অ্যাডা লাভলেস, বেগম রোকেয়া ও গ্রেস হপার
বলতেন এজন্য যে প্রোগ্রামিং কেবল একটি করার বিষয় নয়। এটি হলো সেই টুলস যা মানুষকে সৃজনশীল, যুক্তির কাঠামোবদ্ধ প্রয়োগ এবং বড় সমস্যাকে ছোট ছোট আকারে ভেঙ্গে সমাধান করার পথে দক্ষ করে তোলে। শুধু তাই নয় এটি সেই টুলস যা ছেলে বা মেয়ে সমানভাবে ব্যবহার করতে পারে। আর সবচেয়ে বড় কথা তথ্যপ্রযুক্তির হাত ধরে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যে পদধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে এটি হলো তাঁর চালিকা শক্তি।
প্রোগ্রামিং-এর ব্যাপারটা এখন খুবই সাধারণ পর্যায়ে চলে এসেছে। দেশের সকল ছেলে-মেয়েকে প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এখন দেশে দেশে সরকারগুলোর একটি চ্যালেঞ্জ। আমি কিন্তু “প্রোগ্রামার হও” এই কথাটা বলছি না। বলছি প্রোগ্রামিং করার কথা। কারণ এটিই আসলে এতই দরকারি যে ভাষা, গণিতের মতো এখন এটিরও কোন বিকল্প নেই। প্রোগ্রামিং শেখা নিয়ে জাফর স্যারের একটা লেখা এখানে পড়া যাবে।
অ্যাডা যে পথ দেখিয়েছেন সে পথে প্রথম পা রাখেন গ্রেস হপার। এই মহিয়সী মহিলা দেখিয়েছেন মেয়েরাও সমানভাবে প্রোগ্রামিং-এ দক্ষ হতে পারেন। তাঁর সম্মানে আমাদের মেয়েদের প্রোগ্রামিং ক্যাম্পগুলোর নাম রেখেছি গ্রেস হপার ক্যাম্প। বিশ্ব্যাপী মেযেদের প্রোগ্রামিং-এর সবচেয়ে বড় আয়োজনটার নাম গ্রেস হপার সেলিব্রেশন। আমেরিকা ছাড়াও আরও কয়েকটা দেশে হয়। ২০১৮ সাল থেকে আমাদের দেশেও আমরা এমন একটি কনফারেন্স করার কথা ভাবছি। গ্রেস হপার ক্যাম্পের কারণে এখন আমাদের আইসিপিসির রিজিওনাল রাউন্ডে অল গার্লস টিম হয় মাত্র ১৫০টি!
আজ অ্যাডা লাভলেস দিবসে সবার জন্য আমার শুভ কামনা।