ভিন্ন। গণিত অলিম্পয়াডের প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা থাকলে গণিত অলিম্পয়াডের জন্য প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হবে। সে কারণে এ বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
"গণিতের নাম শুনলে জ্বর আসে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম নয়, অথচ গণিতে যারা পারদর্শী, তাদের কাছে শোনা যায় গণিত নাকি খুবই মজার বিষয়! কখন গণিত ভয়ের আর কখন সেটা জাদুর মতো আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে? যারা গণিতের মজা পান তারা কি জন্মগতভাবেই মেধাবী, নাকি এটা তাদের গণিতচর্চার ফল? চর্চার মাধ্যমেই গণিতের ভয় জয় করা সম্ভব। একবার গণিতের ভয় জয় করা গেলে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয় না। কার্যকরণ বুঝে নিয়মের মধ্য দিয়ে নিয়মিত গণিতের চর্চা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। গণিত তো আসলে মস্তিষ্কেরই একটি ব্যায়াম, যার মাধ্যমে আমরা মেধাবী একটা প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারি। মুনির ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ২০ বছরের। যেকোনো কঠিন বিষয়কেও তিনি গল্পের মতো করে, সহজ করে বলতে পারেন। যে অঙ্কে কুপোকাত আইনস্টাইন বইয়েও সেটা দেখেছি। এই বইয়ে গণিতের এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যাকে আমরা ধাঁধাও বলতে পারি। গল্পের ছলে আলোচিত এ বিষয়গুলোর চর্চা শিক্ষার্থীদের গণিতের প্রতি আকর্ষণ বাড়াবে, ভয় দূর করবে। সর্বোপরি তাদের গণিতে দক্ষতা তৈরি করবে। শুধু পরীক্ষায় পাস করার জন্য অনেক শিক্ষার্থী গণিত মুখস্থ করতে বাধ্য হয়। কারণ এতে তারা মজার বা আনন্দের কিছুই খুঁজে পায় না। তাই তাদের নতুন কিছু জানার তৃষ্ণাও তৈরি হয় না। শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিতের প্রতি তৃষ্ণা ও ভালোবাসা জন্মানোর জন্য এ বই একটি জোরালো ভূমিকা পালন করবে।"
প্রাণীর মতো উদ্ভিদের জীবনও যে সাড়াদিতে পারে তা জানতে বিশ্ববাসীকে বিক্রমপুরের জগদীশ চন্দ্র বসুর জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। মহাবিশ্বের তাবৎ বস্তুকণাকে দুই ভাগে ভাগ করে একভাগের নাম হয়েছে বোসন বা বসু কণা। বসুকণার বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্র নাথ বসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পড়াতে পড়াতে বােস-আইনস্টাইন সংখ্যায়ন আবিস্কার করেছেন। ১৮৯৪ সালে বিনা তারে বার্তা প্রেরণের সফল পদ্ধতি দেখান জগদীশ চন্দ্র বসু। স্বীকৃতি আর উৎসাহ পেলে হয়তাে ১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞানের নােবেল পুরস্কারটি রেডিও আবিস্কারের জন্য মার্কনির