মৌলভী আলহাজ্ব আহমদ চৌধুরী : একজন আধুনিক মানুষ

Spread the love

GPচট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকাটি বনেদী এবং বিত্তশালী। অনেক মানুষের বাসও বটে। তবে, সেখানে মেয়েদের জন্য আলাদা কোন স্কুল নেই! আমি যখনকার কথা বলছি সেটি সত্তরের দশকের শেষভাগ। তা সেখানে মেয়েদের জন্য একটি স্কুল হোক‌ সে তাড়না নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন এমন একজন মানুষ যার সঙ্গে বাকলিয়ার সম্পর্ক বা আত্মীয়তা খুঁজে পাওয়ার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। নেই বলে এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিরা তার পাশে দাড়িয়েছেন কেননা তারা বুঝেছেন যে, আহমদ মাস্টারের স্কুল তৈরির পিছনে বিশেষ কোন ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য নেই। কাজে কিছুদিনের মধ্যে চালু হয়ে গেল বঙ্গবন্ধু আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়। আহমদ চৌধুরী তার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক। আহমদ চৌধুরী সে সময় আন্দরকিল্লায় তার বড়ো ছেলের সঙ্গে থাকেন। আন্দরকিল্লা থেকে বাকলিয়ার দূরত্ব কম নয়, বিশেষ করে এমন একজনের জন্য যার বয়স মাত্র ৭৪ বছর।
আমার বয়স তখন ১১ বা ১২। কাজে আমার যে, অনেক কথা মনে আছে তা নয়। তবে মনে করতে পারি, স্কুলের শিক্ষক মুসা স্যার, চাঁদ সুলতানা ম্যাডাম এবং সফা স্যার ঐ সময় নিয়মিত আমাদের বাসায় আসতেন স্কুলের বিষয় নিয়ে আলাপ করতে। কিছুদিনের মধ্যে জানা গেল সরকারী সাহায্য না পেলে স্কুল টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। এবং জেনারেল জিয়ার আমলে বঙ্গবন্ধুর নামের স্কুল সরকারী অনুদানের তালিকায় যোগ হবে এমনটা কোন বোকাও ভাবে না। কাজে, স্কুলের নাম বদলে হয়ে গেল বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়! বিদ্যালয়টি এখন অনেক উন্নত হয়েছে। ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে পরপর দুই বছর জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় থানার প্রথম স্থান এই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা হয়েছে। স্কুলকে ঘিরে এলাকায় মেয়েদের শিক্ষার একটা বড়ো জায়গাও তৈরি হয়েছে!

তো, আহমদ চৌধুরী কেন একটা মেয়েদের স্কুল তৈরি করতে গেলেন! আজ যখন আমি পেছন ফিরে তাকাই তখন আমি এই উত্তরটি সহজে পেয়ে যায়। মেয়েদের স্কুল তৈরি করতে চেয়েছেন কারণ আমার দাদার প্রিয় বাণীগুলোর একটি ছিল ফরাসী সম্রাট নেপোলিয়নের সেই বিখ্যাত উক্তি ‌- আমাকে তোমরা সুমাতা দাও, তোমাদের আমি একটি সু জাতি দেবো।

আমার দাদা জানতেন দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠিকে অশিক্ষিত রেখে একটি জাতি এগোতে পারবে না। এটি যে, তিনি কেবল কথার কথা বলে ভাবতেন তাও নয়। আমার ছোট বেলায় আমি দেখেছি দাদা পারিবারিক আলোচনায় আমার মা বা চাচীর কথার অনেক গুরুত্ব দিতেন, এবং কোন কোন সময় সে গুরুত্ব বাবা চাচাদের কথার চেয়েও বেশি হতো। মেয়েদের শিক্ষা এবং পরিবার ও সমাজে তাদের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠা করাটাই দাদার অন্যতম ব্রত ছিল।
আমি মাঝে মাঝে ভাবি, দাদা এমনটি কেমন করে হলেন। উত্তর খুজতে আমরা একটু সংক্ষেপে তার জীবনকালটা দেখে আসতে পারি।

