বইমেলার বই -১৫ : আরডুইনো আরডুইনো বলে ডাক পাড়ি
গতবছর মে-জুন মাসের কোন এক সময়ে আমাদের জন্য দুইটা রাসবেরি পাই নিয়ে আসেন জসিমুজ্জামান স্যারের বন্ধু। তখন সেটাকে কেন্দ্র করে কাজ করতে গিয়ে আমরা টের পাই কাজ করতে হবে তারও আগে থেকে, আরডুইনো দিয়ে। তো, আমরা শুরু করলাম ম্যাসল্যাব থেকে – আওটি ফিয়েস্তা। দেশের বেশ কটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৭৮৪জনকে হাতেখড়ি দেওয়া হলো আরডুইনোতে। সেটি করতে করতে আমি ওদেরকে বললাম বাং লা বই লিখে ফেলতে।
রাজশাহী থেকে আমাদের টিম ফিরে এসে জানালো ওখানকার ভলান্টিয়াররা এরই ধ্যে প্রথম বইটা লিখে ফেলেছে। ওরা আমার কাছে পাণ্ডুলিপি পাঠিয়ে দিল। তারপর থেক সেটি ঘষামাজা করতে করতে শেষ পর্যন্ত আজ তেইশ ফেব্রুয়ারি বইমেলাতে আসলো।
বিশ্বব্যাপী আইওটি বা ইন্টারনেট অফ থিংস এখন একটি বড় ও সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য আইওটির একটি বড় অবদান আছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদেরও এগোনো উচিত। আর, সেক্ষেত্রে শুরুটা করা প্রয়োজন একেবারে গোড়া থেকেই। আইওটির প্রথম পাঠ হওয়া উচিত আরডুইনো থেকেই। তাছাড়া, বিশ্বব্যাপী আলোচিত শব্দ রোবোটিক্সের শুরুটাও এই আরডুইনো থেকেই। আরডুইনোতে শেখা যেমন সহজ, কোড করা তেমনি সহজ। নতুন নতুন প্রজেক্ট বানানোও সহজ।আর্ডুইনো দিয়ে প্রোগ্রামিং চর্চাও করা যায় মজার ছলে। সবচেয়ে বড় কথা হল, একজন যতটা চমৎকার কল্পনা করতে পারবে, ততটাই উদ্ভাবনী প্রজেক্ট বানিয়ে ফেলতে পারবে আরডুইনো দিয়ে।
বইটা প্রায় সবার জন্য। তবে, লেখা হয়েছে স্কুলের ছেলেমেযেদর কথা মাথায় রেখে। আজ বইমেলাতে মোনেম যখন বলে, “আমি যখন আরডুইনো নিয়ে কাজ শুরু করি তখন আমার মনে হয়েছে যদি স্কুলে থাকতে এটির কথা জানতে পারতাম? তাহলে স্কুল জীবনটা না জানি আরও কতো সুন্দর হতো। তখন থেকেই ভেবেছি স্কুলের ছেলে-মেয়েদের জন্য আরডুইনোর একটা বাংলা বই লিখে ফেলতে হবে?”
আমার মনে পড়লো, রুবাই সেভেন-এ থাকতেই আরডুইনো নিয়ে কাজ করেছে সেটা ও ঢাকার ছেলে বলে। সারাদেশের হাজারও রুবাইদের জন্য বাংলা ভাষাতে যেমন বই দরকার তেমনি দরকার সেই বই তাদের কাছে পৌছানো।
কম্পিউটার সারর্ভিসেসের সাবির ভাই-এর কল্যানে আমাদের একটা দুর্দান্ত টিম তৈরি হচ্ছে আইওটি নিয়ে। ওরা ওদের সামাজিক দায়িত্বও পালন করছে সমান তালে। এই বইটি তারই প্রমাণ।
বইটিতে ধাপে ধাপে দেখানে হয়োছে আরডুইনোর বিভিন্ন অংশ, সেটা দিয়ে কীভাবে কাজ করতে হয়, ইন্টারফেসিং করতে হয়।
শুয়ে শুযে পড়ার বই এটি নয়। এটি হাতে কলমে পড়ার বই। কাজে শুরুতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে কি কী লাগবে তার একটা তালিকাও।
কাজে দিন -১ থেকেই কিন্তু কাজে লেগে যেতে হবে।
মোনেম, দিনা আর রুহুলের মতো আমারও মনে হয় “স্কুলপড়ুয়া থেকে শুরু করে সকল বয়সী শিক্ষার্থীদের মাথায় মাথায় প্রোগ্রামিং আর আর্ডুইনোর পোকা ঢুকিয়ে দিলে আমরা শীঘ্রই একটা দারুণ বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলতে পারব”।
আশাকরি গ্রামেগঞ্জ আরডুইনো ছড়িয়ে দিতে এ বই ভূমিকা রাখবে।
আরডুইনোতে হাতে খড়ি
রুহুল আমীন, মোনম শাহরিয়ার ও সাদিয়া কবির দিনা
আদর্শ
মূল্য ৩০০ টাকা।
2 Replies to “বইমেলার বই -১৫ : আরডুইনো আরডুইনো বলে ডাক পাড়ি”
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.
#Original_PDF_from_Writers
দেশের এরকম একটা কঠিন সময়ে সবাই কিছু না কিছু কন্ট্রিবিউট করার চেষ্টা করছে। আমিও চেষ্টা করছি 🙁
বড় বড় কোম্পানিরা তাঁদের প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট ফ্রি করে দিচ্ছে। আমরা Tinkers Ltd থেকে এখনো কোনো প্রোডাক্ট লঞ্চ করিনি, তাই এটাও অফার করতে পারছি না 🙁
তারপর ভাবলাম, intellectual property বলতে আমাদের আছে এই দুই-মাত্র বই। তাই করোনার এই কঠিন সময়ে stay home এ বাসায় থাকা দেশের সব শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের এই ছোট্ট উপহার।
আমরা আমাদের আরডুইনোতে হাতেখড়ি বইয়ের পিডিএফ সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিলাম। বাড়িতে থাকা শিক্ষার্থীদের জীবনে কিছু হলেও ভ্যালু অ্যাড করবে ইন শা আল্লাহ।
বাড়িতে বসে হোক Programming, Robotics, Internet Of Things এবং Arduino এর হাতেখড়ি <3
ডাউনলোড লিংকঃ https://forms.gle/xWFihA9fcgkWty2GA
“আরডুইনোতে হাতেখড়ি” অসাধারণ একটি বই। অত্যন্ত সহজ এবং মজার মজার শব্দচয়ন ব্যবহার করা হয়েছে এই বইটিতে। আরডুইনো বোঝার জন্য বাংলাভাষীদের ক্ষেত্রে বইটি অত্যন্ত কার্যকরী।
বইটির PDF পেতে লিংকে চলে যান:-
https://www.eboibangla.xyz/2020/03/arduino-bangla-book-pdf.html