পরিবর্তে তিনিই পেতেন। আঙ্গুলের হাতের ছাপের শ্রেণিকরণ করে অপরাধী শণাক্ত শরার পদ্ধতিটির নাম "হেনরির পদ্ধতি" হলেও সেটির গাণিতিক রূপটির আসল আবিস্কারক খুলনার পয়গ্রাম কসবার সন্তান খান বাহাদুর আজিজুল হক। এক দশক আগে হাওয়ায় দ্বীপপুঞ্জের পেপে, মালয়েশিয়ার রাবার বা আমাদের পাটের জিন নকশা উন্মাচনের কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফরিদপুরের সন্তান মাকসুদুল আলম। ৮৬ বছর ধরে অধরা ভাইল ফার্মিয়ন কণা শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছেন বিজ্ঞানী জাহিদ হাসানের হাতে! সিলিকন ভ্যালির ৭০ বছর আগেই তেমন উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। খুলনা পাইকগাছার আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়! এ বই প্রায় ভুলে যাওয়া বাংলার ক্ষণজন্মা বিজ্ঞানীদের জীবন ও কর্মের আখ্যান।
বিলিয়ন ডলার মানে আসলে কতো টাকা? শূণ্য ঠিকঠাক মতো বসিয়ে সেটিকে ৮৫ টাকা দিয়ে গুণ করার পর বোঝা গেল ব্যাপারটা বেশ জটিল । তারপর দেখলাম এইতো আমাদের একদম হাতের কাছে পদ্মা সেতু রয়েছে। পদ্মা সেতু বানাতে খরচ হচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। তার মানে ডলারে হিসেব করলে চার বিলিয়ন ডলারের একটু কম। এত টাকার কোম্পানি বানানো বেশ কঠিন কাজ মনে হল। তারপর ভাবলাম খোঁজ খবর নেই কিভাবে কোম্পানিগুলো ইউনিকর্ন হয়েছে। ইউনিকর্ন হলো একটি কাল্পনিক প্রাণী যা কিনা বিলিয়ন ডলার ভ্যালুয়েশনের প্রতীক। আইডিয়ার বৈচিত্র্য, বাস্তবায়নের লড়াই বিবেচনা করে অনেকগুলো বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ থেকে আমি ১০-১২টি বেছে নিয়েছি । ইন্সটাগ্রাম থেকে হোয়াটসঅ্যাপ, নেটফ্লিক্স থেকে গ্রামীণফোন সবার পেছনের গল্পটাই রোলার কোস্টার রাইডের মত। তবে শুধু আইটি কোম্পানিতে না থেকে খুঁজে বেড়িয়েছি অন্যদেরও।সব গল্পের মাঝে মস্ত মিল হলো এসব উদ্যোক্তাদের বেশিরভাগই তরুণ। এই বইতে তাই তারুণ্যের জয় জয়কার।বইটিতে গল্পের ঢঙ্গে, গল্পের সঙ্গে কখনো কখনো তুলে নিয়ে এসেছি গল্প থেকে শেখার অংশও। উদ্দেশ্য একটাই। এক সময় আমাদেরও যেন এমন অনেক বিলিয়ন ডলারের গল্প তৈরি হয়। বইটি প্রকাশ করেছে আদর্শ প্রকাশনী। বাংলা একাডেমির বই মেলায় আদর্শ পাবলিকেশন্স ৩৮-৩৯-৪০-৪১ এর স্টলে পাওয়া যাবে বইটি
নতুন কিছু করার জন্য সবসময় উদ্যোক্তার ওপর একটা চাপ থাকে। বলা হয়ে থাকে নতুন কিছু করতে পারলেই সাফল্য ধরা দেবে। তবে, কেবল নতুন কিছু নয়— প্রচলিত ব্যবসাকে ভিন্নভাবে করে গড়ে তোলা যায় সফল উদ্যোগ। যেমনটা করেছিলেন, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক তিন বন্ধু রিচার্ড রীড, এডাম বেলন আর জন রাইট। ১৯৯৮ সালে তারা মাত্র ৫০০ পাউন্ড হাতে নিয়ে ইনোসেন্ট নামের