প্রেমিকার সঙ্গে ‘জুমে’ ‘দেখা’ করা

Spread the love

১৯৮৭ সাল। চিনের সানডং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ফলিত গণিতের এক ছাত্রকে সপ্তাহঅন্তে ১০ ঘন্টার ট্রেন জার্নি করতে হয়। কারণ তার প্রেমিকা থাকে অন্য একটি শহরে। আসা যাওয়ার এই ঝক্কি কমানোর জন্য “ট্রাভেল না করে” প্রেমিকার সঙ্গে ‘সাক্ষাৎ’ করার” তরিকা খুঁজতে শুরু করে সে। এ জন্য ফলিত গণিতের পাশাপাশি কম্পিউটার সায়েন্সেও মাইনর করতে শুরু করে। তারপর তার মনে হয় একটা ভিডিওফোন তো বানানো যায়! সেরকম একটা সিস্টেমও সে বানায়। ১৯৯১ সালে প্রেমিকাকে বিয়ে করার পর অবশ্য তার ভিডিওফোনের কার্যকারিতার আর দরকার হয়নি। কিন্তু কে জানতো বিয়ের প্রায় তিন দশক পরে ঐ তরুনের বানানো নতুন একটি ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম করোনা মহামারির সময় বিশ্বের লাখো কোটি লোককে “ট্রাভেল না করে” কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দেবে?

ইন্টারনেট ইন্টারনেট 

১৯৯৫ সাল। ইন্টারনেট তখনো একবারে শিশুর মতো। বিশ্বজুড়ে মাত্র ৪ কোটি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ওয়েবসাইটের সংখ্যা অবশ্য অনেক, ২৩ হাজার ৫০০। যদিও টিম বার্নার্স-লী ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) এর উদ্ভাবন করে ফেলেছন ১৯৮৯ সালে। ১৯৯৪ সালের শেষ মাসে বাজারে এসেছে ডেস্কটপ ব্রাউজার – নেটসক্যাপে নেভিগেটর। বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের অমিত সম্ভাবনা যারা দেখছেন তাদের অন্যতম মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সে সময়কার বিশ্বের শীর্ষধনী বিল গেটস। গিয়েছেন জাপানে। সেখানে একটি ইন্ডাস্ট্রি কনফারেন্সে বিল গেটস ইন্টারনেটের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁর বক্তব্য রাখলেন। শ্রোতাদের মধ্যে ২৫ বছর বয়সী আমাদের সেই চিনাম্যান এরিক ইয়ান একজন। এরিক সে সময় চার মাসের জন্য জাপানে এসেছেন প্রকাশনা শিল্পের ওপর প্রশিক্ষণ নিতে। ততদিনে মাস্টার্সের পর বেইজিং-এ একটি পাবলিশিং কোম্পানিতে কাজ করে সে। সেই কোম্পানি তাকে পাঠিয়েছে জাপানে। ইন্টারনেটের নানা কিছু বিল গেটসের বক্তৃতা শুনে তার প্রথম উপলব্ধিতে আসে। চিনে ফেরার পরও ইন্টারনেট তাকে আচ্ছন্ন করে রাখে। ভাবে কী করলে ইন্টারনেটকে কাজে লাগানো যাবে। কারণ বিলের বক্তৃতা ও পড়ালেখার কারণে এরিক বুঝে ফেলেছে – ইন্টারনেট ইজ দ্যা ফিউচার

কিন্তু কী করা যায়?

প্রকাশনা শিল্পের অভিজ্ঞতা সম্বল করে এরিক ভাবলেন তিনি ইন্টারনেটে বই বিক্রি করবেন। অ্যামাজনের জন্ম ১৯৯৪ সালে হলেও সেটির নাম কিন্তু তখনো পশ্চিম থেকে প্রাচ্যে পৌঁছেনি। কিন্তু কীভাবে শুরু করবেন সেটা বেরই করতে পারলেন না। কাজে ভাবলেন তাকে আমেরিকার সিলিকন ভ্যালিতে যেতে হবে ব্যাপারটা বোঝা ও হাতে কলমে কাজ করার জন্য। শুরু হলো আমেরিকার শর্টটাম ভিজিটের জন্য বি-১ ভিসার আবেদন করা ও প্রত্যাখ্যান হওয়া। বুঝলেন শর্টটার্মে হবে না। অন্য কোন উপায়ের সন্ধান করতে গিয়ে জানলেন ওয়েবেক্স নামে একটি স্টার্টআপ সেই বছরেই সিলিকন ভ্যালিতে কাজ শুরু করেছে। ডেটা কোলাবোরেশন নিয়ে কাজ করে। তার চেয়ে বড় কথা হলো ওয়েবেক্সের একজন কো-ফাউন্ডারের সঙ্গে কাজ করেছে তারই এক ক্লোজ বন্ধু। সেই ভরসায় সাহস করে ওয়েবেক্সে চাকরির জন্য এপ্লাই করলেন এরিক।