আহমদ চৌধুরীর জন্ম ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে, চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের পুরনো হাজীবাড়িতে। হাজিবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা সাগর আলীর দ্বিতীয় পুত্র হাছন আলী ও ফাতেমা বেগমের প্রথম সন্তান। পাঁচ ছয় বছর বয়সে বাড়ির ঐতিহ্য অনুসারে কোরান শিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা দিয়ে তার শিক্ষা জীবন শুরু। দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করে চলে আসেন চট্টগ্রাম শহরে। ভর্তি হলেন নিউস্কীম মাদ্রাসায়। ওই মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় ছিল। দানবীর হাজী মোহাম্মদ মোহসীনের ওয়াকফ ফান্ড থেকে ওই মাদ্রাসার ব্যয়ভার নির্বাহ হতো। (এটি পরে ইসলামিক ইন্টারমেডিয়েট কলেজে রূপান্তরিত হয় এবং বর্তমানে হাজী মোহাম্মদ মোহসীন কলেজ হিসাবে চালু আছে। স্কুল অংশটি হাজী মুহম্মদ মোহসীন স্কুল নামে পরিচিত)। সে সময় মাদ্রাসায় মাদ্রাসা পাঠ্যক্রম ও সাধারণ পাঠ্যক্রম দুটোই পড়া যেত। দাদা দুটোই পড়েছেন। ছাত্র হিসাবে দাদা নি:সন্দেহে ভাল ছিলেন! তা নাহলে নির্বিঘ্নে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়তে পারতেন না। আর পাশাপাশি জমায়াতে উলাও পাশ করতে পারতেন না। এমনকী যখন তিনি কলকাতায় গিয়ে ভর্তি হওয়ার কথা বললেন তখনো কেহ রাজী হতো না। কলকাতায় দাদা পড়েছেন সিটি কলেজে। সেখান থেকে বিএ পাশ করেন। আমার ধারণা ঐ সময় দাদা অনুশীলন এবং ব্রতচারীদের সঙ্গে যুক্ত হোন, সরাসরি না হলেও অনুশীলন আর ব্রতচারীদের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন তাকে অনেকখানি উজ্জীবীত করে। কোলকাতাকে গিয়ে প্রথম উপলব্দি করেন যে, ইংরেজদের প্রতি রাগ করে বাঙ্গালী মুসলিম যে, ইংরেজী শিক্ষা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তা আখেরে নিজেদের জন্যই খারাপ। শিক্ষা বিস্তারের কাজে যুক্ত হওয়ার চিন্তা সেখান থেকে তার মধ্যে ঢুকে পড়ে।
বিএ পাশ করে ২২ বছরের আহমদ চৌধুরী যখন দেশে ফিরে আসেন তখন তার মধ্যে কয়েকটি বিষয় খুবই পরিস্কার। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়তে হলে স্বাস্থ্য ভাল হতে হবে, নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে এবং আত্মসংযমী হতে হবে। আর প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। ইংরেজী শিক্ষার প্রতি জোর দিতে হবে।
প্রথম চাকরী কুয়াইশ হাইস্কুলে। এই সময় তার বিয়ে হয় চাচাতো বোন নাসিমা খাতুনের সঙ্গে। দাদার শিক্ষার ব্রত দাদীকে কতোখানি উদ্ধুত্ত করেছিল সেটা বোঝা যায় তাদের তৃতীয় পুত্র এম এ হাশেম (এখন বেঁচে নেই) যখন পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওযার সুযোগ পায় তখন। সে সময় চাচার পড়াশোনার খরচ যোগানো দাদার জন্য খুবই কঠিন ছিল। ঐ সময় দাদী তার আদরের ‘লালি’ গাভীটি বিক্রি করে দেন!
কুয়াইশ হাই স্কুল থেকে পরে দাদা জাহাপুর হাই স্কুলে কয়েক বছর চাকরী করেন প্রধান শিক্ষক হিসাবে। তারপর শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য বিরতি। বিটি পড়ার সময় তার সহপাঠী ছিলেন এনামুল হক (ড. এনামুল হক), সামশুল হক (অধ্যাপক শামসুল হক) প্রমূখ। সেই সময় চট্টগ্রাম আদালতের নামকরা এডভোকেট আবদুল লতিফ হাটহাজারী হাই স্কুলের সম্পাদক হওয়ার পর আহমদ চৌধুরীকে তার স্কুলে প্রধান শিক্ষক করে নিয়ে আসেন। আবদুল লতিফ আর আহমদ চৌধুরী মিলে স্কুলটিকে সুনামের সঙ্গে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাড় করান। তারপর দাদা চলে যান গহিরা হাই স্কুলে।
এই সময় একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। ১৯৩৩ সালে ঝাকড়াচুলের বাবড়ি কবি কাজী নজরুল ইসলাম সারা বাংলা চষে বেড়াচ্ছেন। কলকাতায় যাদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাদের মাধ্যমে আহমদ চৌধুরী যোগাযোগ করেন কবির দলের সঙ্গে। ইচ্ছে কবি নজরুল আসুক রাউজানে। ১৯৩৩ (অথবা ১৯৩৪ ) সালে কবি রাউজানে আসেন। উদ্দেশ্য যুব সম্মেলনের নামে তরুনদের উদ্দীপিত করা। সেই সময় দাদার সঙ্গে তার সমসাময়িক তুত ভাইয়েরা ছিলেন। এদের মধ্যে অলি মিয়া চৌধুরী (এই দাদার কোন স্মৃতি আমার নেই, কেন জানি না?) আর ইউছুফ দাদার (মরহুম ইউছুফ চৌধুরী, সিগনেট প্রেস ও পূর্বকোণের প্রতিষ্ঠাতা ) কথা দাদা আমাকে বলেছেন। সম্মেলনের দুই রাত কবি হাজী বাড়িতে ছিলেন। দ্বিতীয় রাতে তিনি লিখেন তার বিখ্যাত কবিতা – বাতায়ন পাশে গুবাক তরুর সারি