শরবত কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ইউরোপের ১৩টি দেশে এখন ইনোসেন্ট বিক্রয় হয়। কোম্পানির বাজার দর মাত্র ১০ কোটি পাউন্ড (এক হাজার কোটি টাকার বেশি)!!! এর ৯০ ভাগের বেশি ওরা বিক্রি করে দিয়েছে কোকাকোলা কোম্পানির কাছে! প্রত্যেকে এখন প্রশান্ত মহাসাগরে ব্যক্তিগত দ্বীপের মালিক। তারা তাদের কোম্পানি গড়ে তোলার অভিজ্ঞতা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন একটি বইতে। ব্রিটিশদের সঙ্গে আমাদের মান-মানসিকতা ও সিস্টেমের অনেক মিল। সেজন্য দেখা যায়, আমাদের দেশের উদ্যোক্তাদের মতো তিন বন্ধু রাস্তাতে ঘুরেছেন মাসের পর মাস। ‘এসএমই বান্ধব ব্যাংকিং নীতিমালা’ থাকা সত্ত্বেও কোনো একটি ব্যাংক তাদের ফুটো কানাকড়িও দেয়নি। সবাই সারাক্ষণ তাদের কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করেছে “তোমাদের পদ্ধতিতে শরবত বানালে, তোমরা দেউলিয়া হয়ে যাবে। এই ভাবে হয় না।” হাজার হাজার ‘না’ কেমন করে অতিক্রম করেছেন এই তিন বন্ধু? কেমন করে শরবত তাদের আর্থিক মুক্তির পথ খুলে দিয়েছে? কেমন করে বিনা পূজিতে তারা মার্কেটিং করেছেন? কোন বুদ্ধিতে একটার পর একটা দেশে ব্যবসা বাড়িয়েছেন আবার নিজেদের প্রতিষ্ঠানে গড়ে তুলেছেন একটি চমৎকার সংস্কৃতি। এসব প্রশ্নের জবাব খোঁজা হয়েছে এই বইতে।
ভারতের প্রথম স্বাধীনতাযুদ্ধ, সিপাহি বিদ্রোহের কথা জানেন তো? ব্রিটিশরা ভারতবর্ষের মানুষের ওপর শত বছর ধরে শাসন-শোষণ-জুলুম চালিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো প্রতিবাদ-প্রতিরোধ, বিক্ষোভ, আন্দোলন দেখা যায়নি। কিন্তু ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম মহা বিদ্রোহটি সংঘটিত হয় ১৮৫৭ সালে—সৈনিকদের রাইফেলের টোটায় শূকরের চর্বির থাকার খবরে! সেটিই শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রথম স্বাধীনতাযুদ্ধে পরিণত হয়।মানবেতিহাসে এমন অনেক বড় বড় ঘটনা ঘটেছে যেখানে আবেগের স্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মানুষের অনেক উদ্যোগ-উদ্যম-কর্মতৎপরতার মূলে যুক্তি নয় আবেগই প্রধান নিয়ামক। আবেগ নামক জিনিসটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশের একটি কোম্পানি প্যাকেটের গায়ে ‘১০০ ভাগ হালাল সাবান’ লিখে বাজারের বাঘা বাঘা সব বহুজাতিক কোম্পানির সাবানকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে বাজার দখল করেছিল। হালাল সাবানের এই সাফল্যের বিষয়টি বৈশ্বিকভাবে এতটাই স্বীকৃতি লাভ করে যে, এখনো ইউরোপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের খাবারের দোকানগুলোতে হালাল মিট, হালাল শপ ইত্যাদি ব্যানার, সাইনবোর্ড লাগানো হয়। যেকোনো প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে আবেগটাকে ব্যবহার করে কাস্টমারের সঙ্গে একটা স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি করতে হবে; কাস্টমারকে জয় করে নিতে হবে, নিজের করে নিতে হবে; যাতে কাস্টমার আজীবন আপনার হয়ে থাকে। এই যে নিজের করে নেওয়ার এবং আজীবন আপনার হয়ে থাকার যেসব উপায় ইমোশনাল মার্কেটিং সেগুলোরই অন্যতম । এ বইতে ইমোশনাল মার্কেটিংকে নানাভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
নাম শুনে বোঝা যাচ্ছে এটি একটি মার্কেটিং-এর বই। পড়ো পড়ো পড়ো লেখার সময় আমি প্রায় সবটুকুই আমার ফেসবুকে বা এই ওয়েবসাইটে শেয়ার করেছি। তথ্য ঠিক করার জন্য হোক কিংবা জানানোর জন্য হোক। পরে জানলাম এই পদ্ধতিতে বই-এর মার্কেটিং করার মাধ্যমে আমি নাকি ‘গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং” পদ্ধতি অনুসরণ করেছি! তাতে খুশি হয়ে এই পদ্ধতি সম্পর্ক জানতে যাই। তারপর ভাবি এখানে যা পড়লাম তার সঙ্গে আমাদের মিল কোথায়, আমাদের উদ্যোক্তারা কী করতে পারে। এসব ভেবে চিন্তে মার্কেটিং নিয়ে লেখালেখিগুলো একত্র করে এই বই। যে সব উদ্যোক্তার আলাদা মার্কেটিং বাজেট নাই তাদের জন্যই এই বই।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতিকে জোর-জবরদস্তি করে সরিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেন জেনারেল এরশাদ। লেখক তার ঠিক দুই দিন আগে এসএসসির শেষ লিখিত পরীক্ষা দেন। ১৯৯০ সালের ৩ ডিসেম্বর নিশ্চিত হয় স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিদায়। এর কিছুদিন পরই শেষ হয় লেখকের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবন। বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনের পুরো সময়টা জুড়ে লেখক নিজেকে সন্ধান করে ফিরেছেন। কখনো মিছিলে, কখনো আকাশ দেখায় কিংবা কখনো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের লাইব্রেরিতে। সময়টা ছিল বাংলাদেশের জন্য ক্রান্তিকাল। সেই সময়ে বাংলাদেশে পোশাকশিল্পের বিকাশ শুরু হয়। সেই বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় দেশে পুঁজির গঠন। ফলে অনুমতি দেওয়া হয় বেসরকারি ব্যাংকের। আর এর বিকাশের জন্য চালু হয় আইবিএ। এভাবেই আমাদের সমাজে এক নতুন পরিবর্তন সূচিত হয়। এরশাদ আমলের বেশির ভাগ সময় ছাত্রদের কেটেছে রাজপথে, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। আর ঠিক সে সময়ে রাস্তা থেকে রাস্তায়, লাইব্রেরি থেকে লাইব্রেরিতে পড়ার জন্য ঘুরে বেড়াতেন লেখক। কখনো রাতের নাশতার টাকা বাঁচিয়ে, কখনো রিকশার খরচ বাঁচিয়ে নিজের একটা জগৎ বানানোর চেষ্টা করেছেন মুনির হাসান। এ বইটা তার নিজেকে খুঁজে ফেরার প্রথম পর্ব— আত্মানুসন্ধানের কাহিনী।
