এ জার্নি টুওয়ার্ডস এক্সেলেন্স : এ স্টোরি অব অ্যা স্টোরিটেলার

Spread the love

Hasinপ্যাশন আর ভাল লাগা মানুষকে কোথায় নেয় তার একটা উদাহরণ এই লোক। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েটে) পড়ার সময় পড়েছে পুরকৌশল মানে ইট-সুড়কি-সিমেন্টের নির্মাণ। তবে, ছাত্রাবস্থায় কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এর প্রতি যে আগ্রহ সেটা তাকে নির্মানে রাখলেও ইট-সুড়কিতে নিতে পারেনি। তাঁর নির্মাণের অনুসঙ্গ তাই সফটওয়্যার এপ্লিকেশনের কাঠামো। খেলতে ভালবাসে নতুন নতুন সব টুলস নিয়ে। পাশাপাশি প্রচুর লেখালেখি করে তাঁর ব্লগ আর টেকনিক্যাল জার্নালে।

অনেকেই হয়তো এরই মধ্যে তাঁকে চিনে ফেলেছে। হ্যা আমি হাসিন হায়দারের কথা বলছি।

আমি মানুষটা বুড়া হলেও তরুনদের সঙ্গ ভালবাসি। তাদের খোঁজ খবর রাখি। প্রথম আলোর প্রজন্ম ডট কম পাতার জন্য একটি লেখা লিখতে গিয়ে আমি প্রথম হাসিনের কথা জানতে পারি। বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজে তখন একদল তরুন-তরুনীর হাত ধরে বাংলা ব্লগের আবির্ভাব হযেছে। তারপর খুঁজে পেতে ফেসবুকে হাসিনকে ফ্রেন্ড রিকোযেস্ট পাঠাই। তারপর যোগাযোগ হওয়ার পর থেকে সে যোগাযোগ এখনো অব্যাহত আছে। থাকারই কথা। যারা অনেক  বেশি জানে তারা শিক্ষক হিসাবে যেমন অসাধারণ হোন তেমনি মানুষ হিসাবে হোন বিনয়ী, সদালাপী এবং হাস্যময়। হাসিন তার ব্যতিক্রম নন।

ওর কাজের কথা ধরা যাক। তাঁর সম্পর্কে আইটুউই এর কারেল বেলন লিখেছেন, “Hasin is a technical wizard, and an highly effective and trustworthy engineer. He understands products intuitively and collaborates successfully with clients and all team members so the best product and technical decisions are made. I rely on Hasin to tell us whether something is possible, and whether there is anything even more awesome possible. As a published author, he is also a careful writer and documenter of code and requirements. We’re honored to have Hasin working with us”। ( আমি অনুবাদে গেলাম না)।

তাঁর এক ছাত্রের স্বীকারোক্তি- “This is an awesome man who is great teacher, power bank of motivation. I wonder how he can mange a lot of things. He is a tremendous programmer, efficient writer and spellbound storyteller and a good reader, when he teach us its seems to me that he tells a story. Really I feel greatly lucky that I got the chance get in touch of him.”

হাসিনের হাত দিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। কযেকটি স্টার্টআপও হয়েছে। লোকজনকে প্রোগ্রামিং শেখানোও তার কাজ। ছবি তোলা, সাইকেল আর বাইক সবই সমান চলে। ভাবার কোন কারণ নেই যে, হাসিন শুধু কাজই করে, পরিবারকে সময় দেয় না!!! যাদের এই নিয়ে সন্দেহ আছে তারা তার প্রোফাইল ঘুরে আসতে পারে।

হাসিন এখন বসুন্ধরা গ্রুপের পি ওয়ান –এর প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা। এরই মধ্যে টিমে ৮৪জনকে রিক্রুট করেছে। আরো করবে। আমি আর হাসিন মিলে একটা ইন্টার্নশীপ প্রোগ্রামেরও চেষ্টা করছি। তবে সে অন্য প্রসঙ্গ।

হাসিনের জীবনের গল্প আমি যা জানি সেটি এখানে লিখবো না। কারণ হাসিন হায়দার রাজি হয়েছেন নিজেই সে গল্প আমাদের শোনাবেন, পরবর্তী বিডিওএসএন টকসে

আগামী ৭ তারিখ বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহিদ হাসান মিলনায়তে বিকেল ৫.৩০ ঘটিকায় এই গল্প বলা শুরু হবে।
আমাদের আগের অভিজ্ঞতার কারণে প্রমি এবার বেশ নিয়ম কানুন বেঁধে দিচ্ছে অংশগ্রহণের জন্য। কারণ নিবন্ধন করে যদি কেও না আসে তাহলে চেয়ারটা খালি থাকে এবং অন্য একজন আগ্রহী সেটা পূরণের সুযোগ পায় না।
কেও যদি বিডিওএসএন টকের স্পন্সর হতে চান তাহলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

হাসিনের জন্য শুভ কামনা।

2 Replies to “এ জার্নি টুওয়ার্ডস এক্সেলেন্স : এ স্টোরি অব অ্যা স্টোরিটেলার”

Leave a Reply