ওয়েবেক্স তার চাকরি হলো। ওরাই তার এইচ-১বি ভিসা স্পন্সর করলো। বিল গেটসের বক্তৃতার দুই বছর পর ১৯৯৭ সালে এরিক এসে পৌছালেন সিলিকন ভ্যালিতে। এরিক উয়ান. সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ওয়েবেক্স-১২। মানে ওয়েবেক্সের ১২তম কর্মী। এখানেই এরিকের ক্যারিয়ার। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার। তারপর ডিরেক্টার অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সাত বছর। সবশেষে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট। ওয়েবেক্সের ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের শুরুর সদস্য হিসেবে এর কোডবেজে কাজ করতে শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে ওয়েবেক্স প্রথম রিলিজ হয়। তাদের হাতেই ওয়েবেক্সের বিকাশ। ভিডিও কোলাবোরেটিং সফটওয়্যার হিসেবে ওয়েবেক্সের বিকাশের এক পর্যায়ে নেটওয়ার্ক জায়ান্ট সিসকো সিস্টেম মাত্র ৩.২ বিলিয়ন ডলারে সেটাকে কিনে নেয়। ওয়েবেক্সের সব কর্মীই তখন সিসকোতে আত্মীকৃত হয়ে যায়। এরিক হোন কর্পোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ভিডিও সিস্টেমস।

কাস্টোমারের দুখী দুখী চেহারা
ওয়েবেক্সের মূল সফটওয়্যার লেখা হয়েছে ১৯৯৮ সালে। ২০১০ সালেও একই কোড-কাঠামো বজায় রেখেছে সিসকো। যদিও সেটাতে নানা ফিচার যোগ করা হয়েছে। এরিকের ধারণা এরকম ‘প্রস্তুর যুগের’ সফটওয়্যারে অনেক কিছু করার সুযোগ কম। সে সময়ের নিজের দু:খের কথা তিনি বলছেন, “যখনই আমি একজন ওয়েবেক্স কাস্টোমারের সঙ্গে কথা বলি, আমি একটা দুখী লোকের চেহারা দেখতে পাই”। কাস্টোমারদের সঙ্গে সঙ্গে এরিকের নিজের বেদনাও বাড়তে থাকে। তার মনে হয় আবার গোড়া থেকে নতুন করে সব লেখা দরকার। সিসকোকে এটা বোঝানোর চেষ্টা করেও জুত করতে পারলেন না।
কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যান প্রায় এক বছর। এক সময় দারুণভাবে হতাশ হয়ে পড়েন। “প্রতিদিন সকালে আমার অফিসে যেতেই ইচ্ছে করতো না”। শেষমেষ তার মনে হলো এভাবে হবে না। সিসকো যতি না করে তাহলে তাকেই একটা নুতন সফটওয়্যার বানাতে হবে, একেবারে গোড়া থেকে। কাস্টোমাররা যে সমস্ত সমস্যা দেখছে সেগুলোর একমাত্র সমাধান হলো একেবারে স্ক্র্যাচ থেকে নতুন করে শুরু করা। সে সময় এই মার্কেট কত বড় কিংবা একটা স্টার্টআপ কীভাবে গড়তে হয় তার কিছুই জানা ছিল না এরিকের। তার কেবল মনে হয়েছে – কাস্টোমারদের দুখী চেহারা দূর করে তাদের সুখী করতে হবে। সেটাই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য।