এটি একটি সংকলন পুস্তক। ভোরের কাগজে কাজ করার সময় কোন একদিন মুন্নী (মুন্নী সাহা) ইষ্টিকুটুম পাতার জন্য লিখতে বলে। ইষ্টিকুটুম ছোটদের পাতা। লিখতে হবে ছোটদের জন্য। আমি ভেবেছিলাম লিখতে হবে বিজ্ঞানের কিছু। কিন্তু, মুন্নীর ইচ্ছে ছিল ভিন্ন। একটি ধারাবাহিক রচনা, গণিত নির্ভর, মজার গল্পের ঢঙ্গে। তবে, মজার যেনো হয়। গল্পের বোকা বনে যাওয়া পাত্রটি হলাম আমি, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। সেই বয়ানে লেখা ‘গল্পে গল্পে ধাঁধা’। সমসাময়িক সব বিষয় সেখানে আসতো : যমুনা ব্রিজ, জনতার মঞ্চ কিংবা নতুন চালু হওয়া সুবর্ণ এক্সপ্রেস। গল্পের প্রয়োজনে সেখানে হাজির হতেন কাজি নজরুল ইসলাম, জামিলুর রেজা চৌধুরী, নওয়াজিস আহমেদ প্রমূখ! গল্পগুলোকে বই আকারে প্রকাশের বুদ্ধি দেন মশিউল আলম। সে সময় আমি প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম আমার বড় ছেলের জন্মের। তার প্রথম জন্মদিনে বাবার উপহার হিসাবে এর পাণ্ডুলিপি তৈরি করতে শুরু করি। তখন কি জানতাম আমার বড় ছেলে জাওয়াদ হাসান খুব বেশি দিন এই পৃথিবীতে থাকতে আসেনি! গল্পে গল্পে ধাঁধা প্রকাশ করেন আলমগীর ভাই (অবসর)। তিনিই আমাকে জোর করেন এর পরের পর্ব লেখার জন্য। ততদিনে, আমার গল্পের মূল ক্যারেকটার পাল্টে গেছে। আমার ছেলে বুমবুম তখন এই গল্পের নায়ক। তার গল্পের কথক তার খালা। নিজে থেকে কয়েকটা লেখা হয়েছে গণিত ইশকুলে আর বিজ্ঞান প্রজন্মে। সেগুলো নিয়ে একটি বই করার জন্য তাম্রলিপির প্রকাশক স্নেহাস্পদ রনির যন্ত্রণা। কাজে হলো ‘অঙ্কের ধাঁধা, ধাঁধার অঙ্ক’। ততদিনে আগোর দুটোর কপিও শেষ। কাজে তিন বই মিলে হলো আমার ধাঁধা সংকলন! এই সংকলন বের করার পেছনে একটি তাগিদ হলো গণিত অলিম্পিয়াড। গণিতের যতো বই বের হয়েছে তার বেশির ভাগই বড়োদের জন্য। ছোটরা যারা ত্রি-ফোরে পড়ে তারা কি দিয়ে শুরু করবে? তাদের জন্য এই বই!
এটি হাল আমলের বিভিন্ন লেখার সংকলন। গণিত ইশকুলেরই সব। একটা দুটো আছে বিজ্ঞান প্রজন্মের। এই বইটি যারা ষষ্ঠ শ্রেণীর বা উপরের ক্লাসের তাদের জন্য। এটিতে আমি কিছু গাণিতিক বিষয় ব্যাখ্যা করেছি যা তাদের গাণিতিক যুক্তি আর শৃঙ্খলা বুজতে সহায়তা করবে। সেভাবে লেখা হয়েছে।এখানে আমি কিছু অনেক পুরাতন টেকনিক আলাপ করেছি। যেমন ম্যাজিক স্কয়ার কত সহজে বানানো যায়। কিংবা মৌলিক সংখ্যার ছক। এগুলো ছাড়াও নেপিয়ারের অস্থির মতো ব্যাপারটাও আছে। এখানে একটা লেখাতে আমি বাংলাভাষার সবচেয়ে বড় পেলিনড্রম শব্দটি লিখেছি। আমার এই বইতে আমি কয়েকটা সমস্যার সমাধান করেছি একাধিক পদ্ধতিতে। মূলত এটা বোঝানোর জন্য যে, গণিতের সমস্যা সমাধানের নানান রাস্তা আছে। যার যেমন ইচ্ছে। যুক্তি আর পদ্ধতি ঠিক হলো সব ঠিক। এই বই-এর একটা চ্যাপ্টার হলো আমার লিথুনিয়া বন্ধুর দেওয়া দুইটি সমস্যা। ঐ দুইটা সমস্যা ঠিক মতো পড়লে বোঝা যাবে চিন্তার জগৎ কেমন করে স্বচ্ছ হয়ে ওঠে। এই বইটি আমার স্ত্রীকে উৎসর্গ করা। পূর্বের জন্মে অনেক ভাল কাজ করলে মানুষ এমন স্ত্রী পায়! এটার প্রকাশক তাম্রলিপি। অস্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা এটি পড়তে পারে।
