আমরা যখন খেলছি ফেসবুকে ম্যালা!!!

Spread the love

এভি স্কিফম্যানকে বাংলাদেশের খুব একটা বেশি লোক চেনে কিনা আমি জানি না। আমিও মাত্র আজকে তাঁকে চিনেছি। তখন থেকে শ্রদ্ধায় আর সম্মানে মাথাটা নুয়ে রেখেছি।

স্কিফম্যানের বয়স ১৭। পড়ে আমেরিকার সিয়াটলের শহরতলীর মার্সার আইল্যান্ড হাইস্কুলে (আমেরিকাতে হাইস্কুল মানে আপটু দ্বাদশ শ্রেণি)) পড়ে। ছোটবেলা থেকেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, ত্রি ডি মডেলিং নিয়ে কাজ করে। তবে, এভি স্কিফম্যানকে বিশ্বাসী এখন চেনে তার ওয়েব ডেভেলপমেন্টের দক্ষতার কারণে। তাঁর তৈরি করা ওয়েবসাইটটি এই মুহুর্তে বিশ্বের করোনা ভাইরাসের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যের আকর। খুবই সাধারণ একটি ওয়েবসাইট। আপনি ঢুকলেই দেখতে পাবেন হোমপেজে কতগুলো ডেটা। দুটো কলাম (আমি একটু আগে থেকে দেখতে শুরু করেছি)। বামদিকের প্রথম কলামে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের  আক্রান্তের সংখ্যা, মৃতের সংখ্যা ইত্যাদির একটা সামারি পরিসংখ্যান পাবেন। তারপরের কলামে আছে দেশওয়ারী পরিসংখ্যান। প্রতি ১০ মিনিট পর পর এই সাইটের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ হচ্ছে।

জানুয়ারি মাসের শুরুতে স্কিফম্যান এই ওয়েবসাইটটি বানাতে শুরু করে। তখন ব্যাপারটা কেবল আগ্রহ থেকেই হচ্ছিল। যদিও কাজটি মোটেই সহজ নয়। একটি নিউজ সাইটকে ইমেইলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্কিফম্যান জানিয়েছে নিজের পড়াশোনা, এসাইনমেন্টের পাশাপাশি সে এই সাইটটা রক্ষণাবেক্ষণ করছে। প্রতিদিন গড়ে ১০০টার মতো ই-মেইল পায়। নানারকম সাজেশন, বাগ, পরিমার্জনের পরামর্শ ইত্যাদি থাকে। সেগুলো সে ঠিকঠাক করে।

এ কাজটার জন্য স্কিফম্যানকে প্রত্যেকদেশের সবচেয়ে অথেনটিক সোর্সটা খুঁজে বের করতে হয়েছে। তারপর কিছু স্ক্রিপ্ট লিখেছে যা সারাক্ষণই ঐ সোর্সগুলোর আপডেটের খবর নিয়ে আসে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার সাইটে আপডেট করে। এই পর্যন্ত ২০ লক্ষ ইউনিক ভিজিটর তার সাইটে ঢু মেরেছে। এর মধ্যে প্রতিদিন মাত্র ৩ লক্ষ লোক ওয়েবসাইটে আসছে নিয়মিত।

কাজটা সে কেন করছে?

উত্তরটা সহজ।

“My favorite quote is by Steve Jobs,” স্কিফম্যানের কথা “‘Because the people who are crazy enough to think that they can change the world, are the ones who do.’”

 

 

আকাশ কুসুম না ভেবে কাজে নেমে পড়াটাই হলো আসল।

এভি স্কিফম্যানের জন্য ভালবাসা ও স্যালুট।

 

 

 

2 Replies to “আমরা যখন খেলছি ফেসবুকে ম্যালা!!!”

Leave a Reply