“আই এম নট সেলফ মেইড”

Spread the love

আমি কোন সেলফ-মেড লোক নই।

যখনই কোন বিজনেস কনফারেন্স, কলেজ শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, বা রেডিটের এএমএ-তে আমি কথা বলি, সব সময় আমি এ কথাটা জোর দিয়ে বলি।

“গভর্নর/গভারনেটর/আর্নল্ড/আর্নি/…(আমি কোথায় আছি তার ওপর নির্ভর করে), একজন সেল্ফ-মেড মানুষ হিসাবে, আপনার সাফল্যের চাবিকাঠি কী?”
আমার উত্তরে তারা সবসময় হতচকিত হয়ে যায়। আমি তাদের কমপ্লিন্টের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলি – আমি কোন সেলভ-মেইড লোক নই। আমি অনেক অনেক সাহায্য পেয়েছি।

এ কথা সত্য যে আমি প্লাম্বিং না করেই অস্ট্রিয়াতে বড় হয়েছি। তার চেয়েও সত্যি যে, আমি একটা জিম ব্যাগ কাঁধে নিয়ে আমেরিকাতে এসেছি। এটাও সত্য যে কোনান দ্যা বারবারিয়ানে তলোয়ার ধরার আগে আমি রাজমস্ত্রি হিসাবে কাজ করেছি এবং মিলিওনিয়ার হওয়ার আশাতে রিয়্যাল এস্টেটে বিনিয়োগও করেছি।

কিন্তু এই কথা সত্য নয় যে আমি একজন সেলফ মেইড মানুষ। আজকে আমি যেখানে আছি, আরও অনেকের মতো, সেখানে পৌছানোর জন্য আমি বড়দের কা্ঁধে সওয়ার হয়েছি। আমার জীবনের ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন আমার পিতা-মাতা, কোচ এবং শিক্ষকবৃন্দ; সেই সব দয়ালু মানুষেরা যারা ঘুমানোর জন্য সোফা অথবা জিমের পেছনের রুম খুলে দিয়েছেন; মেন্টরবৃন্দ যারা প্রজ্ঞা ও উপদেশ দিয়েছেন; আমার আইডল যারা পত্রিকা-মাগাজিনের পাতা থেকে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন (এবং, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যাদের সঙ্গে আমার মিথস্ক্রিয়া হয়েছে)।

আমার একটা বড় স্বপ্ন আর পেটে দারুন জ্বালা ছিল। কিন্তু আমি কোথাও যেতে পারতাম না যদি না আমার মা আমাকে হোম ওয়ার্ক করতে সাহা্য্য না করতেন (এবং পড়তে না বসলে আমাকে না থাপড়াইতেন), আমার বাবা যদি আমাকে “দরকারি” হতে না বলতেন, কীভাবে বিক্রি করতে হয় সেটি যদি আমার শিক্ষক ব্যাখ্যা না করতেন এবং আমার কোচেরা যদি আমাকে ভারোত্তোলনের নিয়মকানুন না শেখাতেন।

একটি ম্যাগাজিনের পাতায় আমি যদি রেজ পার্কের ছবি না দেখতাম, যদি তার মিস্টার ইউনিভার্স থেকে বড় পর্দার হারকিউলিস হওয়ার রূপান্তরের কাহিনী না পড়তাম তাহলে হয়তো আমি আজও অস্ট্রিয়ান আল্পসে গানে হারমোনাইজ করতাম। আমি জানতাম আমাকে অস্ট্রিয়া ছেড়ে যেতে হবে, এবং আমেরিকা আমার স্বপ্নের দেশ কিন্তু রেজ পার্কই আমাকে রসদ দিয়েছেন এবং আমাকে আমার নীলনকশা ধরিয়ে দিয়েছেন।

জো ওয়েইডার আমাকে আমেরিকাতে নিয়ে এসে তার ছায়াতে স্থান দিয়েছেন। আমার বডি বিল্ডিং ক্যারিয়ারকে প্রমোট করছেন এবং আমাকে ব্যবসা শিখিয়েছেন। লুসিলি বল যদি আমাকে হলিউডে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিরাট রিস্ক না নিতেন তাহলে আমি আজ কোথায় থাকতাম? এবং ২০০৩ সালে ৪২ লক্ষ ৬ হাজার ২৮৪জন ক্যালিফোর্নিয়ান যদি আমাকে ভোট দিয়ে সাহায্য না করতেন তাহলে আমি কখনোই ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হতে পারতাম না।

কাজেই, কীভাবে আমি নিজেকে একজন সেলফ-মেইড বলে দাবী করতে পারি? যেখানে যতো উপদেশ, সাহা্য্য ও পরামর্শ দরকার হয়েছে সেগুলোর সম্মিলনে আজকের আমি আমি হয়েছি। এবং এগুলো বলে যে – তুমি একা একা কিছুই করতে পারো না।

আমি পারি নাই। সমূহ সম্ভাবনা যে তুমিও পারবে না।

We all need fuel. Without the assistance, advice, and inspiration of others, the gears of our mind grind to a halt, and we’re stuck with nowhere to go. I have been blessed to find mentors and idols at every step of my life, and I’ve been lucky to meet many of them.

আমাদের সবারই রসদ দরকার। জ্বালানী দরকার। অন্যদের সহযোগিতা, পরামর্শ ও অনুপ্রেরণা ছাড়া আমাদের মনের চাকা কিন্তু গড়ায় না, আমরা আটকে পড়ি – কোথাও যেতে পারে না। আমার সৌভাগ্য যে, আমার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আমি কাউকে না কাউকে পেয়েছি মেন্টর হিসেবে এবং আমি সেই বিরল সৌভাগ্যবানদের একজন যে কিনা এইসব মেন্টরদের অনেকের সঙ্গে সাক্ষাত করতে পেরেছে।

জো ওয়েইডার থেকে নেলসন মেন্ডেলা, মিখাইল গর্ভাচভ থেকে মোহাম্মদ আলী, এন্ড ওয়ারহল থেকে জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ – রসদের জন্য জ্ঞান ও প্রজ্ঞা চাইতে আমি কোনদিনই কুন্ঠিত হইনি।

সকালের রুটিন হোক, হোক দর্শন বা প্রশিক্ষণের টিপ কিংবা শুধু দিন চলার মোটিভেশন – পৃথিবীতে এমন একটা লোক নেই যে কিনা বাইরের সাহায্য থেকে একটু না একটু উপকৃত হয়নি। আমি সবসময় এই দুনিয়াকে একটি ক্লাশরুম হিসেবে বিবেচনা করেছি এবং সারাক্ষণই এগিয়ে যাওয়ার রসদ কুড়িয়ে নিয়েছি।

আমি আশাকরি তুমিও তাই করো।

সবচেয়ে খারাপ যে কাজটা তুমি করতে পারো তা হলো তুমি ভাবতে পারো তুমি যথেষ্ঠ জানো।

জানার কোন শেষ নাই। থেমো না কখনো।

কখনো নয়।

[টিম ফেরিসের টুলস অব টাইটান বই-এ আর্নল্ড শোয়ার্গাজেনেগারের ভূমিকার নির্বাচিত অংশ]

 

Leave a Reply