.এটি গণিত অলিম্পিয়াডের ইতিহাস, আমাদের দেশে শুরু হওয়ার গল্প এবং আইএমওতে আমাদের অংশগ্রহণের দলিল। সময় প্রকাশনীর ফরিদ ভাইয়ের পীড়াপীড়িতে এটির প্রকাশ। এটিতে ফাউ হিসাবে আছে গণিত উৎসবের নিয়ম কানুন আর প্রথম কয়েকটি গণিত অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন! তবে, এই বইটির ঐতিহাসিক মূল্যটা বেশি। আমাদের গণিত অলিম্পিয়াড ধারাবাহিকভাবে বিবর্তিত হয়েছে এবং এখনকার ফর্মে এসেছে। আগে প্রতিবছর আমি তিনটা আবশ্যিক রেখা লিখতাম। একটা হবে, আসো- একটা আমরা গেছিলাম আইএমওতে এবং একটা ফিরে। প্রথম দিককার অনেক বর্ণনা এখানে পড়ে অনেকেই বের করে ফেলতে পারবে হাততালি কেন গণিত অলিম্পিয়াডের একটি বিশেষ অনুষঙ্গ। এই বইতে আমাদের গণিত অলিম্পিয়াডের নিয়মাবলীটা সংযোজন করে রেখেছি যাতে পরবর্তী সময়ে কেও যদি জানতে চায় সে যেন জানতে পারে। এই বইটার সর্বশেষ মুদ্রণের কিছু কপি পাইলেও পাওয়া যেতে পারে সময় প্রকাশনীর স্টলে।
গণিত অলিম্পিয়াড যাতে একঘেয়ে না যায় সেজন্য আমি সারাক্ষণই নানান কিছু খুঁজে বেড়াতাম। তারপর যাই যাই দিনের সৌজনে সুডোকু সম্পর্কে জানতে পারি। তখন মনে হল আরে এটা তো সিম্পল ম্যাথ। সে সময় কয়েকজনকে দেখলাম কেবর ট্রায়াল এন্ড এররের মাধ্যমে সুডোকু মেলায়। ভাবলাম তাহরে নিয়মগুলো বের করা যাক। তারপর বেশি কিছু বই নিয়ে আসলাম। সেগুলো পড়ে নিজে সমাধান করতে শিখলাম। তারপর ভাবলাম সবাইকে শিখিয়ে দেওয়া যাক। ২০০৯ সালে সুডোকু মিলিয়ে আনন্দ লিখে ফেললাম।বই যেন বড় না হয় সেজন্য নিয়মগুলো বলে ছেড়ে দেই। তাপর ১০০ সুডোকু সমাধান করে দেই।
কিন্তু একটা মানসিক অতৃপ্তি রয়েই যায়। কারণ, নিয়মগুলো বলে ছেড়ে দিয়েছিলাম। যত সুডোকু তত মজাতে সেগুলোর কার্যকারণ ব্যাখ্যা করেছি। করতে গিয়ে দেখলাম লেখার চাইতে মেলানো অনেক সহজ!! সেই চেষ্টা চালিয়েছি। যারা সুডোকু মিলাতে ভালবাসে তাদের মেলানোর আনন্দ যেন বাড়ে তার জন্য এই বই। দুইটা বইতে আমি মোটামুটি সুডোকু মেলানোর জন্য যত ধরণের টেকনিক আছে তার প্রায় সবগুলি বলে দিয়েছি। প্রথমটি বের হবার পর দেশের সেরা সুডোকুবিদ জামিল স্যারকে একটা বই দিয়েছিলাম। স্যার তখনো প্রতিদিন একটা সুডোকু মেলান। আর আমি ছেড়ে দিয়েছি। অলসদের এই জ্বালা। তাম্রলিপির স্টলে একটা-দুইটা থাকলেও থাকতে পারে।