জুমের জন্ম
জুম শুরু করার সময় এরিকের মাথায় কেবল কাস্টোমারের চিন্তাটা ছিল। সিসকো ছেড়ে দিয়ে এসে এরিক একটি ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম গড়ার কাজে হাত দিলেন। ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম ব্যবহার করেন এমন লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। তার দুইটি প্রশ্ন – কোন সফটওয়্যার বা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন? ঐ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি কি সন্তুষ্ট?
পরে তিনি জানিয়েছেন তিনি যতো লোকের কাছে জানতে চেয়েছেন তাদের একজনও ব্যবহৃত সফটওয়্যারে সন্তুষ্ট ছিলেন না। কাজে নিজের কাজে জোর পেলেন। কিছুটা আগানোর পর তাদেরকে জানালেন তিনিও একটা এরকম সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করছেন। প্রত্যকে তার সফটওয়্যারটি তৈরি হলে সেটি ‘পরখ’ করতে চাইলেন। এরিক সানন্দে সেটি দিলেন এবং ‘কাস্টোমার’দের ফীডব্যাক যোগাড় করতে শুরু করলেন। এদের মধ্যে একজন ছিলেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিখ্যাত টেকনোলজি সাংবাদিক ওয়ার্ট মসবার্গ। ব্যবহার করে তিনি এতোই খুশি হলেন যে এ নিয়ে একটা লেখাও লিখে ফেললেন নিজের বয়ানে। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই জুমের খবর পেয়ে গেল ও আগ্রহী হয়ে উঠলো। স্ট্যানফোর্ড কন্টিনিউয়িং স্টাডিজ এমনকী প্রোডাক্ট বাজারের জন্য তৈরি হওয়ার আগেই ‘পেইড কাস্টোমার’ হয়ে গেল। এই দুইট ঘটনা থেকে এরিকের আগ্রহ অনেক বেড়ে গেল। মনে হলো একটা পথ পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান বড় করার জন্য তো বিনিয়োগ দরকার। শুরু হলো বিনিয়োগ খোঁজার পালা।

২০১১ সালে এরিক বিনিয়োগকারীদের কাছে যান। এরিকের প্রায় ১৪ বছরের সফল পেশাদার অভিজ্ঞতা। নিজের কোডিং-এর দক্ষতা। আবার কাস্টোমারদের সঙ্গে যোগাযোগ। যে প্রতিষ্ঠান প্রোডাক্ট বানানোর আগেই কাস্টোমার পেয়ে যায় তাতে স্বাচ্ছন্দ্যে বিনিয়োগ করা যায়। কাজে সিড রাউন্ডে ৩ মিলিয়ন ডলার যোগাড় করতে তেমন সমস্যা হলো না। দল বড় করে আরও আগাতে থাকেন। প্রথমে নজর দেন ইঞ্চিনিয়ারিং টিমের প্রতি।

স্টার্টআপের জন্য স্পিড হলো আসল। উদ্ভাবনের গতিও হতে হবে দ্রুত। এসব ক্ষেত্রে এমন একটা টিম বানাতে হয় যাদের ওপর আস্থা রাখা যায়। ১৯৯৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ওয়েবেক্স ও সিসকোতে ১৪ বছর চাকরি করেছে এরিক। হাজারখানেক ইঞ্জিনিয়ারের সংস্পর্শে এসেছে। কাজে সেরকম পরিচিতদের তার সঙ্গে কাজের অনুরোধ করলো সে। জুমের প্রথম ২৩ জন কর্মীর সবাই কোন না কোন সময় তার সঙ্গে কাজ করেছে, হয় সিসকোতে না হয় ওয়েবেক্সে। ইঞ্জিনিয়ারিং টিম কাজ করতে শুরু করে এবং তারাই প্রথম রিলিজটা দেয়। আলাদা সেলস টিমের তখনো কোন খবর নাই। ইঞ্জিনিয়াররাই কোড করে, কাস্টোমার খুঁজে আবার সাপোর্টও দেয়।

২০১৩ সালে সিরিজ-এ ফান্ডিং। এবারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোয়ালকম ভেঞ্চার, এএমই ক্লাউড ভেঞ্জার, মাভেন ভেঞ্চারসহ একাধিক এনজেল বিনিয়োগকারী ৬ মিলিয়ন ডলার তাকে দিল। এবার সেলস টিম হলো। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো টিম যখন বেশ বড় ইঞ্জিনিয়ার, সেলস নিয়ে তখনো কিন্তু ফিন্যান্সে মাত্র একজন ছিল। কারণ এরিকের মতে সেটা দরকার ছিল না। ২০১৫ সাল পর্যন্ত জুমের কোন মার্কেটিং টিমই ছিল না। ওয়ার্ড অব মাউথ আর গ্রোথ হ্যাকিং যা কিনা ইঞ্জিনিয়াররাই করে।

২০১৭ সালে সেকোয়া ক্যাপিটাল এসে দাড়ালো জুমের পাশে। সিরিজ-ডি তে তারা বিনিযোগ করলো ১০০ মিলিয়ন ডলার। আর জুমের ভ্যালুয়েশন হলো এক বিলিয়ন ডলার। জুম হয়ে গেল বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ। ইউনিকর্ন।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ নাসডাকে তালিকাভূক্ত হয় জুম। ২০২২ সালের মার্চ মাসে এর মার্কেট ক্যাপিটাল ছিল মাত্র ৩৬.২৪  বিলিয়ন ডলার

