কী সে তোমাকে আটকে রেখেছে?

Spread the love

ucanকদিন আগে লিখেছিলাম ২০২০ সালে কেবল আমেরিকা আর ইউরোপে ১৯ লক্ষ প্রোগ্রামারের পদ খালি থাকবে। সে পদগুলো পূরণ করার জন্য দলে দলে লোক ছুটবে সেখানে। সেই সময় আমাদের দেশেও বিপুল পরিমান পদ খালি হবে নানান সেক্টরে।
কেবল কারিয়াকৈর হাইটেক পার্কে নতুন ৭০ হাজার কর্মসংস্থান হবে। বেশ কযেকটি এসটিপি চালু হবে। বেসরকারি খাতেও এসটিপি চালু হয়েছে। কেবল বিপিও সেক্টরে ২০২১ সালে হবে নতুন ২ লক্ষ কর্মসৃজন।
আগামী এক দশকে চীনের কমপক্ষে ৪ হাজার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বাংলাদেশে স্থানান্তর হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
৬+ গ্রোথের কারণেই নতুন কর্মসৃজনের হার এখনকার চেয়ে কয়েকগুন হয়ে যেতে পারে। ২০২৩ সাল নাগাদ দেশে প্রতি বছর লাখখানেক মধ্যম মানের ম্যানেজারের প্রয়োজন হবে। পদ্মা সেতু হয়ে যাবার পর দক্ষিণ বাংলায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। ২০১৮-১৯ সাল নাগাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি হয়ে যাবার কথা।
দেশের বড় অংশ এখন মধ্যবিত্তের স্ট্যাটাস অর্জন করছে। তারা সন্ধ্যা বেলায় বার্গার খায় মাত্র ৫০০ টাকা খরচ করে, যে কোন অকেশনে জামা তৈরি করে। ফ্যাশনেবল আইটেমের ব্যবহারও বাড়ছে। হটাৎ করে অনেক বড় হয়ে গেছে আমাদের ভোক্তা বাজার।
কতো বড়?
এত বড় যে, ঢাকার ফাইভ স্টার হোটেলগুলোতে বিদেশীদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। হলিডে ইন তাদের প্রথম হোটেলটার নামের সঙ্গে ঢাকা সেন্টার কথাটা যুক্ত করেছে। কারণ তাদের প্ল্যানের মধ্যে ঢাকা নর্থ, ঢাকা সাউথ এসব আছে।
তারমানে ব্যপক কোন গ্যাঞ্জাম না হলে আমাদের দক্ষতার একটা বড় সুযোগ আমরা পেতে পারবো, যদি আমরা কাজে লাগাতে চাই, সেটা দেশের মধ্যেই।
আর এই কাজগুলোর একটা বড় অংশ হবে তথ্যপ্রযুক্তিকে ঘিরে।

একটা ল্যাপটপ আর একটা ইন্টারনেট তোমার জীবনকে বদলে দিতে পারে, একেবারে আমুল। যদি তুমি সেটা চাও, যদি সেটার পেছনে তুমি দৌড়াও। যদি তোমার একটা ঠিকঠাক স্বপ্ন থাকে
আমরা অনেকেই কিন্তু কথাগুলো জানি, মানি। কিন্তু একশনে যাই না। ফলে যেখানে আছি সেখানেই থেকে যাচ্ছি।
কিন্তু কোনদিন কী ভেবে দেখেছো কীসে তোমাকে আটকে রেখেছে?
কাওকে কোথাও সিভি ড্রপ করতে বললে বলে – ওরা লোক ঠিক করে রেখেছে। যদিও কথাটা ৯০% জায়গায় সত্য নয়।

অনেক অফিসেই এখন বিদেশীরা কাজে যোগ দিচ্ছে। গত বছরও ৬ লক্ষ বিদেশী প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা আমাদের দেশ থেকে নিয়ে গেছে, রেমিট্যান্স হিসাবে, আগের বছরে এটা ৩০ হাজার কোটি টাকা ছিল। এগুলো অদক্ষতা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অজ্ঞতার খেসারত।
পরিত্রাণের উপায় কী?
উপায় একটাই। খুঁজে বের করা – কীসে তোমাকে আটকে রেখেছে।

ল্যাপটপ মেলায় এই নিয়ে আমরা একটা মুক্ত সেমিনারের আয়োজন করেছি। এটি আমাদের সিরিজ আলোচনার প্রথমটি যা মূলত তোমাকে জানাবে নতুন, বড় রাস্তায় উঠতে হলে তোমাকে কী কী জানতে হবে, কী কী করতে হবে। হাজির থাকবে কয়েকজন সফল ব্যক্তি যারা জানাবে কেমন করে তারা তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছে।

তাদের সঙ্গে তোমার অঙ্ক মেলালেই তুমি জানতে পারবে – কীসে তোমাকে আটকে রেখেছে। তারপরের কাজটা সহজ। তোমার কাজ হবে গ্যাপ পূরণের।
১৩ তারিখ সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে বিডিওএসএনের মুক্ত সেমিনারে সবার আমন্ত্রণ।

লড়ে যাও স্বপ্নবান
যায় যাবে যাক প্রাণ।

Leave a Reply