আমরা যখন একটা কিছু শুরু করতে চাইতাম তখন আমরা জাফর স্যারের শরণাপন্ন হতাম। মুক্ত দর্শন নিয়ে আমাদের কাজগুলোর শুরু হয় মুক্ত সফটওয়্যার দিয়ে। ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি স্যার শুভ নববর্ষ নামে একটি কলাম লিখেন প্রথম আলোতে, মুক্ত সফটওয়্যার নিয়ে। তারপরই আমরা মুক্ত দর্শনে ঢুকে পড়ি। মুক্ত দর্শন আর তার নানান দিক নিয়ে বেশ কিছু লেখা আমি লিখেছি। এখনও লিখছি। সেগুলোরই সংকলন এই গ্রন্থটি। বলা যেতে পারে এটি হলো বিডিওএসএন কী, কেন টাইপের একটা লেখার সংকলন। মুক্ত দর্শনের ব্যাখ্যার পাশাপাশি উইকিপিডিয়া সহ এর নানান প্রয়োগ নিয়েই নিবন্ধগুলো লেখা। আমাদের মত দেশগুলোতে যেখানে উত্তরের দেশগুলো জ্ঞানের দাসত্ব তৈরি করতে চায় সেখানে মুক্ত দর্শন আসলেই বুদ্ধির মুক্তির হাতিয়ার। ভৌগলিক পরাধীনতার চেয়ে আজকাল অনেকবেশি কঠিন আকাশ আর সাইবার অধীনতা। সেই স্বাধীনতার লড়াই-এ ওপেন সোর্সই আমাদের সবচেয়ে বড় সহায়। আমাদের মুক্ত দর্শন আন্দোলনের নতুন কর্মীরা এটা পড়তে পারে। এটি পাওয়া যাবে বিজ্ঞান একাডেমীর স্টলে।
একদম যারা ছোট , মানে ক্লাস ত্রি থেকে ফাইভে পড়ে, তাদেরকে কীভাবে গণিতের নানান কনসেপ্ট সহজে বোঝানো যায়? এই ভাবনা থেকে গল্পের ছলে এই বইটা লেখা। আমি আর সুবিন মিলে একটা গণিতের কোর্স করিয়ে ছিলাম ঐ বয়সের ছেলে-মেয়েদের। ওদের পড়ানোর জন্য আমার একটা নোট তৈরি করতে হল। এটি হল সেই নোটের লিখিত রূপ। পড়ে এটার এক্সটেনশন হিসাবে শিক্ষক ডট কমে একটা প্রাথমিক গণিতের কোর্স করিয়েছি। এখানে প্রথম নীতি থেকে আমি ব্যাপারগুলো ধরতে চেয়েছি। যেমন লসাগুর কথা বলা যাক। লঘিষ্ঠ, সাধারণ এবং গুণিতক এগুলো আলাদা করে বুঝানোর একটা চেষ্টা। উদাহরণটা আমি দিলাম একটা ছক আকারে, একটা গুণিতক টেবিল বানিয়ে। তারপর বোঝালাম সাধারণ মানে কি? তারপর সেগুলোকে গোল করলাম। তারপর বললাম এর মধ্যে যেটি সবচেয়ে ছোট সেটিই ঐ তিনটি সংখ্যার লসাগু। এই লেখাতে সেটি দেখা যাবে। এই হচ্ছে মোটামুটি আমার যত বই। এর বাইরে বাংলা একাডেমীর বিজ্ঞান বিশ্বকোষ আর শিশু একাডেমীর শিশু বিশ্বকোষেও আমি কাজ করেছি সংকলক হিসাবে। এই বছর আমরা তিনটা বই-এর প্ল্যান ছিল। এখন বছর বলতে ২০১৬ সালকে যদি ধরি, তাহলে প্ল্যানটা অক্ষত আছে।
গণিত অলিম্পিয়াড হচ্ছে আজ এক যুগ ধরে। আমরা সাফল্যের সঙ্গে ১০টি আয়ােজন শেষ করছি। প্রতিবছরই শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে জানতে চায় অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন কেমন হবে। আমরা কখনাে ওয়েবসাইট দেখতে বলি, কখনাে পুরােনাে পত্রিকা দেখতে বলি।এবার আমরা সহজে বলতে পারবো, প্রশ্ন দেখতে চাও? এ বইটি দেখাে!