মেয়েরা বড় হলে বাবাদেরই লাভ!!!
বাঘা আর মেনির কথা মনে আছে? মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে ক্যাম্পে এই পাপেট শো হতো। মোস্তফা মনোয়ার হতেন বাঘা আর সাইদুল আনাম টুটুল হতেন মেনি। তারেক মাসুদের সিনেমা মুক্তির গানে এই পাপেট শো দেখা যায়। এই দুই মুক্তিযোদ্ধার হাত দিয়েই কিন্তু আমাদের দেশের পাপেট শিল্প। ছোটবেলায় যে কজন লোককে টেলিভিশনে দেখে তাদের মত হতে চাইতাম তারই একজন সাইদুল আনাম টুটুল।
আজ তার বাসায় গিয়েছিলাম। ওনাকে সামনা-সামনি দেখে প্রায় ৩০-৪০ বছর আগে ফেরৎ চলে গিয়েছিলাম। ওনার কণ্ঠস্বরটা ঠিক আগের মতোই আছে! এক মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েই যে একটা দিন কতো চমৎকার করে বদলে যেতে পারে তা বলা যায় না। আমি আসলে ঠিকমতো কথাও বলতে পারি নাই।
আপনি আরো অনেক দিন বেঁচে থাকুন স্যার।
তো, হঠাৎ করে কেমন করে ওনার সঙ্গে যোগাযোগ?
এ হচ্ছে মেয়েরা বড় হলে বাবাদের সুবিধার গল্প।
কদিন আগে মার্ক জাকারবার্গের বোনের লেখা একটা বই ডট কমপ্লিকেটেড পড়ার শখ হলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম। আমি সচরাচর তাই করি। আমার অনেক ছেলে-মেয়েই দেশে-বিদেশে থাকে। এ তো কদিন আগে তানিন নিয়ে এসেছে পেনসিলের প্রতিশ্রতি আর টমসের বই। তো রেন্ডির বই এর কথা লেখার কিছুক্ষণ পরে আমার বড় মেয়ে মেসেজ পাঠালো
ডিসেম্বরের শেষে হলে হবে?
- হবে না মানে হবে।
তো, আমার আমেরিকা প্রবাসী বড় মেয়ে তাহমিনা আফরোজ সিলভিয়া আর তার জামাই-ভাই ওমর শেহাব ওই বইটা পাঠিয়েছে অমৃতা আনামকে দিয়ে।
কাল অমৃতার টেলিফোন নম্বরটা তাহমিনা আমাকে দিয়েছে বলেছে কাওকে পাঠিয়ে দিলেই হবে। তারপর ও জানিয়েছে অমৃতা হল সাইদুল আনাম টুটুলের মেয়ে।
কাজেই যতোটা না বই-এর লোভে তার চেয়ে ছোটবেলার (এবং এখনো) হিরোর সঙ্গে দেখা করার লোভে সকাল বেলায় ওনাদের বাসায় হাজির হয়েছি। এবং চমৎকার সময় কাটিয়ে এসেছি।
এখন দু:খ হচ্ছে একটা ছবি কেন তুললাম না। দেখি আর কোন উসিলা বের করে আবার যাওয়া যায় কী না।
এজন্যই বলছিলাম মেয়েরা বড় হলে, এমন কী স্বামীর বাড়িতে চলে গেলেও বাবাদেরই লাভ হয় বেশি।
আল্লাহ আমাদের সব মেয়েকে ভাল রাখুন, শান্তিতে রাখুন।