ততোদিনে দাদার সংসার বড়ো হয়েছে। দাদা সুযোগ পেয়েছেন সরকারী স্কুলে শিক্ষকতা করার। ১৯৩৯ সালে চলে গেলেন ভোলা সরকারী হাই স্কুলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দাদা সেখানে ছিলেন। সেখানকার গল্প তিনি তার নাতি নাতনীদের সঙ্গে বেশি করেননি। সেখান থেকে তিনি বদলী হয়ে আসেন তার নিজের কলেজ, ইসলামিক উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে। পরে সেখান থেকে কলেজিয়েট স্কুলে। কলেজিয়েট স্কুলের সীমানার মধ্যে পুকুর পাড়ের একটি বাড়িতে দাদা সপরিবারে থাকতেন। স্কুলে নানামুখী কর্মকান্ডের সময় প্রথম ঠিক করলেন বই লিখবেন। ইংরেজী ব্যকরণ, রচনার বই। সে সময়ের ইংরেজী বইগুলো বেশিরভাগই সাহেবদের লেখা, বই-এর উদাহরণগুলো ব্রিটিশদের নতুবা ভারতের অন্য কোন রাজ্যের। দাদার বই এর My Village রচনার গ্রামের নাম সুলতানপুর। দাদার বইগুলো ছাপিয়ে বের করতেন রাউজানের আর এক কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক (দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা) তাঁর ছাপাখানা কোহিনুর ইলেকট্রিক প্রেস থেকে। কোহিনুর প্রেস থেকে ১৯৫২ সালে একুশের প্রথম কবিতা ‘কাঁদতে আসি নি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি’ ছাপা হয়ে বের হয়। কোহিনুর লাইব্রেরীর উল্টোদিকে সুলতান মেডিকেল হল (ডা. হাসেমের চেম্বার) আর এই দুইকে ঘিরে তখন চট্টগ্রামের নানা আয়োজন। শিক্ষা বিস্তার কিংবা ম্যালেরিয়া রোধ- সব ঐ আন্দরকিল্লাকে ঘিরে। আমার হিসাবে দাদার প্রকাশিত বই ৪ অথবা ৫ হবে। এর মধ্যে আমি দুইটি দেখেছি।

কলেজিয়েট স্কুল থেকে দাদার বদলী জুনিয়র ট্রেনিং কলেজে। ১৯৭১ সালে সেখান থেকে সরকারী চাকরী থেকে অবসর নেন। তবে, শিক্ষকতা ছিল তার শরীরের অণু-পরমাণুতে। কাজে এরপর বাকলিয়া স্কুল তৈরির আগ পর্যন্ত দাদা প্রধান শিক্ষক হিসাবে গড়ে তোলেন মডেল কিন্টারগার্টেন (চট্টগ্রাম হাই স্কুলের সঙ্গে) স্কুল, যোগ দেন নজির আহমদ রোডের মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি হাই স্কুলে।
তবে কেবল বাকলিয়ার মেয়েদের স্কুল নয়, হাজিবাড়ি প্রাইমারী স্কুল ও মওলানা এজাবৎ উল্লাহ ফোরকানিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায়ও তার অবদান রয়েছে।

