ঈদ সংখ্যা মোবারক-১

Spread the love

কবে থেকে শুরু আমার ঠিক মনে নেই। তবে, আমাদের চট্টগ্রামের বাসায়  ঈদের একটা বিশেষ আনন্দ ছিল ঈদ সংখ্যা। প্রথমে বের হতো কিশোরবাংলা (??)। পারভেজ সাহেবের সম্পাদনায়। সেটির কোন একটি ঈদ সংখ্যায় অপারেশন কাঁকনপুর আর চিতা রহস্য দুইটাই ছিল। চিতা রহস্যের রহস্যসন্ধানীর নাম ডালুদা, ফেলুদার অনুকরণে রাখা নাম, লিখেছেন ইমদাদুল হক মিলন। অপারেশন কাঁকনপুরের লেখক আলী ইমাম। ওখানে অনেক ছোট গল্প ছিল।

তবে শুধু কিশোর বাংলা নয়, মা’র কল্যানে আমাদের আন্দরকিল্লা বাসাতে সব ঈদ সংখ্যা কেনা হতো। সাপ্তাহিক বিচিত্রা, রোববার আর সন্ধানীর কথা মনে আছে। সন্ধানীর ইলাসট্রেশন করতেন কাইয়ুম চৌধুরী। আর বেগমের ঈদ সংখ্যা। তখনো পূর্বকোণ বের হয়নি। আর সম্ভবত দৈনিকের ঈদ সংখ্যা তখনো চালু হয়নি। একসঙ্গে সবগুলো কেনা হতো যাতে বাসায় কোন মারামারি না হয়।
ঈদের কিছুদিন পরে বের হতো পূজা সংখ্যা। বাসায় আসতো আনন্দমেলা, দেশ এবং সিনেমারটা (নাম ভুলে গেছি)। এছাড়া কখনো কখনো উল্টোরথ, সন্দেশও জুটতো। অভ্যাসটা সেই থেকে।

এবছর নানান ব্যস্ততায় ঈদ সংখ্যা কেনা হয়ে উঠেনি। আজ অন্তত তিনটে কেনার প্ল্যান। সকালে ২০০ টাকা দিয়ে প্রথম আলোরটা কিনেছি।
২০০ টাকা দিয়ে ওখানে কী আছে সেটা পরথমে দেখেছি। আছে ৭টি উপন্যাস। বই হিসাবে কিনলে কমপক্ষে ১০০০ টাকার মামলা। লেখক তালিকায় আছেন সৈয়দ শামসুল হক, সৈয়দ আবদুল হাকিম, ইমদাদুর হক মিলন, নাসরীন জাহান, আনিসুল হক ও সাগুফতা শারমীন। উপন্যাস অবশ্য আমি সঙ্গে সঙ্গে ধরবো না।

এখানে আছে ফজলে লোহানীর নেওয়া ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকার। সেটাই প্রথমে পড়ার ইচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কয়েকটি বিক্ষিপ্ত লেখাও আগে পড়বো। উপন্যাস শুরু করবো যথারীতি রহস্য-উপন্যাস দিয়ে। শেখ আবদুল হাকিমের। তারপর অন্যদেরগুলো।
আমাদের গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ এর আগস্ট নিয়ে একটা লেখা দেখলাম সূচীপত্রে।  আল মাহমুদ থেকে প্রায় সকলের কবিতা আছে।  এগুলো ফাঁকে ফাঁকে।
চাঁদে পা রাখার পর তিন চন্দ্রবিজয়ী ঢাকায় এসেছিলেন। তাদের নিয়েও একটা লেখা আছে।
সূচীপত্র দেখেই আমি আপ্লুত। আমার পাঠকদেরও তাই জ্বালায় মারবো। যা পড়বো তার রিভিউ করতে করতে করতে যাবো।
কালকে থেকে আমার অবস্থা হবে ভানুর “শুইয়া পড়ি না পইড়া শুই” অবস্থা।

যাকগে গবেষণা করার দরকার। ১১.৩০ এর মিটিংটা ১২টায় গেছে। এ ফাঁকে শাহাদুজ্জামানের লজ্জাবতী বানরটা পড়ে ফেলি।

ঈদ সংখ্যা মোবারক।

 

Leave a Reply