কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপদ ও এলন মাস্কের হুশিয়ারী

Spread the love

সময় সুযোগ পেলেই এলন মাস্ক  সবসময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সবাইকে মনে করিয়ে দেন। তাঁর হিসাবে এটি ‘মানবজাতির আগামী দিনের অস্থিত্বের’ সঙ্গে জড়িত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বছর খানেক ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপদ সম্পর্কে তিনি বলে যাচ্ছেন। এই আগস্টেও তিনি বেশ কবার এ নিয়ে টুইট করেছেন, মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। গেল মাসে নিউ সায়েন্টিস্ট সাময়িকী ভবিষ্যৎবানী করে ২০৬০ সালের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সব ক্ষেত্রে মানুষকে হারিয়ে দেবে। এ কথা এলন মেনে নেননি। তিনি বলেছেন – ২০৬০ অনেক দূর। ২০৩০, বেশি হলে ২০৪০ এর মধ্যে এই ঘটনা ঘটবে।

গত ১২ আগস্ট সন্ধাবেলায় তিনি পরপর দুইটি টুইট করেন। প্রথম টুইটে তিনি জানান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপদের বিষয়টি উত্তর কোরিয়া থেকে বিপদের চেয়ে বেশি। কয়েক মিনিট পর পরই দেওয়া পরের টুইট তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে কেউ আসলে ‘নিয়ন্ত্রিত’ হতে চায় না। কিন্তু তারপরও গাড়ি, উড়োজাহাজ, খাদ্য কিংবা ওষুধ সবই নিয়ন্ত্রণ করা লাগে। কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও নিয়ন্ত্রিত হোক।

১২ তারিখে এলন মাস্ক এই দুইটি টুইট এমন সময় করেন যার মাত্র  কিছুক্ষণ আগে তারই একটি কোম্পানির এআই বিশ্বের সেরা সব সমরবিদদের হারিয়ে দিয়েছে। Dota 2 নামের একটি সমর-কৌশল খেলা রয়েছে। এই খেলাটিতে এমনভাবে খেলতে হয় যাতে প্রতিপক্ষ চাল আন্দাজ করতে না পারে, প্রতিপক্ষকে বোকা বানাতে হয় এবং এমন একটা ফাঁদ পাততে হয় যাতে শত্রু সেখানে ধরা পড়ে।
এলন মাস্ক, পিটার থিয়েল (জিরো টু ওয়ান বই-এর লেখক) ও স্যাম অল্টম্যানের মিলিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই-এর একটি প্রোগ্রাম সেদিন সেরা সমরবিদদে দোতা-২ খেলায় হারিয়ে দিয়েছে! এর কিছুদিন আগে একই প্রোগ্রামটি একটি ভিডিও গেমে ঐ গেমের প্রতিষ্ঠাতাকেও হারিয়ে দিয়েছিল।

এলন মাস্ক

এলন, পিটার ও স্যামের এই বিলিয়ন ডলার কোম্পানির উদ্দেশ্য হলো কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা ও প্রোডাক্ট তৈরি করা যাতে সেগুলো মানবজাতির কাজে লাগে।

কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তার বিপদ নিয়ে  মাস্ক এখন খুবই সোচ্চার। এতই সোচ্চার যে সম্প্রতি ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এ সংক্রান্ত মাস্কের কথাবার্তাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেন। জবাবে পরদিনই এলন টুইট করে জানান এ বিষয়ে জাকারবার্গের জ্ঞান ‘সীমিত’। লক্ষণীয় যে, সম্প্রতি ফেসবুকও তাদের একটি এআই সংক্রান্ত প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেয় কারণ হিসাবে বলা হয় প্রোগ্রামটি আর একটি প্রোগ্রামের সঙ্গ ‘কথা’ বলার সময় নিজেরাই একটি ভাষা বের করে ফেলে!!!

কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা নিয়ে মাস্কের অবস্থান অন্যান্য টেক জায়ান্ট বিশেষ করে আমাজনের জেফ বেজোস, গুগলের সেগ্রেই বা ল্যারি এবং ফেসবুকের জাকারবার্গের সঙ্গে মিলে না। এরা সবাই এআই-এর বিকাশের পক্ষে!

কদিন আগে মাস্ক আবারও বলেছেন, “আমি এআই-এর অনেক কিছু দেখেছি। মনে করি এটা নিয়ে ভাবা দরকার।”

Leave a Reply