আমার এই লেখাটির শিরোনামে আমি দাদার মৌলভী উপাধিটি ব্যবহার করেছি। উলা পাস করেছেন বলে তিনি এই উপাধির অধিকারী ছিলেন এবং সজ্ঞানে ব্যবহার করতেন এই জন্য যে, ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী হলেই কেহ একজন ধর্মান্ধ হয়ে যায় না, এটা বোঝানোর জন্য! দাদার প্রিয় কবি কাজী নজরুল যাদেরকে ‘মৌ লোভী আর মুল লারা” বলতেন তাদের দাদা করুনা করতেন। ইংরেজী শিক্ষার প্রতি তার বিশেষ দরদ আসলে আমাদেরকে সমাজ ও জীবনের জন্য তৈরি হওয়ার রসদ যোগানোর জন্য।
জীবনের একেবারে শেষের দিকে তিনি হয়ে গেলেন ঘর বসা। তবে, পেনশনের টাকা তোলার জন্য নিজেই যেতেন। একদম শেষের দিকে কখনো কখনো চাচাদের কেহ একজন সঙ্গে যেতেন। বাসায় একটা লাইব্রেরী গড়ে তোলেন – আহমদ চৌধুরী ঘরোয়া লাইব্রেরী। (আমরা তার অযোগ্য নাতি, এই লাইব্রেরীর বিকাশতো করিই নি, বরং সেটা ধ্বংসও করেছি)। পড়ালেখা করতেন একেবারে শেষ দিন পর্যন্ত। প্রায়শও নোট নিতেন। বুয়েটে পড়ার জন্য ঢাকায় চলে আমার পর দাদার গল্প শোনার ভাগ্য আমার কমে যায়। ১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি যখন মারা যান তখন আমি বুয়েটের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

দাদার শাসনের একটি গল্প না বললে আমার দাদার মনের জোর আর শিক্ষাদানের বৈশিষ্ট্য বোঝা একটু বাকী থেকে যাবে। আমি যখন ক্লাশ ত্রি তে পড়ি, তখন একদিন রাগ করে ঘোষণা করি যে, আমি ভাত খাবোনা। দাদা বললেন আচ্ছা ঠিক আছে। মা স্কুল থেকে আর বাবা দুপুরে খেতে এসে আমাকে ডাকাডাকির চেষ্টা করলে দাদা তাদেরকে বিরত রাখেন। দাদীও কয়েকবার আমাকে খেতে ডাকার চেষ্টা করেও দাদার জন্য পারেননি। তারপর বাবা ফের অফিসে চলে গেলেন, সবার খাওয়া দাওয়া শেষ, ক্ষিধেয় আমার জান যায়- কিন্তু কেউ আমাকে ডাকে না। শেষমেষ দাদার কাছে গিয়ে আমি সারেন্ডার করি আর তারপর খেতে পাই! এই ঘটনা এখনো আমাকে পথ দেখায়।

আজ এই লেখা লিখতে গিয়ে দেখছি আমার মৌলভী দাদা কতোটা না আধুনিক মানুষ ছিলেন। হালের অনেককে আমি দেখি তারা নারীর অধিকার ও সম্মান দিতে চায় না, ইংরেজী শিক্ষাকে ‘ইহুদি নাসারাদের ষড়যন্ত্র’ মনে করে! অথচ সেই কবে তিনি তার শিক্ষায়, আচরণে সেই বিষয়গুলোর মীমাংসা করে গেছেন।

আমার প্রায়শ মনে হয় যদি আমাদের আহমদ চৌধুরীর মতো অনেক আধুনিক মানুষ থাকতো তাহলে দেশটা না জানি কতো সুন্দর হতো!

[দাদার কোন ডিজিটাল ছবি আমার কাছে নাই। পরের বার বাড়ি গেলে নিয়ে আসবো। ]

One Reply to “মৌলভী আলহাজ্ব আহমদ চৌধুরী : একজন আধুনিক মানুষ”

Leave a Reply