জুমের গল্প থেকে শেখা

১. কাস্টোমারের কথা শোনা – অনেক উদ্যোক্তাই কিছু একটা শুরুর জন্য ‘আইডয়া’ খোঁজেন। সব সময় একটা নতুন কিছু করতেই হবে এমনটা ঠিক নয়। ওয়েবেক্সে আর পরে সিসকোতে এরিকের একটা কাজ ছিল কাস্টোমারদের সঙ্গে কথা বলা। আর কথা বলতে গিয়ে সে টের পেতে শুরু করে কাস্টোমারদের মনোবেদনা। যেহেতু নিজেই ওয়েবেক্সের কোর কোডারদের একজন, কাজে সে জানতো ‘ওভারহলিং’ না করলে কাজটা হবে না।

২. দেয়ার ইজ অনলি ওয়ান কনস্ট্যান্ট – চেঞ্জ : ১৯৯৮ সালে রিলিজ হওয়ার পর থেকে ওয়েবেক্সের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে। কিন্তু ২০১০ সাল পর্যন্ত মূল কোডবেজ ছিল একই। কোডারদের মধ্যে এরিক যেহেতু কাস্টোমারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতো তাই সে টের পেয়েছে কাস্টোমারদের চাহিদা পূরণ করার জন্য নতুন নতুন ফিচার এড করলে হবে না। বরং ১৯৯৮ সালের কোডবেজ বাদ দিতে হবে। সেটাই সে করেছে।

৩. ইফ দে ডোন্ট হিয়ার ইউ, কুইট – ওয়েবেক্সের কী করতে হবে এটা বোঝার পর এরিক সিসকো ম্যানেজমেন্টকে তার ওভারহলিং পরিকল্পনা প্রেজেন্ট করেছে। কিন্তু দীর্ঘ একবছরে তার কথা কেউ শোনে নাই। এক সময় তার অফিসে যেতেই বিরক্ত লাগতো। কাজে শেষ মেষ সিসকো’র বড় চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

৪. প্রতিযোগীদের ভুলে প্রোডাক্টে মন দেওয়া  – ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম নতুন কিছু না। গেল শতকের নব্বই দশক থেকেই বিভিন্ন সলিউশন ছিল। এমনকী ইন্টারনেটের বিকাশের আগেও পলিকমের সিস্টেম আমাদের বুয়েটেও ছিল। ২০০৩ সালে স্কাইপি এসে তো ভিডিও কনফারেন্সিং-কে একটা অন্য মাত্রায় দিয়ে দিল। ই-বে’র হাত ঘুরে স্কাইপি মাইক্রোসফটে ল্যান্ড করে ২০০৯ সালে। মাইক্রোসফট তাদের উইন্ডোজ লাইভ মেসেঞ্জারের বদলে স্কাইপিকে এগিয়ে আনে। আর সিসকো তো ওয়েবেক্সকে কিনে নিয়েছে ২০০৭ সালে। কাজে ২০১১ সালে এরিকের জন্য কাজটা সহজ ছিল না। সে সময় এন্টারপ্রাইজ মার্কেট ছিল সিসকো আর পলিকমের দখলে। কিন্তু এরিক বা জুম কেউ এসব নিয়ে মাথা ঘামায়নি্। তাদের লক্ষ্য ছিল প্রচলিত প্রোডাক্টের দোষগুলি কাটিয়ে কাস্টোমাররা চায় এমন একটা সিস্টেম বানানো। ২০১৫ সাল পর্যন্ত কোন মার্কেটিং টিমই ছিল না। কিন্তু খুবই শক্ত-পোক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং টিম তৈরি করে। এ কারণে ২০১৮ সালেই জুম বাজারের অনেকভানি দখল করে মার্কেট লিডারে পরিণত হয়। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কবলে পরা বিশ্ববাসী খুব দ্রতই জুমের কথা জেনে যায়। ২০২০ সালে মোট বাজারের ৩৬% দখল করে ফেলে জুম।

 

এক অর্থে জুম ডেভিড ভার্সেস গোলিয়াথের একটা বড় উদাহরণ। প্রোডাক্টই শেষ পর্যন্ত ক্রীড়নক যে কেন কিছুর এটাই এরিক প্রমাণ করেছে।

 

আমার আরও বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ বই-এ জুমের গল্পসহ থাকবে আরও একগুচ্ছ স্টার্টআপের গল্প। তবে কবে নাগাদ এটি প্রকাশ হবে সেটা একমাত্র আলেমুল গায়েবই জানেন

Leave a Reply