গ্রেটা থানবার্গ -অতীত থেকে এসেছে?
ব্যাক টু দ্যা ফিউচার বলেন কিংবা টার্মিনেটর। সব জায়গাতে ভবিষ্যৎ থেকে লোকজন অতীতে যায়। এ কারণে সময় পরিভ্রমণের ক্ষেত্রে “বাবার মৃত্যু কুহেলিকা”র জন্ম। এই কুলেলিকার প্রশ্নটা খুব সহজ। কেউ যদি টাইম মেশিনে করে অতীতে গিয়ে নিজের বাবাকে মেরে ফেলে তাহলে কী হবে?
যা হোক। আমি তো আর হকিং না। আমার কোন সমস্যা নাই এ নিয়ে। আমি বরং আহলাদিত এবং চমকিত যে, শেষ পর্যন্ত অতীত থেকে কেউ একজন বর্তমান দুনিয়ায় এসে পড়েছে আমাদরকে বাঁচানোর জন্য। খবরটা পড়ার পর থেকে নিজেকে খুবই নির্ভার মনে হচ্ছে।
বলছিলাম জলবায়ু একটিভিসস্ট গ্রেটা থানবার্গের কথা। থানবার্গের কথা তো সবাই জানেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রতি শুক্রবার জলবায়ু পরিবর্তনে সচেতন হওয়ার জন্য নিজের স্কুলে ক্যাম্পেইন করেছে। তারপর তো ইউএন ক্লাইম্যাট একশন সামিটে এমন বক্তৃতা দিয়েছে যে এবার অনেকেই তাকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়নও দিয়ে ফেলেছে।
আমি ভাবতাম এই পুচকে মেয়ে এতো সাহস কোথা থেকে পেল। এখন জানা যাচ্ছে, ও মোটেই আমাদের সময়ের মেয়ে নয়। কমপক্ষে সোয়াশো বছর আগে ওর জন্ম। ও অতীত থেকে এসেছে আমাদেরকে বাঁচানোর জন্য।
বিশ্বাস হচ্ছে না। নিচের ছবিটা দেখুন। এটি ১২১ বছর আগে তোলা একটা ছবি! শুরুতে দিয়েছি। আবার দেখেন –
ছবিতে তিনটি মেয়েকে কুয়া থেকে পানি তুলতে দেখা যাচ্ছে। সামনের মেয়েটাকে খেয়াল করেন। ও একেবারেই গ্রেটার মতো দেখতে। না গ্রেটার মতো দেখতে না। ওই গ্রেটা আসলে।
ছবিটা পাওয়া গেছে ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের আর্কাইভে। চেহারা, চোখ এমনকী গঠনের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। আমি নিশ্চিত যে, এটা গ্রেটারই ছবি, ১২১ বছর আগে তোলা। ছবিতে তার চেহার জৌলুষটা দেখুন। ডোনাল্ড ট্রাম্বের সামনে গ্রেটার ছবিটা দেখতে পারেন।
আরও সুবিধার জন্য দুইটা ছবি পাশাপাশি দিলাম, আগেরটা আর এখনকারটা।
এই ছবিটা তোলা হয়েছে ১৮৯৮ সালে কানাডায়, একটি স্বর্নখনি এলাকায়। ঐ এলাকাটি এখন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের আওতায়। ক’দিন আগে তারা টুইটারে ছবিটা প্রকাশ করে।
One Reply to “গ্রেটা থানবার্গ -অতীত থেকে এসেছে?”
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.
রহস্য