অনেক চেষ্টার পর এই পণিত অলিম্পিয়াড গ্রশ্ন সংকলন বইটির কাজ সমাপ্ত হলাে। পণিত অলিম্পয়াড সাধারণ পাঠ্য বই থেকে কিছুটা ভিন্ন। নমুনা প্রশ্ন থাকলে গণিত অলিম্পিয়াড সম্পর্কে ধারণা পেতে এবং গণিত অলিম্পয়াডের জন্য গ্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়। সে কারণে বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বইয়ে এখন পর্যন্ত হয়ে যাওয়ার সব গণিত অলিম্পিয়াডের গ্রশ্ন রয়েছে। আঞ্লিক, জাতীয় ও ক্যাটাগরি অনুসারে প্রশ্ন সাজানাে রয়েছে ফলে প্রয়ােজনীয় প্রশ্ন খুঁজে গেতে পাঠকদের সুবিধা হবে। বাংলাদেশ পণিত অলিম্পিয়াডের এক যুগ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে হয়েছে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে অনেক আয়ােজন।সব অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন একসঙ্গে রাখাই তাই বিশাল ব্যাপার। তবে সব প্রশ্ন রাখা হয়নি।বাছাইও করা হয়েছে। অনেকই হয়তে বলবেন, প্রশ্নের সঙ্গে সমাধান দিয়ে দিলে ভালাে হতাে। আসলে গণিত অলিম্পিয়াড একটি আদর্শের ওগরে দাঁড়িয়ে আছে যে প্রশ্ন যেন কখনাে পুরােনাে না হয়।সমাধান দিয়ে দিলে তাে হয়েই যেত, প্রশ্নগুলােও মলিন হয়ে যেত। বরং প্রশ্নগুলো নতুনই থাক। প্রতিদিনই গণিত অলিম্পিয়াডের সঙ্গে নতুন ছেলেমেয়ে যুক্ত হচ্ছে। আর আমাদের ছেলেমেয়েদের মেধার ওপর আমাদের বিশ্বাস অনেক, এসব মামুলি সমস্যার সমাধান তারা করতে পারবেই।অনেক দিন ধরে বইটি প্রকাশের কথা আমরা ভেবেছি। চিন্তাটা প্রথমে এসেছে ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নবীর মাথায় কিন্তু গণিত অলিম্পিয়াড স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে পরিচালিত হয় আমাদের কোনাে স্টোর রুমও নেই। ফলে ডকুমেন্টশনের অবস্থা সুবিধাজনক হয়।অধিকাংশ ক্ষেত্রে অলিম্পিয়াডের প্রশ্নগুলাের কোনাে হার্ডকপি থাকে না, কার কারও মেইলে সফটকপিগুলাে পাওয়া যায়।আবার প্রথম দিকেরগুলাের হার্ড বা সফট কোনাে কপিই নেই।আমাদের প্রথমবারের প্রশ্ন করেছিরেন স্বর্ণত পৌরা স্যার।প্রশ্ন হয়েছিল সিলেটে। পরের কয়েক বছর জাতীয়-এর গ্রশ্ন হয়েছে জাফর ইকবাল স্যারের বাসায়। সব প্রশ্ন জোগাড় করার উপায় এখন আর নেই। তারপরও একটা অসাধ্য সাধনে নেমেছিল পণিত অলিম্পিয়াডের সমন্বয়কারী বায়েজিদ ভূঁইয়া জুয়েল, একাডেমিক সমন্বয়কারী অভীক রায় ও সুমুর দক্ষি কোরিয়ায় অধ্যায়ানরত সুত্রত দেবনাথ। তাঁদের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত সব জোগাড় করা গেছে। তবে আমাদের যত-না ইচ্ছ, তার চেয়ে বেশি ছিল তাম্রলিপির রনি তাপিদ কাজেই এই বই প্রকাশের যদি কারও ধন্যবাদ পাওয়া দরকার, তাহলে সেটি রনি। গণিত অলিম্পিয়াডের কোনাে কাজই পূর্ণতা পায় না আইয়ুব সরকারের হাত ছাড়া এ বইটি ও এর ব্যতিক্রম নয়। সবার সেকেন্ড ডিফারেনসিয়াল নেগেটিভ হােক।
If you don’t already have an account click the button below to create your account.
Create New Account